রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় দিয়ে লা লিগায় শীর্ষস্থান আরও মজবুত করেছে বার্সেলোনা। ম্যাচে দীর্ঘ সাত মাস পর মাঠে নেমে চমৎকার পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন জার্মান গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং এল ক্লাসিকোর মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গোলবারের নিচে দেখা যাবে পোলিশ গোলরক্ষক ভয়চেক শেজনিকে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই নিশ্চিত করেছেন বার্সা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক।

আগামী বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। আর তার কয়েকদিন পরই এল ক্লাসিকোতে মাঠে নামবে তারা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে। এই দুই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে দলে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছিলেন ফ্লিক। ভায়াদোলিদের বিপক্ষে মূল একাদশে নয়টি পরিবর্তন আনেন তিনি।

এতে তরুণদের খেলতে নামানোর সুযোগ হলেও, ফ্লিক খেলোয়াড়দের নিয়ে আস্থা হারাচ্ছেন না, ‘আমি হতাশ নই। এত পরিবর্তনের পর খেলোয়াড়দের জন্য খেলা সহজ নয়। ওরা তরুণ। আমি ওদের উপর বিশ্বাস রাখি। কিছু ভুল হয়েছে, দ্রুত কনভার্শনেও সমস্যা ছিল। তবে আরাউহো, ক্রিস্টেনসেন এবং টের স্টেগেন ভালো খেলেছে।’

স্টেগেন ফিরলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগ আর এল ক্লাসিকোয় তার খেলা হবে না। হ্যান্সি ফ্লিক সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে ইন্টার মিলান আর এল ক্লাসিকোয় আমাদের গোলকিপার ভয়চেক শেজনি। স্টেগেনকে ফিরে পেয়ে খুব ভালো লাগছে।’

ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও দ্বিতীয়ার্ধে রাফিনিয়া ও ফারমিন লোপেজের গোলে ম্যাচে ফেরে বার্সা। কোচ ফ্লিক এই দুই খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট। রাফিনিয়ার গোলের প্রশংসা করার পাশাপাশি ফারমিনকে নিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন ইন্টার মিলানের বিপক্ষে শুরুর একাদশে থাকার সম্ভাবনার কথা, ‘ফারমিন এমন একজন খেলোয়াড়, যাকে যেকোনো সময় শুরুর একাদশে রাখা যায়। সে বিভিন্ন পজিশনে খেলতে পারে। আমাদের লক্ষ্য ছিল তিন পয়েন্ট পাওয়া, সেটি অর্জিত হয়েছে। মিশন সম্পন্ন।’

লা লিগায় এই জয়ের ফলে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে বার্সার পয়েন্ট ব্যবধান দাঁড়িয়েছে ৭। আজ রিয়াল মাঠে নামবে সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে। আর পরবর্তী রাউন্ডে ন্যু ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত হবে মৌসুমের দ্বিতীয় এল ক্লাসিকো। তার আগে বার্সার সামনে ইন্টার মিলান পরীক্ষাও হয়ে উঠেছে গুরুত্বপূর্ণ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইন ট র ম ল ন এল ক ল স ক

এছাড়াও পড়ুন:

ইপিএলে অবনমনের শঙ্কায় থাকা স্পার্স ইউরোপার ফাইনালের পথে

এই মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ (ইপিএল) টেবিলের ১৬তম স্থানে অবস্থান করছে টটেনহ্যাম হটস্পার। বিগত ৪৮ বছরের মধ্যে অর্থৎ ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমের পর এরচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স ছিল না নর্থ লন্ডনের দলটির। এই মৌসুমে ইপিএলের শেষ তিনটা দল যদি খুব বাজে পারফরম্যান্স না করত, তাহলে স্পার্স হয়ত অবনমিত হয়ে যেত। অথচ এই দলটাই ইউরোপায়ের ক্লাব লড়াইয়ের মঞ্চে চমক দেখিয়েই যাচ্ছে।

ইউরোপা লিগের সেমি ফাইনালের প্রথম লেগে নরওয়েজিয়ান ক্লাব গ্লিমটকে বৃহস্পতিবার (১ মে) দিবাগত রাতে ৩-১ গোলে হারিয়েছে টটেনহ্যাম। যা এই মৌসুমে নর্থ লন্ডনের ক্লাবটির অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স। খুব বড় অঘটন না ঘটলে স্পার্স ফাইনাল খেলবে, যা ২০০৮ সালের পর তাদের প্রথম শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

আরো পড়ুন:

‘ফুটবল ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে নেই’- স্পার্স কোচ

গোলখরা কাটাতে মনোবিদের শরণাপন্ন রিচার্লিসন

ইউরোপে যাই ঘটুক টটেনহ্যামের অস্ট্রেলিয়ান কোচ অ্যাঞ্জ পোস্টেকোগলু হয়ত চাকরি হারাবেন। তবে একটি শিরোপা জয় দিয়ে মৌসুম শেষ করা হবে দারুণ সম্মানের। অন্যদিকে ১৭ বছর শিরোপা ক্ষরায় থাকা স্পার্স সবশেষ ইংলিশ লিগ কাপ জিতেছিল। এরপর মরিসিও পোচেত্তিনো, জোসে মরিনহো কিংবা আন্তোনিও কন্তের মতো ইউরোপের বিখ্যাত ম্যানেজাররাও তাদের শিরোপা এনে দিতে পারেননি। ইউরোপা লিগ জিততে পারলে লন্ডনের ক্লাবটি আগামী মৌসুমে সরাসরি চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে পারবে।

ঘরের মাঠ টটেনহ্যাম হটস্পার স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম মিনিটেই গোল করে স্বপ্নের মতো শুরু করে ইংলিশ ক্লাবটি। পেড্রো পোরোর ক্রস থেকে ব্রেনান জনসন মৌসুমের ১৭তম গোলটি করেন। এরপর জেমস ম্যাডিসন ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে পোরোর আরেকটি পাস থেকে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তিনজন ডিফেন্ডারের মাঝে দিয়ে সেটি জালে জড়িয়ে দিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।

বিরতিতে যাওয়ার আগে আরও একটি গোল আসতে পারত যদি না রদ্রিগো বেনটাকুরের ভলি গ্লিমট গোলকিপার হাইকিন ঠেকিয়ে না দিতেন। তৃতীয় গোল আসে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির হস্তক্ষেপে। রোমেরোকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। স্ট্রাইকার ডমেনিক সোলাঙ্কি স্পট কিক থেকে ব্যবধান ৩-০ করতে ভুল করেননি। 

দ্বিতীয়ার্ধে গ্লিমট ৭০ শতাংশ বলের দখল রেখেও কোনো বড় সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। শুধুমাত্র উলরিক সাল্টনেসের একটি শট বেনটানকুরের গায়ে লেগে স্পার্সের জালে ঢুকে যায়। 

স্পার্সের জন্য বড় দুশ্চিন্তার কারণ এখন ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে তাদের দুই স্কোরার ম্যাডিসন ও সোলাঙ্কির চোটে পড়ে মাঠ ছাড়াটা। অন্যদিকে দ্বিতীয় লেগটা হতে যাচ্ছে খুবই কঠিন। গ্লিমট যে এই মৌসুমে ঘরের মাঠে পোর্তো, বেসিকতাস, অলিম্পিয়াকোস ও লাৎসিওর মতো দলকে হারিয়েছে। অন্যদিকে ২০২২-২৩ মৌসুম থেকে ইউরোপা লিগে তাদের ঘরের মাঠে জয় ৭০ শতাংশ আর অ্যাওয়ে ম্যাচে তা মাত্র ৯ শতাংশ।

আগামী বৃহস্পতিবার আর্কটিক সার্কেলে অ্যাস্পমিরা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় লেগে অনুষ্ঠিত হবে। স্পার্স বড় কোন কোনো বিপর্যয় না পড়লে, ১৯৮৪ সালের পর আবারও এই আসরের ফাইনাল খেলবে। তেমনটা হলে ফুটবল বিশ্ব বিলবাওয়ে দেখতে যাচ্ছে একটি অলইংলিশ ফাইনাল হতে পারে। আরেক সেমিফাইনালে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৩-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে অ্যাথলেতিক বিলবাওকে। 

স্পার্স আগে ১৯৭২, ১৯৭৪ ও ১৯৮৪ সালে ইউরোপা লিগের ফাইনাল খেলেছে। প্রথম ও শেষবার শিরোপা জিতেছিল।

ঢাকা/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ২৪ ইনিংসে মাত্র ১ ফিফটি, তবুও বিশ্বকাপ পর্যন্ত লিটন অধিনায়ক?
  • ৪ ম‌্যাচে ২৯৫ রান, বিশ্বকাপে চোখ জাওয়াদের
  • ইপিএলে অবনমনের শঙ্কায় থাকা স্পার্স ইউরোপার ফাইনালের পথে
  • ইংলিশ লিগে ব্যর্থ ইউনাইটেড ইউরোপার ফাইনালের পথে
  • শ্রমজীবী মানুষের জীবনসংগ্রাম নিয়ে টেরাকোটার রঙ্গোত্তর প্রদর্শনী