কিছুদিন ধরে ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস করছিলেন নগরবাসী। এরই মধ্যে রবিবার (১১ মে) দুপুর ৩টার পর থেকে ময়মনসিংহ নগরীর বিভিন্ন এলাকা ও ত্রিশাল উপজেলায় ঝড় ও শিলা বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির ফলে যেমন কমেছে গরমের তীব্রতা, তেমনি মানুষের মধ্যে ফিরেছে স্বস্তি।
এলাকাবাসী জানান, গরমের কারণে ঘরের বাইরে থাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষদের কষ্ট হচ্ছিল আরো বেশি। বৃষ্টি হওয়ায় তাপমাত্রা কমেছে। অনেকেই ঘরের বাইরে বের হয়ে বৃষ্টিতে ভিজেছেন।
বৃষ্টি হওয়ায় বাড়ির পাশে ফুটবল খেলতে নেমে পড়েন কয়েকজন কিশোর-কিশোরী
আরো পড়ুন:
গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, মুক্তি মিলছে না সহসা
ঝড়-বৃষ্টি থাকবে কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস
ময়মনসিংহ নগরীর রিকশাচালক হাতেম আলী বলেন, “অনেক গরম পড়ছিল। রিকশা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছিল। আজ বৃষ্টি হলো। বৃষ্টির পানিতে ভিজেই রিকশা চালাচ্ছি। খুব ভালো লাগছে। যাত্রীরাও আনন্দ পাচ্ছেন বৃষ্টিতে ভিজতে।”
ঢাকা/মিলন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহ বোর্ডে পুনর্মূল্যায়নে মোট পাস ২১০, জিপিএ-৫ বৃদ্ধি ১৬৬
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা ফলাফল পুনর্মূল্যায়নে ফেল থেকে পাস করেছে ২১০ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ১৬৬ জন।
রবিবার (১০ আগস্ট) ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক সৈয়দ আক্তারুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা যায়, ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের জন্য বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে মোট ৪৬ হাজার ৬৬৪টি আবেদন জমা পড়েছিল। এসব আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাইয়ে ৩ হাজার ৮টি উত্তরপত্রে বিভিন্ন বিষয়ে নম্বর বৃদ্ধি পায়। এর মধ্যে ১ হাজার ৫৯০টি আবেদনে শিক্ষার্থীদের গ্রেড পয়েন্ট পরিবর্তিত হয়। বাকি আবেদনগুলোতে নম্বর বাড়লেও গ্রেড পয়েন্ট অপরিবর্তিত।
অধ্যাপক সৈয়দ আক্তারুজ্জামান জানান, ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের কারণে বোর্ডের সামগ্রিক পাশের হার দশমিক ২০ শতাংশ বেড়েছে।
প্রাথমিকভাবে যখন ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছিল তখন মোট পাস করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬১ হাজার ৪৫৬ জন। পুনর্মূল্যায়নের পর এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ হাজার ৬৬৬ জনে। পাশের হার শতকরা ৫৮.২২ শতাংশ থেকে বেড়ে এখন হয়েছে ৫৮.৪২ শতাংশ।
অন্যদিকে, জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা আগে ছিল ৬৬৭৮ জন। পুনর্মূল্যায়নের পর এই সংখ্যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮৪৪ জনে।
২০২৫ সালের এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল ১০ জুলাই। ১১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবেদনের শেষ তারিখ ছিল ১৭ জুলাই।
ফলাফলে এমন ত্রুটির বিষয়ে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, সাধারণত যেসব শিক্ষকরা পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করেন, তাদের কিছু ভুলের কারণে এমনটা হয়ে থাকে। প্রথম, দ্বিতীয় পরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষক নম্বরপত্র হিসাব নিকাশ করে চূড়ান্ত করে বোর্ডে পাঠায়।
ঢাকা/মাহমুদুল/মেহেদী