সরকারের সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের সদিচ্ছা নেই: জিএম কাদের
Published: 29th, May 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের সদিচ্ছা নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
তিনি বলেছেন, ‘‘দেশ ক্রমান্বয়ে সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। নির্বাচন বিলম্বিত হলে এই সংকট আরো গভীর হতে পারে।’’
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলে রংপুরের স্কাই ভিউ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
রওশন এরশাদের ‘সুন্দর মহল’কে ‘দালাল মহল’ ঘোষণার দাবি
দুদকের সামনে জিএম কাদেরকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘ইউনূস সরকার ও তরুণ নেতৃত্ব মিলে দেশকে বিভক্ত করেছে। ফ্যাসিবাদ ট্যাগ লাগিয়ে কালা কানুন করে দেশের বৃহৎ অংশকে রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এতে জনগণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের শাসন ব্যবস্থাকে বর্ণবাদী আখ্যা দিয়ে জিএম কাদের দাবি করেন, ‘‘দেশের মানুষ এখন অত্যাচারিত। ব্যবসা-বাণিজ্য সর্বক্ষেত্রে এক হাহাকার পরিস্থিতি বিরাজমান। যার ফলে বেকারত্বের সংখ্যাও দিনকে দিন বেড়েই চলছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘দেশ এখন মহাদুর্যোগের শিকার। যা সামলানোর সক্ষমতা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিচার বিভাগকেও সংস্কারের নামে অকার্যকর করে ফেলা হয়েছে। যেটি ভবিষ্যতের জন্য সুখকর নয়।’’
আওয়ামী লীগের (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) মতো জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি তোলা হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জিএম কাদের বলেন, ‘‘এরশাদের লাঙ্গল কারো করুণার পাত্র নয়। দেশের মানুষ এখনো জাতীয় পার্টির প্রতি আস্থা রাখে।’’ এই দাবিকে জনগণের মতামতের বিরুদ্ধে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দেন জাপা চেয়ারম্যান।
নির্বাচন নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে জিএম কাদের বলেন, ‘‘জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচন ও আন্দোলন দুইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/আমিরুল/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ এম ক দ র সরক র র
এছাড়াও পড়ুন:
ডিসেম্বরে মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আজকে এই সরকারের কেউ যদি ক্ষমতায় থাকতে চায় বা রাজনীতি করতে চায় তাহলে আপনাদের বলব, ক্ষমতা ছেড়ে রাজনীতিতে আসেন। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বলতে চাই, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে। আবারও বলছি, ডিসেম্বরে মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে। আর সবাইকে বলছি, আপনারাও নির্বাচনের জন্য প্রস্ততি নিন। নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়েছে। অল্প সংস্কার না বেশি সংস্কার এ নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলতে চাই, জনগণের কাছে যান, তারা কি বলতে চায় তা মন দিয়ে শুনুন। সে অনুযায়ী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেন। বুধবার বিকেলে নয়া পল্টনে তারুণ্যের সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, জনগণই বিএনপির ক্ষমতার মূল উৎস। ক্ষমতায় না থাকলেও বিএনপি জনগণের উন্নয়নের কথা সবসময় চিন্তা করে। বিএনপি নির্বাচিত হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নেয়ার কাজ করবে। যেকোনো দলের কর্মসূচি পালনের জন্য দরকার একটি নির্বাচনী সরকার। আর বিএনপির শুরু থেকেই এই নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, আর কথা বলার রাজনীতি নয়, এখন বাস্তবায়ন ও দৃষ্টান্ত স্থাপনের সময়। দেশের বহুল জনসংখ্যাকে যদি জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারি তাহলে আমরা আর পিছিয়ে থাকতে হবে না। আমরা দেখেছি আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখিয়ে আজকে ইশরাকের শপথে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ইশরাকের শপথ গ্রহণে বাধা দিয়ে আজ স্বৈরাচারের ব্যবস্থা পুনপ্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। উত্তর কোরিয়ায় সরকার পরিচালনায় একটি কথা আছে- গণতন্ত্র সবার আগে। কিন্তু কথাটি শুধু লেখামাত্র। তাই বলতে চাই, এমন কিছু করা যাবে না, যাতে মানুষের বিশ্বাস বা আস্থার জায়গায় থাকা না যায়। বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা যেন থাকে সেটি খেয়াল রাখতে হবে।
এ সময় স্লোগান দিয়ে তিনি বলেন, ‘দিল্লি নয়, পিন্ডি নয় সবার আগে বাংলাদেশ।’ তিনি বলেন, নারী-পুরুষ সকলের জন্য মৌলিক কর্মমুখী শিক্ষা সর্বোচ্চ জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে বিএনপি স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশের প্রায় ৪ কোটি পরিবার রয়েছে। তাদের মধ্যে গ্রামীণ পর্যায়ে যারা অসচ্ছল রয়েছে তাদের জন্য ফ্যামিলি কার্ড করার উদ্যোগ নিয়েছি। রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে তাদের আর্থিক সহায়তার আওতায় আনা হবে। এতে একদিকে তাদের আর্থিক সংকট কাটবে এবং স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ হবে।
তারেক রহমান বলেন, কৃষকদের জন্য ফারমার্স কার্ড প্রণয়ন করা আমাদের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। এই ফারমার্স কার্ডে জমির পরিমাণসহ যাবতীয় তথ্য থাকবে। কাজের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষ।