বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের রাজস্ব বাজেটভুক্ত শূন্য পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে জনবল নিয়োগের জন্য আবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানে ১৮ ক্যাটাগরির পদে ৩৩৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এসব পদে যাঁরা আগে আবেদন করেছেন, তাঁদের নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই।

১.

পদের নাম: হিসাবরক্ষক
পদসংখ্যা: ১৭৭
যোগ্যতা: দ্বিতীয় বিভাগসহ বিকম পাস
বেতন স্কেল: ১২,৫০০–৩০,২৩০ টাকা (১১তম গ্রেড)
২. পদের নাম: সহকারী আর্টিস্ট
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: শিল্পকলায় স্নাতক পাস
বেতন স্কেল: ১২,৫০০–৩০,২৩০ টাকা (১১তম গ্রেড)

আরও পড়ুনসরকারি ব্যাংকে ষষ্ঠ-নবম-দশম গ্রেডে বড় নিয়োগ, পদ ৬০৮টি২৪ এপ্রিল ২০২৫

৩. পদের নাম: স্টেনোগ্রাফার কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ৫
যোগ্যতা: কম্পিউটার ব্যবহারসংক্রান্ত ওয়ার্ড প্রসেসিং, ডাটা এন্ট্রি, টাইপিং ইত্যাদির সর্বনিম্ন গতি ইংরেজি ও বাংলায় যথাক্রমে প্রতি মিনিটে ৩০ ও ২৫ শব্দ এবং চাকরির এক বছরের অভিজ্ঞতাসহ এইচএসসি পাস হতে হবে।
বেতন স্কেল: ১১,০০০–২৬,৫৯০ টাকা (১৩তম গ্রেড)
৪. পদের নাম: অফিস সহকারী বা উচ্চমান সহকারী
পদসংখ্যা: ৬
যোগ্যতা: স্নাতক পাস
বেতন স্কেল: ১১,০০০–২৬,৫৯০ টাকা (১৩তম গ্রেড)
৫. পদের নাম: গবেষণা অনুসন্ধানকারী
পদসংখ্যা: ৩
যোগ্যতা: অর্থনীতি বা পরিসংখ্যানসহ স্নাতক পাস
বেতন স্কেল: ১১,০০০–২৬,৫৯০ টাকা (১৩তম গ্রেড)
৬. পদের নাম: পরিসংখ্যান সহকারী
পদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: অর্থনীতি বা পরিসংখ্যানসহ স্নাতক পাস
বেতন স্কেল: ১১,০০০–২৬,৫৯০ টাকা (১৩তম গ্রেড)
৭. পদের নাম: নিরীক্ষা সহকারী
পদসংখ্যা: ৭
যোগ্যতা: দ্বিতীয় বিভাগসহ বিকম পাস
বেতন স্কেল: ১১,০০০–২৬,৫৯০ টাকা (১৩তম গ্রেড)

আরও পড়ুনজীবন বীমা করপোরেশনে বড় নিয়োগ, নেবে ৫৪০ জন১২ এপ্রিল ২০২৫

৮. পদের নাম: হিসাব সহকারী
পদসংখ্যা: ৩৬
যোগ্যতা: দ্বিতীয় বিভাগসহ বিকম পাস
বেতন স্কেল: ১১,০০০–২৬,৫৯০ টাকা (১৩তম গ্রেড)
৯. পদের নাম: ক্যাশিয়ার
পদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: দ্বিতীয় বিভাগসহ বিকম পাস
বেতন স্কেল: ১১,০০০–২৬,৫৯০ টাকা (১৩তম গ্রেড)
১০. পদের নাম: স্টেনোটাইপিস্ট কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ৭
যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস
বেতন স্কেল: ১০,২০০–২৪,৬৮০ টাকা (১৪তম গ্রেড)
১১. পদের নাম: প্রশিক্ষক
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাসসহ ট্রেড কোর্সে দুই বছরের সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৭০০–২৩,৪৯০ টাকা (১৫তম গ্রেড)
১২. পদের নাম: ড্রাফটসম্যান
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: ড্রাফটসম্যানশিপে সার্টিফিকেটসহ এইচএসসি বা সমমান পাস হতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৭০০–২৩,৪৯০ টাকা (১৫তম গ্রেড)

