নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘তপন বিহারী নাগ ট্রাস্ট ফান্ড’ এর বৃত্তি কার্যক্রমের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তপন বিহারী নাগ এ ট্রাস্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠা করেন।

বুধবার (২৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ তামজিদ হোসাইন চৌধুরীর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের ৬৮তম সভায় উপস্থাপিত তপন বিহারী নাগ ট্রাস্ট ফান্ড অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যে প্রক্রিয়ায় বৃত্তির বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

যবিপ্রবিতে এয়ারটেলের কনসার্টে অবাধে মাদক সেবনের অভিযোগ

শিবির ছাত্র রাজনীতির পরিবেশকে টক্সিক করে তুলেছে: উমামা ফাতেমা

এ ক্ষেত্রেও একই বিধি অনুসরণপূর্বক এমওইউ স্বাক্ষর করে একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন সাপেক্ষে বৃত্তিটি চালুর অনুমতি প্রদান করা হলো। নোবিপ্রবি কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে দাতা তপন বিহারীর সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় কার্যার্থে বিষয়টি অবগত করা হলো।

নোবিপ্রবি আইন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো.

জামশেদুল ইসলাম বলেন, “কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তপন বিহারী নাগ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তি দিয়ে থাকেন। শিক্ষার্থীদের জন্য এ ধরনের বৃত্তি শুধু আর্থিক সহায়তা নয়, এটি তাদের জন্য একটি অনুপ্রেরণার উৎস। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে আরো শিক্ষার্থী এই বৃত্তির আওতায় আসবে এবং উচ্চশিক্ষায় এগিয়ে যাবে।”

তিনি বলেন, “তপন বিহারী নাগ ট্রাস্ট ফান্ডের মতো উদ্যোগ আমাদের বিভাগের শিক্ষার গুরুত্বকে আরো দৃঢ় করবে। শিক্ষা বৃত্তিটি আমাদের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার বিষয়ে আরো কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। বিভাগের মেধাবীরা এবং যারা আর্থিকভাবে দুর্বল তাদের এই বৃত্তির মাধ্যমে সহযোগিতা করা হবে।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইন ব ভ গ র তপন ব হ র ন ব প রব অন ম দ র অন ম

এছাড়াও পড়ুন:

আমি পাওয়ারকে সিজদা করি: সুব্রত বাইন

আদালতে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি পাওয়ারকে সিজদা করি (উপরের দিকে আঙুল ইশারা করে)। আমার যদি টাকা থাকতো আমি নিজেই পত্রিকা খুলতাম। আপনারা হলুদ সাংবাদিক হইয়েন না। যেটা সত্য, তদন্ত করে আপনারা সেটাই লেখেন। সত্য কথা লিখবেন। ১৯৮৯ সাল থেকে আমার বিরুদ্ধে লিখতেছে। আমার নাম বিক্রি করে যারা চাঁদাবাজি করেন, তাদের আপনারা ধরতে পারেন না? নিজে বাঁচার জন্য আমি কাছে অস্ত্র রাখি। কেউ যদি বলে রাখি না, তাহলে সেটা মিথ্যা হবে।’ 

আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারক আসার আগে কাটগাড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর হাতিরঝিল থানার অস্ত্র আইনের একটি মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফাতেহ আলীকে (৬১)রিমান্ড আবেদনের জন্য  আদালতে হাজির করা হয়। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালত তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া অন্য তিনজনের ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  

এ দিন আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক রিয়াদ আহমেদ। রিমান্ড চাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ (৫৩), এম এ এস শরিফ (২৫) ও মো. আরাফাত ইবনে মাসুদ (৪৩)। 

পরে আসামি সুব্রত বাইনের আইনজীবী বলেন, মিডিয়া তাকে সৃষ্টি করেছে। শত্রুদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এ লিস্ট তৈরি করা হয়। এরপর ২০২৫ পর্যন্ত আর কোনো লিস্ট কিন্তু তৈরি হয়নি। তিনি তিনবার গ্রেপ্তার হন মিডিয়ার কারণে। তিনিও আয়নাঘরে ছিলেন। গ্রেপ্তার চারজনের কাছ থেকে একটা মোবাইল ফোনও জব্দ হয়নি।

আইনজীবী আরও বলেন, কারাগারে তাকে যেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ২০০১ সালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসামি সুব্রত বাইন ও তার সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকা প্রকাশ করে এবং তাদেরকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। তারা সন্ত্রাসী বাহিনী সেভেন স্টার গ্রুপ পরিচালনা করত। সুব্রত বাইন তৎকালীন খুন-ডাকাতি সংঘটনের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করেন। আসামিরা বিভিন্ন মামলায় সাজা ভোগ করা অবস্থায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবারও সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেন। 

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে গতকাল মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ গ্রেপ্তার হন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, আসামি এস এম শরীফের হাতিরঝিলের একটি বাড়িতে তারা নিয়মিত মিটিং করেন এবং সেখানে তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র, গুলি, অপরাধ সংগঠনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি রয়েছে। পরে হাতিরঝিল থানাধীন নতুন রাস্তা এলাকা থেকে একইদিন বিকেলে এম এ এস শরীফ ও আরাফাত ইবনে নাসিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামিরা সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের সক্রিয় সদস্য। প্রাথমিক তদন্তে আসামিদের এ মামলায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার আসামিদের নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের আরও অনেক সহযোগীকে গ্রেপ্তার এবং আরও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে। তারা জামিনে মুক্তি পেলে চিরতরে পালাতে পারেন। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের ১০ দশ দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এ টি এম আজহারের মামলায় ‘স্বার্থের সংঘাত’ নিয়ে দেওয়া কিছু বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়
  • রায়ের কপি পেলে আইন দেখে সিদ্ধান্ত
  • রংপুরে কৃষক সলিম হত্যা মামলায় ৮ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
  • যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে চলছে তর্ক 
  • সারজিসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন
  • আমি পাওয়ারকে সিজদা করি: সুব্রত বাইন
  • নতুন অস্ত্র প্রতিযোগিতার সূচনা করেছে ভারত-পাকিস্তান ড্রোন যুদ্ধ
  • মশা নিয়ন্ত্রণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত হবে না সেনাবাহিনী
  • এ ধরনের কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার পরিকল্পনা নেই সেনাবাহিনীর