Samakal:
2025-09-18@03:38:10 GMT

সুইডেনের তিনটি বৃত্তি

Published: 25th, May 2025 GMT

সুইডেনের তিনটি বৃত্তি

শিক্ষা ব্যাবস্থার উন্নতমান, অফুরন্ত গবেষণা কর্মের সুযোগ, স্কলারশিপ, ক্রমবর্ধমান ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রের চাহিদার কারণে উত্তর ইউরোপের দেশ সুইডেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের গন্তব্য হতে পারে। পরিবেশ বিজ্ঞান, ভাষা শিক্ষা , কৃষি গবেষণা ও  ইঞ্জিনিয়ারিং– এসব বিষয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য সুইডেনকে আদর্শ বলা হয়। তবে এর পাশাপাশি আরও কিছু বিষয়  উল্লেখযোগ্য। বিষয়গুলো হলো– এমবিএ, টেলিকমিউনিকেশন, আইন, ম্যাথমেটিক্স, জনস্বাস্থ্য, আর্ট অ্যান্ড ডিজাইন, মেডিকেল, অর্থনীতি, ভূগোল, হিউম্যান রিসোর্স, হেলথ কেয়ার ম্যানেজমেন্ট, ফিল্ম ও মিডিয়া, লাইফ সায়েন্স ইত্যাদি সুইডেনে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কিছু জনপ্রিয় স্কলারশিপ রয়েছে। 
Swedish Institute Scholarships for Global Professionals (SISGP): এটি সুইডেনের সবচেয়ে পরিচিত এবং মর্যাদাপূর্ণ স্কলারশিপগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি সুইডিশ ফরেন অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয় দ্বারা অর্থায়ন করা হয় এবং মূলত EU/EEA-এর বাইরের দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই স্কলারশিপ টিউশন ফি, জীবনযাত্রার খরচ (মাসিক ভাতা), ভ্রমণ অনুদান এবং স্বাস্থ্য বীমা কভার করে। এটি সাধারণত ‘ফিউচার গ্লোবাল প্রফেশনালস’ তৈরি করার লক্ষ্যে দেওয়া হয়।
Lund University Global Scholarship : লুন্ড ইউনিভার্সিটি সুইডেনের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের গ্লোবাল স্কলারশিপ প্রোগ্রাম মেধাবী আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের (EU/EEA-এর বাইরের) জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি টিউশন ফির সম্পূর্ণ বা আংশিক অংশ কভার করে। স্কলারশিপের পরিমাণ শিক্ষার্থীর একাডেমিক যোগ্যতা এবং প্রোগ্রাম ভেদে পরিবর্তিত হয়।
Chalmers IPOET Scholarships: চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি  আন্তর্জাতিক মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য IPOET (International Programme Office for Education and Training) স্কলারশিপ প্রদান করে। এটিও EU/EEA-এর বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য। এই স্কলারশিপ সাধারণত টিউশন ফির ৭৫% পর্যন্ত মওকুফ করে।
Uppsala University Scholarships :  উপসালা ইউনিভার্সিটি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন স্কলারশিপ অফার করে, বিশেষ করে মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদনকারীদের জন্য। এই স্কলারশিপগুলো সাধারণত EU/EEA-এর বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য এবং প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান এবং মানবিকতার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপলব্ধ। এটি টিউশন ফি কভার করতে সাহায্য করে। এই স্কলারশিপগুলোর পাশাপাশি সুইডেনের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও তাদের নিজস্ব স্কলারশিপ প্রোগ্রাম অফার করে। যে কোনো স্কলারশিপের জন্য আবেদন করার আগে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট এবং স্কলারশিপের অফিসিয়াল পেজ দেখে যোগ্যতা, আবেদনের প্রক্রিয়া এবং সময়সীমা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গ্রন্থনা :: রাজিয়া আক্তার

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ক ষ র থ দ র জন য ট উশন ফ

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

এশিয়া কাপে আজকের রাত যেন এক নাটকীয় অধ্যায়। ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আবুধাবির মাঠে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া এই লড়াই কেবল দুই দলের নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ভাগ্যও। কোটি টাইগার সমর্থক তাই আজ তাকিয়ে থাকবে টিভি পর্দায়। কারণ, এই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে, বাংলাদেশ কি সুপার ফোরে উড়াল দেবে, নাকি গ্রুপ পর্বেই শেষ হবে স্বপ্নযাত্রা।

গ্রুপের সমীকরণ এখন টানটান নাটকের মতো। তিন ম্যাচে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শ্রীলঙ্কা। সমান ৪ পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ঝুলিতে আছে ২ পয়েন্ট; এক জয় ও এক হারের ফল। হংকং অবশ্য তিন ম্যাচেই হেরে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে।

আরো পড়ুন:

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান

এখন হিসাবটা এমন—
আফগানিস্তান হেরে গেলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই সুপার ফোরে।
আফগানিস্তান জিতলে সমীকরণ জটিল হবে। তখন শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের পয়েন্ট সমান ৪ হলেও নেট রান রেটে স্পষ্ট এগিয়ে থাকবে আফগানরা (২.১৫০)। শ্রীলঙ্কার রান রেট ১.৫৪৬, আর বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে -০.২৭০-তে।

অর্থাৎ আফগানিস্তান যদি জেতে, তবে বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে এক অসম্ভব সমীকরণের দিকে। সেটা হলো- লঙ্কানদের অন্তত ৭০ রানের ব্যবধানে হারতে হবে এবং তা করতে হবে ৫০ বল হাতে রেখে। অন্যথায় রান রেটের খেলায় পিছিয়েই থাকতে হবে টাইগারদের। তবে বৃষ্টি যদি হানা দেয় কিংবা ম্যাচ কোনো কারণে পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দু’দলই নিশ্চিতভাবেই চলে যাবে সুপার ফোরে।

ম্যাচকে ঘিরে দুই শিবিরেই চাপ-উত্তেজনার আবহ। আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব মনে করেন, চাপটা আসলে শ্রীলঙ্কার ওপরই বেশি, “আমরা এসব টুর্নামেন্ট খেলতে অভ্যস্ত, আমাদের কোনো চাপ নেই। শ্রীলঙ্কা ভালো দল ঠিকই, তবে তারাও চাপে থাকবে। আমার মনে হয় দারুণ একটা ম্যাচ হবে।”

অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। হ্যাঁ, বাংলাদেশের সমর্থকরা আমাদের জয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরাও জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামব।”

হংকংয়ের বিপক্ষে জিতলেও শ্রীলঙ্কাকে ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা বলছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়টা সহজ হবে না তাদের জন্যও। শেষ পর্যন্ত কারা হাসবে জয়ের হাসিতে, আর কোন সমীকরণে দাঁড়াবে বাংলাদেশের ভাগ্য; এই প্রশ্নের উত্তরই দেবে আজকের আবুধাবির রাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