Samakal:
2025-09-18@10:17:56 GMT

তুমি নদীর মতো বয়ে যাও...

Published: 12th, May 2025 GMT

তুমি নদীর মতো বয়ে যাও...

আমার গন্তব্য তুমি
আব্দুল্লাহ নেওয়াজ

স্বাধীন তো আমি সবসময় ছিলাম,
পরাধীন তো হয়েছি তোমার জন্য
ভালো তো তোমায় সবাই বাসে,
আমি তো বাসি পাওয়ার জন্য
ক্লান্ত তো আমিও হই কিন্তু 
হাঁটি তোমার দেওয়া সুখের জন্য
গন্তব্য তো সবারই আছে,
আমার গন্তব্য তুমি…।

 

নিরাপদ আকাশ
শারমিন নাহার ঝর্ণা

উত্তপ্ত রোদ ছুঁয়ে দিচ্ছে সজীব পাতার শরীর
পাখিদের মিষ্টি মধুর গান
থেমে যাচ্ছে মিসাইলের বিকট শব্দে
আতঙ্কিত চোখ খুঁজে বেড়ায় ঘন সবুজ,
শুভ্রনীল আকাশের বুকে বেদনার অনল
কোথায় হারালো নিরীহ পাখির ঝাঁক?
নিরানন্দ শহরজুড়ে হিংস্রতার মহাউৎসব।
আমিও উড়তে চাই পাখিদের সঙ্গে
নিরাপদ একটা নীল আকাশ পেলে,
সমস্ত কোলাহল ছেড়ে সুখে ডানা মেলে।

 

বৃষ্টি নামুক 
তুহীন বিশ্বাস 

আমার শহরটাতে বৃষ্টি নামুক মুষলধারে 
নকল ধুয়ে বেরিয়ে আনুক আসলটারে,
যেমনি করে শুদ্ধ মানুষ সব বেঁচে থাকে 
সুগন্ধি তাই ছড়িয়ে পড়ুক জীবন বাঁকে।

আসুক তবে বৃষ্টির ফোঁটা চৌচির মাঠে 
পুণ্যের ফসল জমিয়ে থাকুক কর্ম পাঠে, 
অন্তর পোড়া দুর্গন্ধে সমাজ নষ্ট করে 
ছাইগুলো তাই উড়ে যাক হঠাৎ ঝড়ে। 

তোমার শহর আমার মতো সাজাও যদি 
সুখের আমেজে ভাসবে তুমিও নিরবধি, 
বিষের বাঁশিটা ছাড় এবার তওবা করে 
নইলে কিন্তু পচতে হবে সারা জনম ভরে।

 

নদী ও নারী
জহিরুল হক বিদ্যুৎ

নারী, এক প্রবহমান নদী,
উৎস এক প্রবহমান নীরবতা থেকে।
জন্ম নেয়, বয়ে চলে আকাশের নীলে,
পৃথিবীর বুকে, মানুষের ভেতরে।
কখনও পবিত্র, তীর্থ, শুদ্ধি
আবার কখনও বিরাট, খরস্রোতা, ক্ষুধার্ত।
নিজেই সৃষ্টির বুকে সংগীত বাজায়,
আবার বুকে লুকিয়ে রাখে কান্না।
তুমি নদীর মতো বয়ে যাও
সীমারেখা ভেঙে পথ তৈরি কর।
তোমার প্রেম জলের মতো ঠান্ডা,
আবার আগুনের মতো জ্বলন্ত।
তোমার দুঃখ বৃষ্টির মতো ঝরে 
তুমি কেবল স্রোত নও, তুমি তীরও
যেখানে দাঁড়িয়ে স্বপ্ন দেখে কেউ,
আবার কেউ হারায় সবকিছু।

 

