বগুড়ায় পরিবেশবান্ধব নিরাপদ সবজি উৎপাদন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পারিবারিক পুষ্টি উন্নয়ন ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে স্থানীয় কৃষি উদ্যোক্তা, স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের নিয়ে পুষ্টিমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের (টিএমএসএস) আয়োজনে বগুড়ার জয়পুরপাড়ায় টিএমএসএস পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে এ মেলা হয়।  

আরো পড়ুন:

আম খাওয়া কেন জরুরি

দুধ পান করলে কী সত্যিই কাশি বাড়ে

টিএমএসএস কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ), ডানিডা ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় পরিচালিত রুরাল মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ ট্রান্সফর্মেশন প্রজেক্ট (আরএমটিপি) প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত পুষ্টি ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন পিকেএসএফের প্রোগ্রাম এন্ড নিউট্রিশন স্পেশালিস্ট কপিল কুমার পাল। 

দিনব্যাপী পুষ্টি ক্যাম্পেইন মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা.

এস এম নূর-ই-শাদীদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বগুড়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সোহেল মো. শামসুদ্দীন ফিরোজ, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী আশরাফুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালীপদ রায় ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রমজান আলী আকন্দ। 

এছাড়াও টিএমএসএস পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান গুলনাহার পারভিন, টিএমএসএস উপদেষ্টা আয়েশা বেগম, উপদেষ্টা মিনতি আক্তার বানু, টিএমএসএস পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. শাহজাহান আলীসহ আমন্ত্রিত অতিথি, টিএমএসএস কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

সম্মানিত অতিথি  হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টিএমএসএস প্রতিষ্ঠাতা  নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপিকা ড. হোসনে-আরা বেগম। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন টিএমএসএস উপনির্বাহী পরিচালক সোহরাব আলী খান।

কৃষি উদ্যোক্তা ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পুষ্টি বিষয়ক র‍্যালির মাধ্যমে ক্যাম্পেইন শুরু হয়। র‍্যালির শেষে আমন্ত্রিত অতিথিরা পুষ্টি ক্যাম্পেইনের ভিটামিন, মিনারেল ও পুষ্টিজাত পণ্য বিষয়ক স্টল পরিদর্শন করেন। 

মেলায় মেডিকেল ক্যাম্প, ভিটামিন স্টল, খনিজ, রান্নার কৌশল প্রর্দশনী, ওয়াস স্টল, নিউট্রিশন স্টলসহ সচেতনতামূলক আটটি স্টলের মাধ্যমে শিশু, অভিভাবক ও মেলায় আগত দর্শনার্থীদের হাতের নাগালে থাকা বিভিন্ন ধরণের পুষ্টিকর খাবারের সঙ্গে নতুন করে পরিচয় করে দেওয়া হয়। স্টল পরিদর্শন শেষে অতিথিরা এ ধরনের কার্যক্রম দেখে ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং পুষ্টি সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক দিকনির্দেশনা দেন। মেলায় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার নারী-পুরুষ ও শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হয়। কৃষি উদ্যোক্তা ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পুষ্টি বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতা, কুইজ, গান ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়। ক্যাম্পেইন শেষে প্রতিযোগীদের পুরস্কার দেওয়া হয়। 

মেলার আয়োজকরা জানান, এই মেলার উদ্দেশ্য জনসাধারণের মধ্যে পুষ্টি ও খাদ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, জনগণের মধ্যে পুষ্টি সম্পর্কে জ্ঞান বাড়িয়ে দেওয়া, পুষ্টি সম্পর্কে ভুল ধারণা, ত্রুটিপূর্ণ খাদ্য অভ্যাস ও কুসংস্কার সম্পর্কে জ্ঞান দান, সুষম খাবার কী এবং এর প্রয়োজনীয়তা কতটুকু এ সম্পর্কে জনগণকে ধারণা দেওয়া এবং বিভিন্ন বয়সের পুষ্টি চাহিদা সম্পর্কে অবগত করা। বাড়ন্ত শিশুদের খাদ্যের ধরণ ও স্বাস্থ্যকর স্কুল টিফিন সম্পর্কে সচেতন করাসহ জনগণের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো বলেও জানান আয়োজকরা। 

‘ইকোলজি বান্ধব নিরাপদ সবজি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ’ শীর্ষক উপপ্রকল্পটি টিএমএসএস কর্তৃক বগুড়ার ৪টি উপজেলায় ১১ হাজার ৫০০ জন সবজি খামারি নিয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। 

ঢাকা/এনাম/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট এমএসএস প ক য ম প ইন কর মকর ত পর চ ল

এছাড়াও পড়ুন:

পাটগ্রাম সীমান্তে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ল বিএসএফ, বিজিবির প্রতিবাদ

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে তিনটি সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বুধবার ভোরে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের পকেট সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পতাকা বৈঠক করে প্রতিবাদ জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্রীরামপুর ইউনিয়ন সীমান্তের ৮৫৪ নম্বর মেইন পিলারের ওপারে ভারতের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ সদর থানার সীমান্ত গ্রাম ভেল্কু লতামারী এলাকার শূন্যরেখায় বিএসএফের সদস্যরা আজ ভোর ৫টা ২০ মিনিটে তিনটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এতে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়।

ঘটনার পরপরই বিজিবির বুড়িমারী কোম্পানি ও শ্রীরামপুর বিওপির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে পতাকা বৈঠক আহ্বান করে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘটনার প্রতিবাদ জানায় বিজিবি।

বিজিবি সূত্র জানায়, বৈঠকে বিএসএফকে এমন পদক্ষেপ নেওয়ার আগে সমন্বয় ও যোগাযোগ জোরদার করতে বলেছে বিজিবি। অন্যদিকে বিএসএফ জানায়, ওই সীমান্ত দিয়ে সাত থেকে আটজনের একটি গরু চোরাকারবারি দল ভারতে প্রবেশ করে। তাঁদের ধাওয়া দিতে বিএসএফ বাধ্য হয়ে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে।

বর্তমানে সীমান্ত এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক আছে বলে বিজিবির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএসএফ সীমান্তে চোরাচালানের তৎপরতা দেখলে আমাদের জানালে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। কোনো অবস্থায় সীমান্তে আতঙ্ক সৃষ্টি করা যাবে না।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাটগ্রাম সীমান্তে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ল বিএসএফ, বিজিবির প্রতিবাদ