মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষ ফিচার
Published: 27th, May 2025 GMT
ডিজিটাল সুস্থতায় গুরুত্ব দিতে গাইডেড মেডিটেশন ফিচার চালু করেছে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এ ফিচার গ্রাহকের ভালো ঘুম ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়ক হবে। ইতোমধ্যে ফিচারটি ২৩ লাখ ডলারের গ্লোবাল মেন্টাল হেলথ এডুকেশন ফান্ডের সঙ্গে চালু করা হয়েছে, যা নিরাপদ অনলাইন পরিবেশের শর্ত পূরণের লক্ষ্যে কাজ করবে। নতুন মেডিটেশন ফিচারটি আগে স্লিপ আওয়ারস ফিচারের অংশ হিসেবে তৈরি। গবেষণা রিপোর্টে জানা গেছে, মেডিটেশন ঘুমের মান উন্নয়নে সহায়ক। সে জন্য শুরু থেকেই মেডিটেশন ফিচারটি সব বয়সের গ্রাহকের জন্য প্রযোজ্য। ১৮ বছরের নিচে বয়সীদের জন্য ফিচারটি নিজে থেকে সক্রিয় হবে। রাত ১০টার পর তাদের ফর ইউ ফিডটি সাময়িকভাবে গাইডেড মেডিটেশন প্রম্পটে প্রতিস্থাপিত হবে। যদি তার পরে ব্রাউজিং করা হয়, দ্বিতীয় স্ক্রিন দৃশ্যমান হবে, যা স্বাস্থ্যকর স্ক্রিন টাইম অভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।
সমীক্ষায় জানা গেছে, ৯৮ শতাংশ কিশোর-কিশোরী মেডিটেশন ফিচারটি সচল করেছে।
বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ মিনিট মেডিটেশন করার পরামর্শ দেন, যা মানসিক চাপ কমাতে ও মনোযোগ বাড়াতে সহায়ক। জ্যামা ইন্টারনাল মেডিসিন ও হার্ভার্ড হেলথের গবেষণা বলেছে, ঘুমানোর আগে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মেডিটেশন করলে ঘুমের মান উন্নত হয় এবং মানসিক ভারসাম্য স্থিতিশীল হয়। সারাবিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা এগিয়ে নিতে প্ল্যাটফর্মটি ২২টি দেশের ৩১টি মানসিক স্বাস্থ্য সংগঠনকে ২৩ লাখ ডলারের বিজ্ঞাপন ক্রেডিট করার ঘোষণা দিয়েছে। উদ্যোগটি ২০২৫ সালের মানসিক স্বাস্থ্য-শিক্ষা তহবিলের অংশ, যা তাদের সহযোগীদের বিশ্বাসযোগ্য ও আকর্ষণীয় কনটেন্ট তৈরি করতে সহায়ক হবে।
টিকটকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি লিড আসমা আনজুম বলেন, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও নেপালের মতো দেশে, একসময় মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলা ছিল ট্যাবু। তবে এখন তা মুক্তভাবে আলোচনা করা হচ্ছে। আমরা ইতিবাচক সাংস্কৃতিক পরিবর্তন দেখছি।
ইন-অ্যাপ টুলস ও পাবলিক অ্যাওয়ারনেস প্রচারণা সময়োপযোগী উদ্যোগ। মানসিক স্বাস্থ্য-শিক্ষা তহবিল ও মেডিটেশন ফিচার ডিজিটাল সুস্থতা ও সামাজিক প্রতিশ্রুতির অংশ। শুধু বিনোদন প্ল্যাটফর্ম নয়; বরং এমন প্ল্যাটফর্ম সমাজে অর্থপূর্ণ পরিবর্তন আনতে ও সব সম্প্রদায়কে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখছে বলে উদ্যোক্তারা জানান। সুস্থতা আর সেফটি উদ্যোগের বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে নিউজরুম বা ইয়ুথ সেফটি অ্যান্ড ওয়েল-বিং সেন্টারে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প ল য টফর ম
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় হামাসের প্রধান মোহাম্মদ সিনওয়ারকে হত্যার দাবি নেতানিয়াহুর
গাজা হামাসের প্রধান মোহাম্মদ সিনওয়ার নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বুধবার ইসরায়েলের পার্লামেন্টে (নেসেট) এ কথা বলেন তিনি। তবে সিনওয়ারের মৃত্যু নিয়ে হামাস তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানায়নি।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামলার পরিকল্পনাকারী ও হামাসের সাবেক প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছোট ভাই মোহাম্মদ সিনওয়ার। ২০২৪ সালের অক্টোবরে গাজার রাফা এলাকায় ইয়াহিয়া সিনওয়ারও ইসরায়েলি সেনাদের হাতে প্রাণ হারান। তাঁর মৃত্যুর পর মোহাম্মদ সিনওয়ার গাজায় হামাসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন।
মোহাম্মদ সিনওয়ারের অবস্থান নিশানা করে চলতি মাসে দক্ষিণ গাজার একটি হাসপাতালে হামলা চালায় ইসরায়েল। গত ২১ মে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, খুব সম্ভবত মোহাম্মদ সিনওয়ার নিহত হয়েছেন। বুধবার নেসেটে নেতানিয়াহু বলেন, মোহাম্মদ সিনওয়ারকে ‘হত্যা’ করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রায় ২০ মাসে ইসরায়েলি সেনাদের হাতে নিহত হামাস নেতাদের নামও তুলে ধরেন তিনি।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘গত দুই দিনে আমরা হামাসের পুরোপুরি পরাজয়ের দিকে একটি নাটকীয় মোড় দেখতে পেয়েছি।’ ইসরায়েল এখন গাজায় ‘খাদ্য বিতরণের নিয়ন্ত্রণও নিচ্ছে’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। এখানে তিনি গাজায় নতুন ত্রাণ সহায়তা বিতরণ ব্যবস্থার কথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত একটি সংগঠন তা পরিচালনা করছে।
নেতানিয়াহুর এই ঘোষণা এমন এক সময় এসেছে যখন ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা তীব্রতর করেছে। চলতি বছরের শুরুতে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ১৮ মার্চ থেকে উপত্যকাটিতে হামলা জোরদার করে ইসরায়েল। ইসরায়েল বলেছে, হামাসের শাসন ও সামরিক ক্ষমতা ধ্বংস করা এবং গাজায় বন্দী থাকা আটকদের মুক্ত করাই তাদের লক্ষ্য।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্ব ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। সেদিন ২৫০ এরও বেশি মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান হামাস যোদ্ধারা।
হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গাজায় পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলায় গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, উপত্যকাটিতে ৫৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ইসরায়েলে হামলার মুখে ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি স্থানচ্যুত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, নিহতদের অধিকাংশই নিরীহ নাগরিক। কতজন যোদ্ধা মারা গেছে, সে বিষয়ে তারা কোনো তথ্য দেননি। ইসরায়েলের দাবি, তারা লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। কিন্তু তারা এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি।