কমলগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ২১ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
Published: 26th, May 2025 GMT
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় নারী ও শিশুসহ ২১ জনক আটক করেছে বিজিবি।
সোমবার (২৬ মে) সকাল পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের মতেরবল সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। বিজিবি-৪৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এ এস এম জাকারিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতদের মধ্যে সাতজন পুরুষ, ছয়জন নারী ও আটজন শিশু। তারা কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত করেছে বিজিবি।
আরো পড়ুন:
সুনামগঞ্জে কোটি টাকার ভারতীয় শাড়ি উদ্ধার
ফেনী সীমান্তে ভারতীয় গরুসহ ৯৬ লাখ টাকার পণ্য জব্দ
বিজিবি সূত্র জানায়, সোমবার সকালে উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা দিয়ে দেশে প্রবেশের সময় নারী ও শিশুসহ ২১ জনক আটক করা হয়। পরিচয় যাচাই-বাছাই শেষে জানা যায়, তারা সবাই কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা। তাদের ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশ সীমান্তে ঠেলে পাঠিয়েছে।
বিজিবি-৪৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এ এস এম জাকারিয়া জানান, আটককৃতদের কমলগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হবে।
আটকৃতরা হলেন- কুড়িগ্রাম সদর থানার দেওয়াবের খামার গ্রামের মো বেলাল হোসেন (৪৫), রাশেদা বেগম (৩৫), ফুলবাড়ি উপজেলার শিমুল বাড়ি গ্রামের মো.
কমলগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, “এখনো আটককৃতদের থানায় হস্তান্তর করা হয়নি। হস্তান্তরের পর তাদের বিষয়ে
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এর আগে, রবিবার (২৫ মে) মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা নারী ও শিশুসহ ১২১ জনকে আটক হন। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান।
বিজিবি সূত্র জানায়, রবিবার ভোরে উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে দেশে প্রবেশের সময় নারী ও শিশুসহ ১২১ জনক আটক করা হয়। বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন লাতু বিওপি ক্যাম্পের সদস্যরা ৭৯ জনকে এবং পাল্লাথল বিজিপি ক্যাম্পের সদস্যরা ৪২ জনকে আটক করে। পরিচয় যাচাই-বাছাই শেষে আটককৃতদের বড়লেখা থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি।
ঢাকা/আজিজ/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ আটক কমলগঞ জ ও শ শ সহ উপজ ল র প রব শ
এছাড়াও পড়ুন:
১২ হাজার তরুণ–তরণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পিকেএসএফ
পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে দেশের ১২ হাজার তরুণ-তরুণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষানির্ভর তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রিজ কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের (এসআইসিআইপি) আওতায়। এ প্রকল্পে সহায়তা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
আজ সোমবার রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে এসআইসিআইপি ও পিকেএসএফের প্রকল্পের উদ্বোধন ও প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণার্থী তরুণেরা ১২টি খাতের প্রশিক্ষণ পাবেন। প্রশিক্ষণ চলাকালে থাকা-খাওয়ার সব খরচ প্রকল্প থেকে বহন করা হবে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। বাকি ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন নিম্ন আয়ের ও প্রান্তিক অঞ্চলের তরুণেরা। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর অংশগ্রহণকারীদের আত্মকর্মসংস্থান বা মজুরিভিত্তিক চাকরির ক্ষেত্রেও সহায়তা করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, দেশে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে বিদেশে। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে পিকেএসএফ ও এর সহযোগী সংস্থাগুলো সেই চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবে।
পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, ‘প্রতিবছর ২০ লাখের বেশি তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছেন। এটি একই সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা। প্রকল্পের আওতায় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্বীকৃত কোর্স অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে প্রশিক্ষণ শেষে তাঁরা সহজেই কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে পারেন।’
অনুষ্ঠানে পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ১২ হাজার ছাড়াও আরও ৮ হাজার ৫০০ তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গের তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পাশাপাশি ২ হাজার এতিম ও দুস্থ তরুণকেও প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ সময় অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বক্তব্য দেন।