আরও পড়ুনরাঙামাটি জেলা পরিষদে নিয়োগ, ৬ পদে নেবে ৫৮ জন০১ মে ২০২৫

১৩. পদের নাম: অফসেট প্রিন্টিং অপারেটর
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: অফসেট লিথো ইলেকট্রিক স্টেনসিল কাটা ও ডুপ্লিকেটিং মেশিন চালনায় দুই বছরের অভিজ্ঞতাসহ বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি বা সমমান পাস হতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৭০০–২৩,৪৯০ টাকা (১৫তম গ্রেড)
১৪. পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ৩০
যোগ্যতা: এসএসসি পাস
বেতন স্কেল: ৯,৩০০–২২,৪৯০ টাকা (১৬তম গ্রেড)

১৫. পদের নাম: ডাটা এন্ট্রি অপারেটর
পদসংখ্যা: ৩
যোগ্যতা: এসএসসি পাস
বেতন স্কেল: ৯,৩০০–২২,৪৯০ টাকা (১৬তম গ্রেড)
১৬. পদের নাম: প্রুফরিডার
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: প্রুফরিডিংয়ে দুই বছরের অভিজ্ঞতাসহ এসএসসি পাস
বেতন স্কেল: ৯,৩০০–২২,৪৯০ টাকা (১৬তম গ্রেড)
১৭. পদের নাম: স্টোরকিপার
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: স্টোরকিপিংয়ে দুই বছরের অভিজ্ঞতাসহ এসএসসি পাস
বেতন স্কেল: ৯,৩০০–২২,৪৯০ টাকা (১৬তম গ্রেড)

১৮. পদের নাম: অফিস সহায়ক
পদসংখ্যা: ৫০
যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস
বেতন স্কেল: ৮,২৫০–২০,০১০ টাকা (২০তম গ্রেড)

যেভাবে আবেদন
আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে এই ওয়েবসাইটের (http://brdb.teletalk.com.bd/) মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের ওয়েবসাইটে।

আবেদন ফি
১–২ নম্বর পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ১৬৮ টাকা, ৩–১৭ নম্বর পদের জন্য ১১২ টাকা ও ১৮ নম্বর পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ৫৬ টাকা আবেদন করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জমা দিতে হবে। এ ছাড়া অনগ্রসর নাগরিকদের জন্য সব পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ৫৬ টাকা জমা দিতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ৪ মে ২০২৫।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সহক র পদস খ য ১৩তম গ র ড ১৬তম গ র ড দ ই বছর র সমম ন প স র জন য স পদ র ন ম য গ যত

এছাড়াও পড়ুন:

মাঝরাতে সরকারি কর্মকাণ্ড কতটা স্বাভাবিক

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের রাতের কর্মকাণ্ড নিয়ে বোধকরি একটা মহাকাব্য লিখে ফেলা সম্ভব। তাঁরা যেভাবে গভীর কিংবা শেষ রাতে নানা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, ফেসবুকে বার্তা দিচ্ছেন; তাতে তো মনে হচ্ছে সরকারের কর্তা-ব্যক্তিরা দিনে কাজ না করে রাতেই মনে হয় বেশি কাজ করেন! কয়েকটা উদাহরণ বরং দেওয়া যাক।

মাস কয়েক আগে যখন দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্বাভাবিক ভাবে খারাপ হয়ে গেল, আমাদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা  মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী রাত তিনটার সময় সংবাদ সম্মেলন ডাকলেন! বাংলাদেশের ইতিহাসে রাত তিনটার সময় আর কোনো মন্ত্রী এ ধরনের সম্মেলনের আয়োজন করেছেন কি না, আমার অন্তত জানা নেই। আমরা সবাই ভাবলাম, তিনি হয়তো বড় কোনো ঘোষণা দেবেন। এরপর কী দেখলাম?

