পটুয়াখালী সদর উপজেলার দক্ষিণ ছোট বিঘাই ইসহাকিয়া দাখিল মাদরাসার এডহক কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। একইসঙ্গে অবৈধ কমিটি অনুমোদন না-দেওয়ার দাবিতে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে লিখিত আবেদন করেছেন মাদরাসার প্রতিষ্ঠাদের অন্যতম এবং জমিদাতাদের ওয়ারিশ ব্যাংক কর্মকর্তা তোফায়েল আহমাদ।

বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে দেওয়া লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৪ সালে উল্লেখিত মাদরাসার ৫৮ শতাংশ জমি দান করেন আবেদনকারী তোফায়েল আহমাদের বাবা ও চাচা। জমির দলিল নাম্বার ৩৯৯২। বিগত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি এবং তার পরিবার প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নে ধারাবাহিক অবদান রেখেছেন। মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার গত ১৯ মে অ্যাডহক কমিটির প্যানেল গঠনের জন্য মিটিং আহ্বান  করেন। অজ্ঞাত কারণে সেই মিটিং না করে এবং কাউকে না জানিয়ে তিনি দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে রেজুলেশন করে ঢাকায় বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে পাঠান। সেখানে তিনজনের প্যানেলে প্রথমে যাকে রাখা হয়েছে তার বাড়ি মাদরাসা থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে। তার কাছ থেকে মাদরাসার অফিস সহকারী নিজামউদ্দিন অর্থ লেনদেন করেছেন বলে তোফায়েল আহমাদের অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। তার দাবি অপর যে দুজনের নাম অ্যাডহক কমিটির প্যানেলে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে তারা পদের জন্য আগ্রহী নন। তাদের ডামি প্রার্থী করা হয়েছে।  

ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গত ২৪ মে দক্ষিণ ছোট বিঘাই ইসহাকিয়া দাখিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। মানববন্ধনে তারা বলেন, ‘‘দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে যে কমিটি প্রেরণ করা হয়েছে তা বাতিল করে সরাসরি মিটিংয়ের মাধ্যমে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় কমিটি করতে হবে।’’

অভিযোগের বিষয়ে মাদরাসার অফিস সহকারী মো.

নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘‘এখানে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সব কিছু করেছেন মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. আবদুস সাত্তার। তিনি মিটিং ছাড়াই পকেট কমিটি করে মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।’’

আবদুস সাত্তারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

এ দিকে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের রেজিস্ট্রারের দপ্তর থেকে প্রস্তাবিত কমিটির বিরুদ্ধে লিখিত আবেদন প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে।  

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল দ শ ম দর স ম দর স র কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

শিবচরে তরুণকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

মাদারীপুরের শিবচরে জামিনে থাকা আসামি রাকিব মাদবরকে (২৫) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ২২ জনকে এজাহারভুক্ত ও অজ্ঞাত আরও ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে নিহত ব্যক্তির চাচি পারুল আক্তার বাদী হয়ে ‍শিবচর থানায় মামলাটি করেন।

এর আগে গত রোববার রাত আটটার দিকে শিবচর পৌর বাজারের প্রধান সড়কে একটি ব্যাংকের সামনে রাকিব মাদবরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। রাকিব শিবচর উপজেলার চরশ্যামাইল এলাকার নাসির মাদবরের ছেলে। তিনি সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

দুই দিন পার হয়ে গেলেও এই ঘটনায় কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এর প্রতিবাদে আজ দুপুরে শিবচর পৌর বাজারের সদর রোডে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন। এ সময় বক্তারা বলেন, প্রকাশ্যে শত শত মানুষের সামনে হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। একটা সভ্য স্বাধীন দেশে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড হতে পারে না। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার না করা হলে ভবিষ্যতে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেবেন তাঁরা।

মামলার বাদী নিহত ব্যক্তির চাচি পারুল আক্তার বলেন, ‘রাকিবরে এতগুলো মানুষের সামনে কুপাইয়া মাইরা ফালাইলো। কেউ বাঁচাতে এগিয়ে আসলো না। যারা খুন করছে, তারা রাকিবের পূর্বশত্রু। আবুল কালাম সরদারের নির্দেশে তার লোকজন এই খুন করেছে। পুলিশ এ ঘটনায় কোনো আসামি এখন অবধি গ্রেপ্তার করে নাই। আসামিগো গ্রেপ্তার চাই, ফাঁসি চাই।’

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিবচর উপজেলার শিরুয়াইল ইউনিয়নের চরশ্যামাইল গ্রামের আবুল কালাম সরদারের লোকজনের সঙ্গে নিহত রাকিব মাদবরের লোকজনের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ৬ মে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় আবুল কালাম সরদারের ছেলে ইবনে সামাদ নিহত হন। ইবনে সামাদ হত্যা মামলার আসামি রাকিব সম্প্রতি জামিন নিয়ে জেল থেকে বের হয়ে এলাকায় আসেন। রোববার রাত আটটার দিকে শিবচর পৌর বাজারের একটি সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাকিব। এ সময় ৪ থেকে ৫ জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাকিবের মৃত্যু হয়।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনায় ২২ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির স্বজন ও স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন করে এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

আরও পড়ুনশিবচরে হত্যা মামলায় জামিনে থাকা আসামিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রস্তাবিত কাঠামোয় বিশ্ববিদ্যালয় চান না সাত কলেজের শিক্ষকেরা
  • দুর্গাপূজায় অরাজকতা রোধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান মহিলা পরিষদের
  • বন কর্মকর্তার ১৭ বিয়ে: আদালতে মামলা, তদন্তে পিবিআই
  • শিবচরে তরুণকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
  • সুনামগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান পরিবর্তনের দাবিতে ৫টি পরিবেশবাদী সংগঠনের মানববন্ধন
  • ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনী রোডম্যাপের দাবিতে মানববন্ধন
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাঁর মাকে হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন