নজরুলের স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের কাজ শেষ করতে হবে পরবর্তী সরকারকে
Published: 25th, May 2025 GMT
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের কাজ কুমিল্লায় শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। তবে, এ কাজ বর্তমান সরকারের মেয়াদে শেষ হবে না বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
রবিবার (২৫ মে) বিকেলে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “এই সরকারের আমলে হয়তো কাজটা শেষ হবে না। আমরা কাজটি শুরু করতে পারছি, সেটাই বড় কথা। কাজ শেষ করতে হবে পরবর্তী সরকারকে।”
অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন। সহযোগিতা করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
আরো পড়ুন:
বন্যার্তদের পাশে থাকার প্রত্যয়ে কিশোরগঞ্জে জন্মাষ্টমী পালন
ছানার সন্দেশ
উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, “জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম ছিলেন বর্ণাঢ্য চরিত্রের মানুষ। তাকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মিত হলে তা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হবে। তার দর্শন অসাধারণ, যা সময় পেরিয়ে আজও প্রাসঙ্গিক।’
তিনি আরো বলেন, “জুলাই আন্দোলনের দিকে তাকালে দেখা যাবে, কীভাবে নজরুল প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছিলেন। দেয়ালে দেয়ালে লেখা হয়েছে তার কবিতা ও গান। মানুষ সেগুলো আন্দোলনের ভাষা হিসেবে ব্যবহার করেছে। শিল্পের শক্তি এখানেই। একশ বছর আগে লেখা কবিতা-গান আজও মানুষকে আন্দোলিত করে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মো. লতিফুল ইসলাম শিবলী, কবি আবদুল হাই শিকদার এবং কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়, সোমবার (২৬ মে) জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকীর দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে জেলার মুরাদনগরের দৌলতপুরে। সমাপনী অনুষ্ঠান হবে মঙ্গলবার (২৭ মে) জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সভাপতিত্ব করবেন জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার।
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক জ নজর ল ইসল ম উপদ ষ ট অন ষ ঠ ন ল ইসল ম নজর ল সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার’ ও ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন ফিজিক্স’ প্রদানের জন্য দেশের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
কোন সালের জন্য পুরস্কার —ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের গবেষণা কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
পুরস্কার মল্যমান কত —১. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পুরস্কার পাওয়া গবেষককে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
২. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে নগদ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ —আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে—আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিন কপি আবেদনপত্র, তিন প্রস্থ জীবনবৃত্তান্ত, তিন প্রস্থ গবেষণাকর্ম এবং তিন কপি ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
দরকারি তথ্য—১. জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকাশিত গবেষণাকর্ম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।
২. যৌথ গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে গবেষণা পুরস্কারের অর্থ সমান হারে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগী গবেষক বা গবেষকের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে।
৩. আবেদনকারী যে বছরের জন্য আবেদন করবেন পাবলিকেশন ওই বছরের হতে হবে।
৪. একই পাবলিকেশন দিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবেদন করা যাবে না।
৫. কোন কারণে একজন প্রার্থী পুরস্কারের জন্য আবেদন করলে প্রার্থিতার স্বল্পতা বিবেচনা করে তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হবে।
৬. পরীক্ষক তাঁর গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ না করলে তাঁকে পুরস্কারের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।
৭. পদার্থবিজ্ঞানে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার একবার প্রাপ্ত গবেষকও পরবর্তী সময়ে আবেদন করতে পারবেন।
৮. নতুন গবেষককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
৯. যদি মানসম্মত গবেষণা কাজ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পূর্বের পুরস্কার পাওয়া গবেষকের নতুন গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য পরীক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।
# আবেদন জমা দেওয়ার ঠিকানা: প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।