মাঠে না গিয়েও কীভাবে সব ফুটবলারের খবর রাখেন কাবরেরা
Published: 28th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরার ছুটি কাটানো নিয়ে প্রায়ই সমালোচনা হয়। কদিন আগেও প্রায় চার সপ্তাহ ছুটি কাটিয়ে দেশে ফেরেন এই স্প্যানিশ। ঘন ঘন ছুটিতে থাকার কারণে মৌসুমের বেশির ভাগ লিগ ম্যাচই মাঠে গিয়ে দেখা হয় না তাঁর।
যদিও কাবরেরা বলছেন ভিন্ন কথা। ভুটান ও সিঙ্গাপুর ম্যাচের প্রাথমিক দল নিয়ে আজ বাফুফে ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে ছুটির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সাড়ে তিন বছর ধরে কোচ হিসেবে এখানে আছি। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে (লিগের) প্রতিটি ম্যাচই দেখেছি। এমনকি টি স্পোর্টস সব ম্যাচ সম্প্রচার না করলেও বাফুফের কাছ থেকে আমি প্রতিটি ম্যাচের ক্লিপ (ভিডিও) সংগ্রহ করে দেখেছি।’
সরাসরি মাঠে না দেখে ভিডিও ক্লিপ দেখে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স কতটা বিচার করা যায়—এমন জিজ্ঞাসায় কাবরেরা বলেন, ‘আমি ছুটিতে থাকলেও এখানে আমার স্টাফরা ছিলেন। আমি সব সময় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। ম্যাচ নিয়ে, খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স নিয়েও আমাদের আলোচনা হয়েছে। তাই আমি বলব এখানকার প্রত্যেক ফুটবলার আমার পর্যবেক্ষণে থাকে।’
আরও পড়ুনকেন যন্ত্রণা প্রকাশের ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না হামজা২৭ মে ২০২৫১০ জুন ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ দল সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলবে। সেই লক্ষ্যে ৩০ মে থেকে শুরু হবে প্রস্তুতি ক্যাম্প। সিঙ্গাপুর ম্যাচের আগে একই ভেন্যুতে ৪ জুন ভুটানের সঙ্গে একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে কাবরেরার দল।
আজ জাতীয় স্টেডিয়াম পরিদর্শনে গিয়েছিলেন হাভিয়ের কাবরেরা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক বর র
এছাড়াও পড়ুন:
ধোনি কেন আইপিএল ছাড়তে পারছেন না: পেছনে হাজার কোটি টাকার খেলা
বয়স ৪৪, শরীরও আর আগের মতো চলছে না। তবু মহেন্দ্র সিং ধোনি আইপিএল ছাড়েননি। সর্বশেষ মৌসুমে খেলেছেন, শোনা যাচ্ছে, পরের মৌসুমেও খেলবেন। অথচ তাঁর মাঠের পারফরম্যান্স বলছে, সময় ফুরিয়েছে। তবু তিনি খেলে যাচ্ছেন কেন? ক্রিকেট ছাড়তে পারছেন না তাই? নাকি খ্যাতির মোহ? সত্যিটা এসবের চেয়েও বড়—ধোনি এখন শুধুই একজন ক্রিকেটার নন, তিনি একটি বিশাল অর্থনৈতিক ইকোসিস্টেমের মূল স্তম্ভ, যাঁর বিদায় মানে অনেক কিছুর ধস।
চলুন দেখা যাক, কীভাবে ধোনির একটুখানি মাঠে থাকা বদলে দেয় বিশাল অঙ্কের হিসাব।২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের ব্র্যান্ড ভ্যালু ২০২৫ আইপিএল ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে) জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ইতিহাসেই সবচেয়ে বাজে মৌসুম। পয়েন্ট তালিকায় একেবারে তলানিতে থেকে মৌসুম শেষ করেছে তারা। কিন্তু অবাক হওয়ার মতো ব্যাপার, এর কোনো প্রভাবই পড়েনি সিএসকের ব্র্যান্ড ভ্যালুতে; বরং সামান্য বেড়েছে!
হুলিহ্যান লোকির ‘আইপিএল ব্র্যান্ড ভ্যালুয়েশন স্টাডি ২০২৫’ প্রতিবেদন বলছে, ২০২৫ সালে সিএসকের ব্র্যান্ড ভ্যালু বেড়ে হয়েছে ২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা ২০২৪ সালে ছিল ২৩ কোটি ১০ লাখ ডলার। যদিও আইপিএলের সবচেয়ে দামি ফ্র্যাঞ্চাইজির র্যাঙ্কিংয়ে চেন্নাই ১ নম্বর থেকে তিনে নেমে গেছে, কিন্তু সেটা পুরোপুরি মাঠের পারফরম্যান্সের কারণে নয়।
তুলনা করে দেখা যাক—রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) প্রথমবার আইপিএল জেতায় তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু দাঁড়িয়েছে ২৬ কোটি ৯০ লাখ ডলারে, উঠে এসেছে ১ নম্বরে। অথচ সিএসকে কিছু না করেই সেরা তিনে আছে শুধু একজনের জন্য—ঠিক ধরেছেন, এম এস ধোনি!
২০২৩ আইপিএলের একটি মুহূর্তই বলে দেয়, ধোনির উপস্থিতি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে মাত্র ৩ বল খেলেছিলেন ধোনি, করেছিলেন ১২ রান। তাতেই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ভিউয়ারশিপ পৌঁছায় ১ কোটি ৭০ লাখে, যা ছিল সে মৌসুমের সর্বোচ্চ। এমনকি টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচের ১ কোটি ৬০ লাখ ভিউয়ারকেও ছাপিয়ে গিয়েছিল ধোনির সেই ৩ বল স্থায়ী ইনিংসটা!
টিএএম মিডিয়া রিসার্চ বলছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরও ধোনি দিনে গড়ে বিভিন্ন প্লাটফর্মে ১৪ ঘণ্টা স্ক্রিন টাইম ধরে রেখেছেন। ২০২৪ সালে তিনি ৪২টি ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন করেছেন, যা অমিতাভ বচ্চন (৪১) ও শাহরুখ খানের (৩৪) চেয়েও বেশি।