বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরার ছুটি কাটানো নিয়ে প্রায়ই সমালোচনা হয়। কদিন আগেও প্রায় চার সপ্তাহ ছুটি কাটিয়ে দেশে ফেরেন এই স্প্যানিশ। ঘন ঘন ছুটিতে থাকার কারণে মৌসুমের বেশির ভাগ লিগ ম্যাচই মাঠে গিয়ে দেখা হয় না তাঁর।

যদিও কাবরেরা বলছেন ভিন্ন কথা। ভুটান ও সিঙ্গাপুর ম্যাচের প্রাথমিক দল নিয়ে আজ বাফুফে ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে ছুটির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সাড়ে তিন বছর ধরে কোচ হিসেবে এখানে আছি। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে (লিগের) প্রতিটি ম্যাচই দেখেছি। এমনকি টি স্পোর্টস সব ম্যাচ সম্প্রচার না করলেও বাফুফের কাছ থেকে আমি প্রতিটি ম্যাচের ক্লিপ (ভিডিও) সংগ্রহ করে দেখেছি।’

সরাসরি মাঠে না দেখে ভিডিও ক্লিপ দেখে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স কতটা বিচার করা যায়—এমন জিজ্ঞাসায় কাবরেরা বলেন, ‘আমি ছুটিতে থাকলেও এখানে আমার স্টাফরা ছিলেন। আমি সব সময় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। ম্যাচ নিয়ে, খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স নিয়েও আমাদের আলোচনা হয়েছে। তাই আমি বলব এখানকার প্রত্যেক ফুটবলার আমার পর্যবেক্ষণে থাকে।’

আরও পড়ুনকেন যন্ত্রণা প্রকাশের ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না হামজা২৭ মে ২০২৫

১০ জুন ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ দল সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলবে। সেই লক্ষ্যে ৩০ মে থেকে শুরু হবে প্রস্তুতি ক্যাম্প। সিঙ্গাপুর ম্যাচের আগে একই ভেন্যুতে ৪ জুন ভুটানের সঙ্গে একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে কাবরেরার দল।

আজ জাতীয় স্টেডিয়াম পরিদর্শনে গিয়েছিলেন হাভিয়ের কাবরেরা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক বর র

এছাড়াও পড়ুন:

আমাদের কোনো আচরণে, পারফরমেন্সে কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমা করে দেবেন: জামায়াতের আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘দল হিসেবে দাবি করি না, আমরা ভুলের ঊর্ধ্বে। প্রতিটি কর্মী বা দলের কারণে যে যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, সবার কাছে বিনা শর্তে মাফ চাই। আপনারা আমাদের ক্ষমা করে দেবেন। আমাদের কোনো আচরণে, কোনো পারফরমেন্সে কষ্ট পেয়ে থাকলেও ক্ষমা করে দেবেন।’

আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের আমির এসব কথা বলেন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দলটি।

শফিকুর রহমান বলেন, এই রায়ে প্রমাণিত হয়েছে, সত্যকে চেপে রাখা যায় না, সত্য মেঘের আড়াল ভেদ করে আলোর ঝলক নিয়ে আসে।

জামায়াতের আমির বলেন, জাতির অনেকগুলো বার্নিং ইস্যু এখনো আনরিসলভড। এখানেও সব রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট অংশীজন জনগণের স্বার্থকে যেন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা কথা দিচ্ছি, আল্লাহর একান্ত ইচ্ছায়, দেশবাসীর সমর্থন পেয়ে দেশের সেবা করার দায়িত্ব পেলে প্রতিশোধের রাজনীতি ও বৈষম্যের রাজনীতির অবসান ঘটাব। সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করব।’

জামায়াত আমির বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলে আমরা ভয়ংকর জুলুমের শিকার হয়েছি। আমাদের ১১ জন শীর্ষ নেতাকে মিথ্যা মামলায় সাজানো, পাতানো আদালত এবং মিথ্যা সাক্ষ্যের মাধ্যমে কার্যত জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে।’

শফিকুর রহমান বলেন, এটিএম আজহারের রায় সুবিচার হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ থেকে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এ মামলাগুলো পরিচালনা করতে গিয়ে সীমাহীন জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা তাঁর বইয়ে এটা স্বীকার করেছেন, কীভাবে বিচার বিভাগ ও সরকার মিলে বিচার নয়, বরং ঠান্ডা মাথায় খুন করার ছক আঁকা হয়েছে। একটি পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে, যেন কেউ প্রতিবাদ করতে না পারেন।

জামায়াত আমির বলেন, একেকটা রায়ের পর পরিবারের সদস্যদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। এতে পরিবারগুলো ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে গেছে।

শফিকুর রহমান বলেন, এই মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল কাস্টমারি ল’ কিংবা ‘ডমেস্টিক কাস্টমারি ল’ অনুসরণ করা হয়নি। সেদিন সংবিধান বা আইন কোনো বিষয় ছিল না। যাঁদের ইশারায় কোর্ট পরিচালনা হতো, তাঁদের ইচ্ছাই এখানে মুখ্য ছিলো। সেটি বৈধ হোক কিংবা অবৈধ।

জামায়াত আমির বলেন, ব্রিটেনের উচ্চ আদালত তাঁদের রায়ে বলেছেন, এই মামলাগুলো ছিল বিচারের নামে ‘জেনোসাইড অব দ্য জাস্টিস’। বিচারকে গণহত্যা করা হয়েছে। তাঁরা ‘কিলিং অব দ্য জাস্টিস’ বলেনি। কারণ, সিঙ্গেল কেস হলে কিলিং বলতেন। এখানে ছিল একাধিক কেস। বাংলাদেশের আদালত আজ তাঁদের রায়ে বলেছেন, ‘মিসকারেজ অব দ্য জাস্টিস’। এটা নেতৃত্ব গণহত্যা ছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো, দলকে নেতৃত্ব শূণ্য করা। তবে তাঁরা (জামায়াত) প্রতিশোধ নেননি, তাঁরা ন্যায়বিচার চেয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেসি-সুয়ারেজ জোড়ায় উড়ল ইন্টার মায়ামি
  • পন্তের ১ রানের দাম ১০ লাখ রুপির বেশি
  • কেমন হলো আনচেলত্তির ব্রাজিল দল
  • গাইতে গাইতে মঞ্চে হঠাৎ পড়ে গেলেন শাকিরা
  • আমাদের ‘আচরণে-পারফরমেন্সে’ কষ্ট পেলে ক্ষমা করে দেবেন: জামায়াত আমির
  • সাকিবের জন্য জাতীয় দলের দরজা এখনও খোলা, বলছে বিসিবি
  • আমাদের কোনো আচরণে, পারফরমেন্সে কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমা করে দেবেন: জামায়াতের আমির