কেন আড়ালে থাক
মহসিন আলম মুহিন

আশা দিয়ে তুমি আড়ালে চলে গেলে,
কীসের ছুতায়, কী দোষ খুঁজে পেলে।
ভরা ভাদরে বল কেন আছ দূরে সরে,
নদী যৌবনা, তবুও মিশে না কেন সাগরে।
নয়নের জলে বেদনারা ভিজে ভিজে সিক্ত–
ফল নাহি মেলে, সবই লাগে যেন রিক্ত।
ফুল আসে, কেন ফল নাই গাছের ডালে,
ঘুংঘুর পরা পাখিরা বসে না কেন চালে।
কেন আড়ালে থেকে বিরহের দাও জ্বালা,
তোমারই বিহনে অন্তর পুড়ে হলো কালা।
মেঘে ঢাকা চাঁদ যায় না দেখা চোখ ভরে,
বিষাদ লাগে, সারাক্ষণ মনটা শুধুই পোড়ে।
 

 

আমি আর নৈঃশব্দ্য
রবিন ইসলাম 

আমি আর নৈঃশব্দ্য—
চুপচাপ হই মুখোমুখি।
জাগে না কোনো সুর, বাজে না কোনো বাঁশি,
শুধু শূন্যতা বয়ে আনে বাতাস—
তাতে নেই শব্দ, নেই ছন্দ, নেই অনুরণন।

আমি আর নৈঃশব্দ্য—
এই ধূসর বিকেলে কেউ ফেরে না পেছনে,
কেউ রাখে না হাত, কেউ ডাকে না নামে।
সব শব্দ গেছে পলায়ন করে,
রয়ে গেছে শুধু এক অদৃশ্য স্তব্ধতা।

তবু দাঁড়িয়ে থাকি আমি—
নৈঃশব্দ্যের চোখে চোখ রেখে।
আমার ভেতরে তার আশ্রয়,
তার ভেতরে আমার অস্তিত্ব।

শুধু আমরা—
আমি আর নৈঃশব্দ্য।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ জিসানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের ক্ষুদে ফুটবলার জিসানের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। স্থানীয়রা ফুটবলে জিসানের দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে তাকে ‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ বলে ডাকেন। 

তারেক রহমানের পক্ষে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জিসানের গ্রামের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। তিনি জিসানের বাবা ও এলাকাবাসীকে এ খবরটি জানিয়ে আসেন।

উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের অটোরিকশাচালক জজ মিয়ার ছেলে জিসান। মাত্র ১০ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান ফুটবলারের অসাধারণ দক্ষতার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। স্থানীয় চর ঝাকালিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র সে। 

কখনও এক পায়ে, কখনও দু’পায়ে, কখনও পিঠে ফুটবল রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কসরত করে জিসান। দেখে মনে হবে, ফুটবল যেনো তার কথা শুনছে। এসব কসরতের ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

অনলাইনে জিসানের ফুটবল নৈপুণ্য দেখে মুগ্ধ হন তারেক রহমান। তিনি জিসানের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার পক্ষে গতকাল সোমবার বিকেলে জিসানের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। 

জিসানকে উপহার হিসেবে বুট, জার্সি ও ফুটবলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তুলে দেন তিনি। এছাড়া জিসানের পরিবারকে আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়।

জিসানের ফুটবল খেলা নিজ চোখে দেখে মুগ্ধ আমিনুল হক বলেন, “জিসান ফুটবলে ন্যাচারাল ট্যালেন্ট। তারেক রহমান জিসানের প্রশিক্ষণ, লেখাপড়া ও ভবিষ্যতের সকল দায়িত্ব নিয়েছেন। তাছাড়া প্রতিমাসে জিসানের লেখাপড়া, ফুটবল প্রশিক্ষণ ও পরিবারের ব্যয়ভারের জন্য টাকা পাঠানো হবে।”

জিসান জানায়, মোবাইলে ম্যারাডোনা, মেসি ও রোনালদোর খেলা দেখে নিজেই ফুটবলের নানা কৌশল শিখেছে। নিজ চেষ্টায় সে এসব রপ্ত করেছে।

জিসানের বাবা জজ মিয়া বলেন, “আমি বিশ্বাস করতাম, একদিন না একদিন কেউ না কেউ আমার ছেলের পাশে দাঁড়াবে। আজ আমার সেই বিশ্বাস পূর্ণ হয়েছে।”

ঢাকা/রুমন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আজ প্রথম প্রেম দিবস
  • মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর  করতে ডায়েটে যে পরিবর্তন আনতে পারেন
  • অনুষ্ঠান করে স্ত্রীকে বিয়ে দিলেন স্বামী
  • ‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ জিসানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান