প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিভিন্ন দলের নেতারা
Published: 25th, May 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে প্রথম দফায় বৈঠকে বসেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। রোববার বিকেলে ৫টার পর এ বৈঠক শুরু হয়।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় প্রবেশ করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সেক্রেটারি সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়কারী টিপু বিশ্বাস।
এরপর দ্বিতীয় দফায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ বৈঠক করার কথা রয়েছে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির জাতীয় নির্বাহী পরিষদের মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার ও ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজি।
নানা ক্ষোভ ও হতাশা থেকে প্রধান উপদেষ্টা ড.
শনিবার বৈঠক হয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের সঙ্গে। এরই ধারাবাহিকতায় আজও বিভিন্ন দলের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
ডিপোতে পোঁতা ছিল বাস মালিকের লাশ
পরিবহন ব্যবসায়ী আনারুল হোসেন শিকদারকে হত্যার পর লাশ পুঁতে রাখা হয় তুরাগের বাস ডিপোতে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভাষ্য, বাসের চালক ও নিরাপত্তাকর্মীর হাতে ব্যবসায়ী আনারুল নির্মমভাবে খুন হয়েছেন।
গত ১৭ জানুয়ারি নিখোঁজের পরদিন ঢাকার তুরাগ থানায় জিডি করেন পরিবারের সদস্যরা। এর পর তদন্তে নামে পুলিশ। দীর্ঘ চার মাস তদন্তের পর সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেপ্তার করে তুরাগ থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা শিকার করে তারা। পরে তাদের দেখানো স্থান থেকে গতকাল রোববার আনারুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার তিনজন হলো– সবুজ, শাকিল ও কালাম। তিনজনই রাইদা পরিবহনের বাসচালক। শনিবার রাতে সবুজকে প্রথমে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে শাকিল ও কালামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই বিডিজবসের কর্মকর্তা দেলোয়ার শিকদার তুরাগ থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, মালিককে হত্যা করার পরও আসামিরা স্বাভাবিকভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে আসছিল। পালিয়ে না যাওয়ায় তাদের সন্দেহের তালিকায় আনা হয়নি। তবে গত কয়েক দিন সবুজের কথাবার্তা ও আচরণে সন্দেহ হয় তদন্ত-সংশ্লিষ্টদের। এক পর্যায়ে সবুজসহ তিনজনই পালিয়ে যায়। শনিবার তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যারহস্যের জট খোলে।
নিহতের ভাতিজা তানভির শিকদার সমকালকে জানান, নিখোঁজের পর থেকে আমাদের সন্দেহ হয় ডিপো নিয়ে। একাধিকবার নিরাপত্তাকর্মী আসাদুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু সে জানায়, ঘটনার দিন সকালে তার কাছ থেকে কিস্তির ৩১ হাজার টাকা নিয়ে বেরিয়ে যান চাচা।
তানভির শিকদার বলেন, ঘটনার ক’দিন আগে চাচা আমাকে জানান, সবুজের কাছে আট লাখ টাকা ও ডিপোর নিরাপত্তাকর্মী আসাদুল্লাহর কাছে বাস বিক্রির ১৮ লাখ টাকা নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে। তারা ঠিকমতো কিস্তি দিতে পারছে না। এ নিয়েই আসাদুল্লাহ ও সবুজ চাচাকে হত্যা করেছে।
আনারুল শিকদারের গ্রামের বাড়ি বরিশাল সদরে। স্ত্রী ও তিন ছেলেকে নিয়ে তিনি ঢাকার উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ২৬ নম্বর রোডের ১৪ নম্বর বাড়িতে দীর্ঘদিন বসবাস করতেন। কয়েকটি গাড়ি কিনে রাইদা কোম্পানিকে ভাড়া দিয়েছিলেন।
তুরাগ থানার এসআই মামুনুর রশিদ জানান, রোববার বিকেলে ব্যবসায়ী আনারুলের লাশ মর্গে পাঠানো হয়। সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।