কান চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় প্রথমবার হাঁটলেন প্রয়াত শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবী কাপুর। মঙ্গলবার (২০ মে) তার অভিনীত ‘হোমবাউন্ড’ সিনেমা টিমের সঙ্গে লাল গালিচায় রূপের দ্যুতি ছড়ান এই অভিনেত্রী।

ভোগ আরাবিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জীবনের এই বিশেষ মুহূর্তে তরুণ তাহালিয়ান ড্রেস বেছে নেন জাহ্নবী কাপুর। গোলাপী রঙের পোশাকটি জাহ্নবীর জন্য তৈরি করা হয়। ভারতের বেনারসে তৈরি করা হয় জাহ্নবীর পোশাকটি। এই স্কার্ট এবং করসেটটি আসল টিস্যু থেকে তৈরি করা হয়েছে।

চলচ্চিত্র উৎসবে ভোগের সঙ্গে কথা বলেন জাহ্নবী কাপুর। এ অভিনেত্রী বলেন, “আমি সবসময়ই হাইপার গ্ল্যামারাস হতে আগ্রহী।”

আরো পড়ুন:

২৮৭ কোটি টাকা ছাড়িয়ে অজয়ের সিনেমার আয়

মায়ের ‘টিপ টিপ বারসা পানি’ গানে নেচে ভাইরাল রাশা

ভারতীয় ডিজাইনারের পোশাক পরে কানের মঞ্চে দাঁড়াতে পেরে গর্বিত জাহ্নবী। তার মতে, “এই মঞ্চে অনেক বিশ্বতারকা ভারতীয় ডিজাইনার-কারিগরের পোশাক পরে উপস্থিত হয়েছেন। সময় এসেছে ভারতীয় এই শিল্পীদের সামনে নিয়ে আসার।”

৭৮ তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় হাঁটার নানা মুহূর্ত ছড়িয়ে পড়েছে অন্তর্জালে। এই বিশ্ব মঞ্চে জাহ্নবী কেবল শরীরি সৌন্দর্য ছড়াননি। বরং উপস্থিত দর্শকদের সঙ্গে দারুণভাবে যোগাযোগ স্থাপন করেন। সেলফির পাশাপাশি অটোগ্রাফ দেন ‘ধড়ক’ তারকা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে ভূয়সী প্রশংসা করছেন জাহ্নবীর ভক্ত-অনুরাগীরা।

ধড়ক’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন জাহ্নবী। এরপর ‘রুহি’, ‘গুঞ্জন সাক্সেনা: দ্য কার্গিল গার্ল’, ‘ঘোস্ট স্টোরিজ’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। দক্ষিণী সিনেমায়ও অভিষেক হয়েছে তার। ‘দেবারা’ শিরোনামের এ সিনেমায় নায়ক হিসেবে পেয়েছেন জুনিয়র এনটিআরকে। এটি তার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত সর্বশেষ সিনেমা।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ হ নব ক প র চলচ চ ত র ক ন চলচ চ ত র উৎসব

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামের জব্বারের বলীখেলা ও সাম্পানবাইচে যুক্ত হবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়

আগামী বছর থেকে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলা ও সাম্পানবাইচে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আজ সোমবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এ দুই উৎসবে মন্ত্রণালয় থেকে পৃষ্ঠপোষকতা করা হবে বলেও জানান তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাদের দুটো উৎসব আমরা চিহ্নিত করেছি। একটা হচ্ছে জব্বারের বলীখেলা। সিডনির নাম বললে অপেরা হাউসের ছবি ভাসে। চট্টগ্রামের নাম বললে অনেক ছবি ভাসে, যার মধ্যে জব্বারের বলীখেলা একটি। পাশাপাশি আরেকটি হলো সাম্পানবাইচ। হলুদ ট্যাক্সি ছাড়া যেমন নিউইয়র্ক শহর চিন্তা করা যায় না, তেমনি সাম্পান ছাড়া চট্টগ্রাম চিন্তা করা যায় না। আগামী বছর থেকে জব্বারের বলীখেলা ও সাম্পানবাইচের সঙ্গে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় যুক্ত হবে।’

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘উৎসব বলতে শুধু উৎসব, তা নয়। আমাদের কালচারাল হেরিটেজের সঙ্গে যেসবের সংযোগ রয়েছে, সেগুলোর একটা তালিকা করার কাজ দিয়েছি। আপাতত শিল্পকলা একাডেমিকে দেওয়া হয়েছে (তালিকার কাজ)। এ তালিকা হওয়ার পর এগুলো আমাদের কালচারাল হেরিটেজ ক্যালেন্ডারে যুক্ত হবে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো তার দেশের মানুষদের কাজ তুলে ধরা পৃথিবীর কাছে।’

চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি মুসলিম ইনস্টিটিউট সম্পর্কে উত্তর দিতে চাই না। এটা এখনো নির্মাণাধীন। এটা শেষ হওয়ার পর আমরা বুঝতে পারব, কবে চালু করে দেওয়া যাবে। তবে আমার একটা সাধারণ মন্তব্য আছে। আমি বাইরে থেকে এক রকম জানতাম। ভেতরে এসে বুঝতে পারলাম, আমাদের সব মন্ত্রণালয়ের উন্নয়নের দর্শন হচ্ছে শুধু দালান বানানো। দালানের ভেতরে কী হবে, এটা আর কোনো খবর নেই।’

শিল্পকলা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘আমাদের শিল্পকলাগুলোর কবে যে কে একটা কারিকুলাম বানিয়ে দিয়ে গেছে, সেটা এখনো চলছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী বিষয় বাংলাদেশের গান। আমরা এটাকে মূল্য দিই না। আমাদের সম্পদগুলো ব্যবহার করি নাই। বাংলাদেশের শিল্পকলাগুলো এগুলো নিয়ে কখনো ভাবে না। রক মিউজিকে সবচেয়ে বড় অবদান চট্টগ্রামের মিউজিশিয়ানদের। কেন চট্টগ্রাম শিল্পকলাকে রক মিউজিশিয়ানরা তাদের আখড়া ভাবতে পারল না, এটা শিল্পকলার ব্যর্থতা।’

বিভাগীয় শহর হলেও চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কুমিল্লায়, সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর স্ট্রাকচারগুলো (গঠন) কিন্তু আমাদের এই মডার্ন (আধুনিক) সমাজের চাহিদা মেটানোর জন্য তৈরি করা হয়নি। আমরা যে অল্প কয়েক দিনের সরকার, আমাদের পক্ষে এটা রিস্ট্রাকচারিং (পুনর্গঠন) করা খুব কঠিন কাজ। এটার জন্য নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন। এটি আমাদের অধীন সব বিভাগের প্রয়োজন।’

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস–সংলগ্ন জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের বিষয়ে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, এটি গত ১৬ বছর প্রায় অকার্যকর ছিল। এটির বরাদ্দ দ্বিগুণ করা হয়েছে। এটি আসলে জাদুঘরে রূপান্তর হয়নি। কিউরেটরের (রক্ষণাবেক্ষণ) কাজ এখনো সঠিক নয়। এটার সঙ্গে কিউরেটর দল যেমন থাকা উচিত, আধুনিকায়ন যেমন হওয়া উচিত, পাশাপাশি এটার পেছনে একটি গবেষণা দল সংযুক্ত করা উচিত। একটি গবেষণা দল তৈরি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১৫-২০ দিনের মধ্যে এটার অগ্রগতি জানতে পারবেন।

সভায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে উপদেষ্টা নগরের কে সি দে সড়ক এলাকায় চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছেন। একই দিন আগ্রাবাদ এলাকায় চট্টগ্রাম জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর এবং এম এম আলী সড়কে জেলা শিল্পকলা একাডেমি পরিদর্শনের কথা রয়েছে উপদেষ্টার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যুক্তরাজ্যের উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেলেন মেহজাবীন
  • পাঁচ মিনিটের করতালিতে মুগ্ধ স্কারলেট
  • ৫৫ বছর পর কানে ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’
  • ভেতরে যদি আনন্দ না থাকে তাহলে বেঁচে থাকা অর্থহীন
  • ‘রুটস অফ এ্যালিগ্যান্স’ থিমে সারা’র বাহারি ঈদ পোশাক
  • ইবিতে ছাত্রশিবিরের ৩ দিনব্যাপী বিজ্ঞান উৎসব শুরু
  • কান উৎসবে বিশ্ব নারী অ্যাজেন্ডা: সমতা এখন আর গল্প নয়, বাস্তবতা
  • কান চলচ্চিত্র বিশ্ব নারী অ্যাজেন্ডা : সমতা এখন আর গল্প নয়, বাস্তবতা
  • চট্টগ্রামের জব্বারের বলীখেলা ও সাম্পানবাইচে যুক্ত হবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়