আসন্ন পাকিস্তান ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে আয়োজিত ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য শ্রীলঙ্কার সহ-অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন দাসুন শানাকা। গতিতে তোলপাড় করা তরুণ পেসার এহসান মালিঙ্গা প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন আর এই সিরিজে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও তিনি জায়গা পেয়েছেন। যা ত্রিদেশীয় সিরিজের আগেই অনুষ্ঠিত হবে।

২৩ বছর বয়সী মিডল-অর্ডার ব্যাটার পাভন রতনায়েকে যুক্ত হয়েছেন ওয়ানডে দলে। তাকে দলে নেওয়ার পেছনে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের চেয়ে বরং ঘরোয়া ক্রিকেটে দীর্ঘমেয়াদি ধারাবাহিকতাই বড় ভূমিকা রেখেছে। যদিও জুলাইয়ের শেষ দিকে তিনি একটি লিস্ট-এ শতক হাঁকিয়ে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ রেখেছিলেন।

আরো পড়ুন:

ঢাকা ক্যাপিটালসের জার্সিতে খেলবেন তাসকিন!

২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যুর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

অন্যদিকে, হাঁটুর চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না ওঠায় ওয়ানডে সিরিজে খেলতে পারছেন না দিলশান মাদুশাঙ্কা। তার জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন মালিঙ্গা। একই সঙ্গে শ্বাসনালির সংক্রমণে ভুগছেন মাথিশা পাথিরানা। ফলে তিনি নেই টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে। পাথিরানার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন আসিথা ফার্নান্দো।

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রত্যাবর্তন ঘটেছে ভানুকা রাজাপাকসের। বছরের শুরুতে শেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন তিনি। এরপর দুইটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও এশিয়া কাপ মিস করেন। তবে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এসএলসি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে তার বিস্ফোরক পারফরম্যান্স (মাত্র চার ইনিংসে ১৬৩ স্ট্রাইক রেট) তাকে আবারও জাতীয় দলে ফিরিয়ে এনেছে। মাঝের সারিতে শক্তি যোগাতে এই অন্তর্ভুক্তি শ্রীলঙ্কার জন্য বড় স্বস্তি।

তবে বিস্ময়করভাবে বাদ পড়েছেন নুয়ানিদু ফার্নান্দো। এসএলসি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে তিনি সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হলেও তার স্ট্রাইক রেট ছিল মাত্র ১২৪। যা নির্বাচকদের চোখে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেনি।

বাঁহাতি স্পিনার দুনিথ ওয়েলালাগে এবারও মূল দলে জায়গা পাননি। তবে তিনি নেতৃত্ব দেবেন শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলকে। যারা অংশ নেবে দোহায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া রাইজিং স্টারস টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপে। নুয়ানিদু ফার্নান্দোকেও রাখা হয়েছে সেই দলে।

পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে রাওয়ালপিন্ডিতে, যথাক্রমে ১১, ১৩ ও ১৫ নভেম্বর। এরপর ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ, রাওয়ালপিন্ডি ও লাহোরে। ফাইনাল নির্ধারিত হয়েছে ২৯ নভেম্বর।


শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে স্কোয়াড:
চারিথ আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), পাথুম নিসাঙ্কা, লাহিরু উদারা, কামিল মিশারা, কুশল মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, কামিন্দু মেন্ডিস, জানিথ লিয়ানাগে, পাভন রতনায়েকে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মাহেশ থিকশানা, জেফরি ভ্যান্ডারসে, দুষ্মন্ত চামিরা, আসিথা ফার্নান্দো, প্রমোদ মাদুশান ও এহসান মালিঙ্গা।

ত্রিদেশীয় সিরিজে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড:
চারিথ আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), পাথুম নিসাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, কুশল পেরেরা, কামিল মিশারা, দাসুন শানাকা (সহ-অধিনায়ক), কামিন্দু মেন্ডিস, ভানুকা রাজাপাকসে, জানিথ লিয়ানাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মাহেশ থিকশানা, দুশান হেমান্থা, দুষ্মন্ত চামিরা, নুয়ান তুষারা, আসিথা ফার্নান্দো ও এহসান মালিঙ্গা।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ত ত হয় ছ

এছাড়াও পড়ুন:

