Risingbd:
2025-08-16@17:27:10 GMT

মা তোমাকে খুব ভালোবাসি

Published: 11th, May 2025 GMT

মা তোমাকে খুব ভালোবাসি

মা, মাতৃভূমি ও মাতৃভাষা সব মানুষের কাছেই প্রিয়। মায়ের কারণে এই সুন্দর পৃথিবীতে আমরা জন্মলাভ করেছি। শৈশব থেকে অনেক যত্ন নিয়ে মা তার সন্তানকে বড় করে তোলেন। আমার মা-ও এর ব্যতিক্রম নন। আমার মা মধ্যবিত্ত বাঙালি। পরিবারের গৃহিণী। 

একেবারে ছোট থেকে অনেক কিছু আমি আমার মায়ের কাছে শিখেছি। যখন স্কুলে ভর্তি হইনি, তারও আগে থেকে যেদিন প্রথম পেন্সিল ধরেছিলাম, সেদিন মা প্রথম আমার হাতে পেন্সিল তুলে দিয়েছিলেন। আমার যত আবদার সব মাকে ঘিরে ছিল, এখনও আছে। এমনকি আমার খেলার সঙ্গী ছিল আমার মা। সন্ধ্যার পর মুখে মুখে ছড়া শেখাতেন। প্রতি বারের নাম, মাসের নাম শেখাতেন। ওসব ছিল আমার স্কুলে ভর্তি প্রক্রিয়ার অংশ।  স্কুলে ভর্তি হওয়ার পরও মা আমাকে পড়া দেখিয়ে দেন। সকালে স্কুলের জন্য আমাকে তৈরি করেন। জামা-জুতা পরানো থেকে শুরু করে একেবারে স্কুলের ব্যাগ গুছিয়ে দেওয়া- মা এক হাতে সব কাজ করেন। 

আমার ভালোলাগা, মন্দলাগা, মন খারাপ করার সব কথা মা জানেন। আমার কী খেতে ভালো লাগে, কী করতে ভালোবাসি তিনি জানেন। আমার মায়ের মতো ভালো আর দ্বিতীয়টি নেই। তিনিই আমার স্বর্গ।

আরো পড়ুন:

স্যালুট সূর্যদেবী, তোমাকে ভালোবাসি

মা মানে আত্মত্যাগ

পরিবারের সবার দেখাশোনা মা করেন। রান্নাবাড়ি, ঘর সামলানো সব কাজ তিনি করেন। কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও তিনি আমার কথা ভাবেন। শরীরের যত্ন নেওয়ার কথা বলেন। না বুঝলে আদর করে সব বুঝিয়ে দেন। 

সবাইকে নিয়ে আনন্দে থাকতে তিনি বেশি পছন্দ করেন। পরিবারে কোনো উৎসব হলে মা’র কাজ বেড়ে যায়। তবুও তিনি মন খারাপ করেন না। হাসি মুখে দায়িত্ব পালন করেন। গানের আসর বসিয়ে উৎসব মনোরম করে তোলেন। আমাকে নিয়ে আবৃত্তি করেন। 

মা সংসারের ফাঁকে শখের কাজও করেন। দুপুরে খাবার পর বইপড়া তার অভ্যাস। আমাকেও গল্প পড়ে শোনান। ছুটির দিন বেড়াতে নিয়ে যান। আমার বেড়াতে খুব ভালো লাগে। স্যার বলেছেন, মায়ের মনে কষ্ট দেওয়া উচিত নয়। আমি কখনও মাকে কষ্ট দেব না। আমার মা আমার কাছে অন্যতম শ্রেষ্ঠ আদর্শ। মাকে খুব ভালোবাসি এবং গর্ববোধ করি।   

ষষ্ঠ শ্রেণী, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ

তারা//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম দ বস আম র ম

এছাড়াও পড়ুন:

মাছবোঝাই পিকআপ খাদে, এলাকাবাসীর মাছ ধরার ‘উৎসব’

ফরিদপুরের নগরকান্দায় মাছবোঝাই একটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। এরপর খাদে ছড়িয়ে পড়া মাছ ধরতে স্থানীয় লোকজন ভিড় করেন। আজ শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের যদুরদিয়া এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পশ্চিম পাশে।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাবদা মাছবোঝাই পিকআপটি গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গার দিকে যাচ্ছিল। রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যদুরদিয়া এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। এতে গাড়িতে থাকা মাছের ঝুড়িগুলো পানিতে তলিয়ে যায় এবং মাছ ছড়িয়ে পড়ে।

দুর্ঘটনার দুই ঘণ্টা পর ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে রেকার দিয়ে পিকআপটি তোলা হয়। ওই সময় গাড়ির লোকজন যতটা সম্ভব মাছ উদ্ধার করে গাড়ি নিয়ে চলে যান। এরপর সকাল ছয়টা থেকে আশপাশের গ্রাম থেকে মানুষ মাছ ধরতে খাদে নামেন। নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ—সবাই মাছ ধরায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। মহাসড়কের ধারে দাঁড়িয়ে বহু মানুষ এ দৃশ্য উপভোগ করেন। কেউ খ্যাপলা জাল, কেউ গামছা, আবার কেউ হাত দিয়ে মাছ ধরতে থাকেন।

সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মাছ ধরার প্রতিযোগিতায় যেন কেউ কারও থেকে পিছিয়ে থাকতে চান না। এক বালতি মাছ হাতে খাদ থেকে উঠলেন ফাতেমা বেগম (২৮)। তিনি জানান, প্রায় ১০ কেজি মাছ ধরতে পেরেছেন। হাসতে হাসতে বলেন, ‘আমার থেকে অনেক বেশি মাছ ধরেছে অনেকে।’

স্থানীয় বাসিন্দা হারুন অর রশিদ (৫৫) বলেন, খবর পেয়ে গ্রামের মানুষ ছুটে আসে। এরপর শুরু হয় মাছ ধরার ধুম।

মাছ ধরার খবর শুনে সেখানে এসেছিলেন ভাঙ্গার মহেশ্বর্দী গ্রামের মাইনুদ্দীন আহমেদ (৩৫)। তিনি বলেন, সবাই পাবদা মাছ ধরছেন। কেউ খালি হাতে ফেরেননি। কেউ ১৫ কেজি, কেউ আধা মণ পর্যন্ত মাছ পেয়েছেন।

পিকআপটি কোথা থেকে এসেছিল, কোথায় যাচ্ছিল কিংবা মাছের পরিমাণ ও মালিকের পরিচয় জানা যায়নি। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রকিবুজ্জামান বলেন, আজ ভোরে নগরকান্দার যদুরদিয়ায় মাছবোঝাই একটি পিকআপ খাদে পড়ে যায়। তবে এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আপনারা নিশ্চিন্তে এ দেশে বসবাস করবেন
  • না’গঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হলো শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব
  • ছক্কার উৎসবে পুরান ছাড়া সবাই নতুন
  • মাছবোঝাই পিকআপ খাদে, এলাকাবাসীর মাছ ধরার ‘উৎসব’
  • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থগিত হওয়া ‘মুক্তির উৎসব’ কাল