ভারত যেভাবে পুশইন করেছে তা ঠিক নয়: নিরাপত্তা উপদেষ্টা
Published: 7th, May 2025 GMT
সীমান্তে ভারত যেভাবে পুশইন (অবৈধ অনুপ্রবেশ) করেছে তা সঠিক প্রক্রিয়া নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা বিষয়ক হাইরিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান।
বুধবার (৭ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
খাগড়াছড়ি ও কুড়িগ্রাম সীমান্তে ভারত থেকে সে দেশের নাগরিকসহ লোকজনকে পুশইন করার বিষয়ে জানতে চাইলে ড.
আরো পড়ুন:
ভারতের সঙ্গে পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনা রয়েছে: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
ভারত-পাকিস্তান কি সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়াচ্ছে?
আরো পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ৬৬ ভারতীয়র অনুপ্রবেশ
এ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কুড়িগ্রাম ও খাগড়াছড়ি দিয়ে কয়েকজনকে পুশইন করার যে খবর আসছে, বাংলাদেশ তা যাচাই করবে। শুধু বাংলাদেশের নাগরিক হলে আমরা নেব। বিষয়টি দিল্লিকে জানানো হয়েছে।”
পররাষ্ট্র সচিব পরিবর্তন হচ্ছে কি না জানতে চাইলে ড. খলিলুর রহমান বলেন, “সে রকম কিছু হলে তো আপনারা জানবেন।”
বুধবার খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা এবং পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে ৬৬ জন ভারতীয় নাগরিককে পুশইন করে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা। কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে আরো ৪৪ জনকে পুশইন করেছে তারা।
অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ৬৬ ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন জানায়, মাটিরাঙার তাইন্দং সীমান্ত দিয়ে ১৫ জন, গোমতি ইউনিয়নের শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে ২৭ জন ও পানছড়ির লোগাং ইউনিয়নের রুপসেন পাড়া সীমান্ত দিয়ে ২৪ জন অনুপ্রবেশ করে।
আরো পড়ুন: কুড়িগ্রাম সীমান্তে ৮ বাংলাদেশিসহ আটক ৪৪
শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করা ২৭ জন নিজেদের গুজরাটের বাসিন্দা দাবি করেছেন। তাদের দাবি, গুজরাট থেকে উড়োজাহাজে করে সীমান্তে এনে বিএসএফ সদস্যরা তাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করায়। আটককৃতরা বাংলা ভাষাভাষী। একই দিন কুড়িগ্রামের রৌমারী ও ভূরুঙ্গামারী সীমান্তে আট বাংলাদেশিসহ ৪৪ জনকে আটক করা হয়।
ঢাকা/হাসান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাতজনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ, দু’জনকে হস্তান্তর
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার চাপসার সীমান্ত দিয়ে শুক্রবার ভোরে সাতজনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে তাদের আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
এর আগে বৃহস্পতিবার লালমনিরহাট সীমান্তে দুই নাগরিককে হস্তান্তর করেছে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষীরা। এ নিয়ে গত ৪ মে থেকে ১ হাজার ৫২৩ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ।
ঠাকুরগাঁওয়ে বিজিবির হাতে আটকদের মধ্যে চারজন নারী এবং এক শিশু রয়েছে। ৪২ বিজিবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানিয়েছেন, তারা ২০-২৫ বছর আগে কাজের সন্ধানে দালালের মাধ্যমে ভারতের মুম্বাই গিয়েছিলেন। ৬-৭ দিন আগে মুম্বাই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে এবং গত বুধবার সীমান্ত এলাকায় নিয়ে আসে। আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং জন্মনিবন্ধন সনদ যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। নাগরিকত্ব সঠিক হওয়ায় তাদের হরিপুর থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে।
এদিকে লালমনিরহাট সীমান্তে আমিনুল ইসলাম নামে এক ভারতীয় নাগরিককে স্থানীয়রা আটক করে বিজিবির হাতে তুলে দেয়। তিনি সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকেছিলেন। তাঁর আটকের খবরে সীমান্তের ভারতীয় নাগরিকরা সিরাজুল হক নামে এক বাংলাদেশি যুবককে তুলে নিয়ে বিএসএফের কাছে সোপর্দ করে। পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে উভয় দেশের নাগরিককে হস্তান্তর করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মোগলহাট সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী ইমাম সমকালকে বলেন, বাংলাদেশে প্রবেশ করে কাউকে তুলে নেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেনি। তবে তারা দু’জনই সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করেছেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর পর উভয় দেশের নাগরিকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের হস্তান্তর করা হয়।