তিনি খুব সাধারণভাবে বললেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য সরকার নিজেদের উদ্যোগকে কঠিন ও শক্তিশালী করার চেষ্টা করবে।

সপ্তাহখানেক আগে হঠাৎ আকাশ থেকে একটি  যুদ্ধবিমান ঢাকা শহরের উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল বিল্ডিংয়ে ভেঙে পড়ল। আগুনে দগ্ধ শিশুরা ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে নিজেরা উঠে এসে হাঁটছে; এমন দৃশ্যও আমাদের দেখতে হয়েছে। যে দৃশ্য দেখলে যে কেউ হয়তো ট্রমায় চলে যাবে। ওই স্কুলের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা হয়তো সরাসরি সেই দৃশ্য দেখেছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই চলতে থাকে—এইচএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া সময়ের দাবি ছিল। এ সিদ্ধান্ত সরকার দিনের বেলাতেই নিতে পারত। অথচ আমরা কী দেখলাম?

সরকারের পক্ষ থেকে  রাত তিনটার দিকে ফেসবুকে এসে ঘোষণা করা হলো, পরের দিনের এইচএসসি পরীক্ষা পেছানো হয়েছে।

যখনই আপনি সরকারের অস্বাভাবিক আচরণ নিয়ে প্রশ্ন করবেন কিংবা আপনার মনে এই প্রশ্ন জাগবে; তখনই কিন্তু রাষ্ট্র ভালো আছে কি না; সেই প্রশ্নও সামনে আসবে।

দিন দু-এক আগে এ সরকারকেই যাঁরা চাকরি দিয়েছেন, এ কথা বলছি কারণ, সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বলেছিলেন, ‘ছাত্ররা আমার নিয়োগকর্তা’—সেই ছাত্রদের সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা গভীর রাতে ফেসবুক এসে লাইভ করেন প্রায় আড়াই ঘণ্টা।

এই আড়াই ঘণ্টার লাইভে মূল যে বক্তব্য তিনি তুলে ধরেছেন,  সারমর্ম করলে দাঁড়ায়: বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্ম মানি মেকিং মেশিনে পরিণত হয়েছে এবং অনেকেই এর সঙ্গে জড়িত। তিনি এটাও বলেছেন, এই সংগঠনের সব সিদ্ধান্ত হেয়ার রোড থেকে আসে। অর্থাৎ উপদেষ্টারা যেখানে থাকেন।

এদিকে সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম একটা ফেসবুক পোস্ট করেছেন। যদিও ফেসবুক স্ট্যাটাসটি তিনি বেশ কয়েকবার এডিট করেছেন। তবে প্রথমে যা লিখেছেন, সেটা হচ্ছে, নতুন একটি দলের মহারথীদের কয়েকজন দুর্নীতিতে জড়িত। এ ছাড়া তিনি এটাও বলেছেন, একটা সার্কেলের সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত!

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে তাঁদের কেন প্রশ্রয় দেওয়া হলো? আপনারা যদি জানেনই কিছু মানুষ দুর্নীতিগ্রস্ত। তাহলে সরকারের অংশ হিসেবে আপনাদের তো দায়িত্ব তাঁদের আইনের আওতায় আনা। সেটা না করে ফেসবুকে পোস্ট করতে হচ্ছে কেন? তা–ও আবার রাত তিনটায়!

এই সরকার কি মাঝরাতের ফেসবুকীয় সরকারে পরিণত হয়েছে? পরীক্ষা পেছানোর মতো সিদ্ধান্ত যখন মাঝরাতে নিতে হয়, সংবাদ সম্মেলন যখন রাত তিনটায় করতে হয়, তখন তো প্রশ্ন জাগতেই পারে। কারণ এটা তো স্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়।

যখনই আপনি সরকারের অস্বাভাবিক আচরণ নিয়ে প্রশ্ন করবেন কিংবা আপনার মনে এই প্রশ্ন জাগবে; তখনই কিন্তু রাষ্ট্র ভালো আছে কি না; সেই প্রশ্নও সামনে আসবে।
রাষ্ট্র যদি ভালো না থাকে তবে তার মাত্রা কতটুকু, সেটা নির্ণয় এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া এখন জরুরি হয়ে পড়েছে।

আমিনুল ইসলাম প্রভাষক, এস্তোনিয়ান এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ইউনিভার্সিটি
[email protected]

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাঝরাতে সরকারি কর্মকাণ্ড কতটা স্বাভাবিক