কলকাতায় পুলিশের বাইকে ধাক্কা মারা অভিযুক্ত ক্যাব চালক বাংলাদেশি
Published: 25th, May 2025 GMT
গত সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় এক পুলিশ সদস্যের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেওয়া গাড়িচালক বাংলাদেশি নাগরিক। রবিবার কলকাতা পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
১৮ মে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাটে নেতাজি নগর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শকক সুষেন দাসের মোটরসাইকেলে পিছন থেকে ধাক্কা মারে এক ক্যাব চালক। এতে গুরুতর জখম হন তিনি। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য নিয়ে ওই চালককে গ্রেপ্তার করে কালীঘাট থানার পুলিশ। পরবর্তীতে অভিযুক্ত গাড়ির চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করার পরে জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন বাংলাদেশি নাগরিক। ৪১ বছর বয়সী ওই অভিযুক্তের নাম আজাদ শেখ।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্ত আজাদ শেখ পুলিশকে যে সব নথিপত্র দেয় তা যাচাই করে দেখা যায় আজাদ শেখ বাংলাদেশের বাসিন্দা। প্রায় দুই বছর আগে তিনি অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেন। পরবর্তীতে ভুয়া ভারতীয় নথি সংগ্রহ করে ভুয়া আধার কার্ড, ভোটার কার্ড তৈরি করে নিয়েছিলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বসবাস করতে শুরু করে সে।
ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা হয়েছে। পাশাপাশি ভারতীয় মোটর ভেহিকেল আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজাদ শেখকে ভারতে প্রবেশের সহযোগিতা করা, ভুয়া ভারতীয় পরিচয় পত্র বানিয়ে দেওয়াসহ একাধিক অভিযোগে জাফর আলী শেখ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে উত্তর চব্বিশ পরগনার ন্যাজাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে কালীঘাট থানার পুলিশ। পুলিশের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে গোটা ঘটনাটি স্বীকার করেছে জাফর আলী।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আজ দ শ খ কলক ত
এছাড়াও পড়ুন:
জানেন কি, মসজিদে নববিতে ৫টি মিহরাব
মসজিদে নববি আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর মসজিদ। তিনি নিজে এই মসজিদ নির্মাণে অংশ নিয়েছেন এবং এর সংলগ্ন ঘরে বাকি জীবন কাটিয়েছেন। এখনো তাঁর ‘রওজা’ এই মসজিদের ভেতরেই। এই মসজিদে প্রবেশ করলে দর্শনার্থীদের দৃষ্টি স্বভাবত এর অপূর্ব মিহরাবগুলোর দিকে যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, মিহরাবে সৌন্দর্যবর্ধনের ইতিহাস শুরু হয় ৮৮৮ হিজরিতে সুলতান কায়তবাইয়ের (১৪৬৮-১৪৯৬ খ্রি.) নেতৃত্বে। পরবর্তী সময়ে বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ লক্ষ করেন, মিহরাবগুলো তাদের মূল রূপ ও সৌন্দর্য হারাচ্ছে। তাই তিনি ১৪০৪ হিজরিতে এর খিলানগুলো সংস্কার করেন।
মসজিদে নববিতে মোট ৫টি মিহরাব রয়েছে। এর কোনোটি নবীযুগে নির্মিত, কোনোটি পরবর্তী যুগের ‘খলিফারা’ যুক্ত করেছেন।
১. মিহরাবে নববি
মিহরাবে নববি হলো মহানবী (রা.)-এর ব্যবহৃত মিহরাব। এখনো মিহরাবটি সেই স্থানে অবস্থিত, যেখানে নবী মুহাম্মদ (সা.) নামাজের ইমামতি করতেন। আজও মসজিদে নববীর ইমাম এই একই স্থান থেকে নামাজের নেতৃত্ব দেন।
আরও পড়ুন মদিনা যাত্রায় মনের কোণে যত কথা২১ জুন ২০২৪মিহরাবে সৌন্দর্যবর্ধনের ইতিহাস শুরু হয় ৮৮৮ হিজরিতে সুলতান কায়তবাইয়ের (১৪৬৮-১৪৯৬ খ্রিষ্টাব্দ) নেতৃত্বে। পরবর্তী সময়ে বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ লক্ষ করেন, মিহরাবগুলো তাদের মূল রূপ ও সৌন্দর্য হারাচ্ছে।২. মিহরাবে তাহাজ্জুদ
মিহরাবে তাহাজ্জুদ মসজিদের উত্তর দিকের ঘরে অবস্থিত। এটি সেই স্থানের প্রতীক, যেখানে নবীজি (সা.) তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন। ইতিহাসবিদদের মতে, ৬৪৩ হিজরিতে ইবনে নাজ্জারের সময় এই মিহরাব ছিল, কিন্তু পরে তা সরিয়ে ফেলা হয়। উসমানীয় শাসকেরা পরবর্তীকালে লাল পাথর দিয়ে আবার তা নির্মাণ করেন। মিহরাবে তাহাজ্জুদের আয়াত সোনার অক্ষরে খোদিত আছে।
৩. মিহরাবে ফাতেমা
মিহরাবে ফাতেমা নবীজির (সা.)-এর ‘হুজরা’র (কক্ষ) ভেতরে অবস্থিত। এটি মামলুক যুগে নির্মিত হয় এবং মিহরাবে নববীর সঙ্গে এর বেশ মিল রয়েছে।
৪. মিহরাবে উসমানি
মিহরাবে উসমানি মসজিদের কিবলামুখী দেয়ালে নির্মিত। এটি প্রথম নির্মাণ করেন উমাইয়া খলিফা আল-ওয়ালিদ বিন আবদুল মালিক। পরে ৮৮৮ হিজরিতে সুলতান কায়তবাই এটি সংস্কার করে নতুন রূপ দেন।
৫. মিহরাবে সুলায়মানি
মিহরাবে সুলায়মানি নবম শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে নির্মিত এবং মসজিদে নববীর মিম্বরের পশ্চিমে তৃতীয় স্তম্ভে অবস্থিত। ৯৪৮ হিজরিতে সুলতান সুলায়মান খান এটি পুনর্নির্মাণ করেন এবং এর নামকরণ করেন মিহরাবে সুলায়মানি। তিনি এতে সাদা ও কালো ফুলের নকশাযুক্ত পাথর স্থাপন করেন, যা আজও রয়েছে।
সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফর্মেশন ডটকম
আরও পড়ুনকাবা সম্পর্কে যে ৯টি তথ্য জানা উচিত২১ মে ২০২৫