নাটোরে দু’ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৪
Published: 28th, May 2025 GMT
নাটোরের লালপুর উপজেলায় মুখোমুখি সংঘর্ষে দুটি ট্রাক দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। এ সময় দুই যানবাহনের চালক ও সহকারী গুরুতর আহত হয়েছে। বুধবার (২৮ মে) সকালে উপজেলার গোধরা ব্রিজ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, নাটোর-পাবনা মহাসড়কের গোধরা ব্রিজ এলাকায় পাথরবোঝাই একটি ট্রাক ও ভুট্টাবোঝাই আরেকটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি ট্রাকই দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় দুই ট্রাকের চালক ও সহকারী মিলে মোট চারজন গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বনপাড়া পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালে নেয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক দুটি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
ঈদে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ডাকাত আতঙ্ক
মোটরসাইকেল আরোহী নিহত, বিক্ষুব্ধ জনতার বাসে আগুন
ঢাকা/আরিফুল/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন আহত
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।