ইউআইইউ মার্স রোভার টিমের অনন্য সাফল্য, শুনুন পেছনের গল্প

মমঙ্গল গ্রহের উপযোগী রোবট বানিয়ে ‘ইউআইইউ মার্স রোভার টিম’ ২০২২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিশ্বমঞ্চে টানা ছয়টি সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশের পতাকাকে নিয়ে গেছে অনন্য এক উচ্চতায়। প্রতিটি সাফল্যের পেছনে রয়েছে অদম্য সংগ্রাম, অধ্যবসায় ও নিরলস পরিশ্রমের গল্প।

সাফল্য এসেছে আন্তর্জাতিক পরিসরে

ঢাকার ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) ইউআইইউ মার্স রোভার টিম ২০২৫ সালের ইউনিভার্সিটি রোভার চ্যালেঞ্জ (ইউআরসি) প্রতিযোগিতায় এশিয়ায় প্রথম এবং বিশ্বব্যাপী ষষ্ঠ স্থান অর্জন করে। এ ছাড়া প্রতিযোগিতার সায়েন্স মিশনে বিশ্বে প্রথমবারের মতো ১০০-এর মধ্যে পূর্ণ ১০০ নম্বর পেয়ে এক বিরল রেকর্ড করে। তবে এই মঞ্চে এটি তাদের প্রথম অর্জন নয়। সাফল্যের ধারাবাহিকতা চলছে টানা পাঁচ বছর ধরে। একই বছরে অনুষ্ঠিত আনাতোলিয়ান রোভার চ্যালেঞ্জে (এআরসি) দলটি ১৮ ফাইনালিস্টের মধ্যে বিশ্বব্যাপী তৃতীয় এবং এশিয়ায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

যেভাবে শুরু

২০২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের কয়েকজন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় গঠন করেন ইউআইইউ মার্স রোভার টিম। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালে তাঁরা বিশ্বমঞ্চে প্রথমবার সাফল্য নিয়ে আসেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৯৯টি দলের অংশগ্রহণে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় ৩৬টি ফাইনালিস্ট দলকে পেছনে ফেলে এশিয়ায় প্রথম এবং বিশ্বব্যাপী ১৩তম স্থান অধিকার করে দলটি।

২০২৩ সালে ১০৪টি দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে, ৩৭টি ফাইনালিস্ট দলের মধ্য থেকে ইউআইইউ বিশ্বব্যাপী নবম ও এশিয়ায় আবারও ১ম স্থান অধিকার করে। এ ছাড়া ২০২৩ সালে তুরস্কে আয়োজিত আনাতোলিয়ান রোভার চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় ১৯টি ফাইনালিস্ট দলের মধ্যে ইউআইইউ তৃতীয় এবং সিস্টেম বিভাগের ম্যাটেরিয়াল সিলেকশন চ্যালেঞ্জে বিশেষ পুরস্কার অর্জন করে।

২০২৪ সালে ১০২টি প্রাথমিক দল ও ৩৮ ফাইনালিস্টের মধ্যে বিশ্বব্যাপী পঞ্চম ও এশিয়ায় আবারও চ্যাম্পিয়ন হয় দলটি। ছয়টি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রতিবারই এশীয় অঞ্চলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিরল রেকর্ড করেছে ইউআইইউ মার্স রোভার টিম।

ইউআইইউ মার্স রোভার টিমের বানানো রোবট

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বছরের শেষ সফরে আর্জেন্টিনা দলে চমক, মেসিদের সঙ্গে তিন নতুন মুখ
  • অ্যাপল ওয়াচে আলাদা হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপ, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
  • শান্তি পুরস্কার নিয়ে আসছে ফিফা, প্রথমবার কি ডোনাল্ড ট্রাম্প পাবেন
  • ইউআইইউ মার্স রোভার টিমের অনন্য সাফল্য, শুনুন পেছনের গল্প
  • দ. আফ্রিকা সিরিজে ভারতের দল ঘোষণা: টেস্টে ফিরলেন পন্ত
  • হেলিও ৪৫: বাজেটের মধ্যে ফ্ল্যাগশিপের ছোঁয়া
  • মহাকাশ স্টেশনে রান্না করছেন চীনা নভোচারীরা
  • মাঠে জিত, বাইরে হার
  • ‘তুচ্ছ কারণে’ও শিরোনাম হওয়া কনস্টাস নেই অস্ট্রেলিয়া দলে