সেদিন মন খারাপ করেই বাসায় ফিরেছিলেন হামজার মা–বাবা
Published: 31st, May 2025 GMT
২৪ মে শনিবার। দিনটি ছিল হামজা চৌধুরীর পরিবারের কাছে একটু ব্যতিক্রম। সেদিন হামজার মা–বাবা ও তাঁদের নিকটাত্মীয়রা লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে যান শেফিল্ড ইউনাইটেড ও সান্ডারল্যান্ডের চ্যাম্পিয়নশিপ প্লে–অফ ফাইনাল দেখতে।
কিন্তু সেই ম্যাচে হামজার দল শেফিল্ড ২–১ গোলে হারার পর মন খারাপ করে বাসায় ফিরেছিলেন সবাই। ম্যাচটার দিকে চোখ ছিল বাংলাদেশের বহু ফুটবলপ্রেমীরও। কারণ, শেফিল্ড জিতলে আবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলতে পারতেন হামজা। শেষ পর্যন্ত তেমনটা আর হয়নি।
গতকাল ইংল্যান্ড থেকে সেই বিশেষ দিনের বিশেষ ম্যাচটি নিয়ে হামজার বাবা মোরশেদ দেওয়ান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ২০ থেকে ২৫ জন সেদিন মাঠে গিয়েছিলাম। হামজার কাছের আত্মীয়রাও ম্যাচ দেখতে ওয়েম্বলিতে হাজির হয়। আসলে ফুটবল তো ১১ জনের খেলা। ও ম্যাচটা জেতার চেষ্টা করেছে; কিন্তু পারেনি। এ জন্য আমাদেরও মন খারাপ ছিল।’
বাবা ও মায়ের সঙ্গে হামজা চৌধুরী.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ডিজনি র্যাশ কী, হলে কী করবেন
ডিজনি র্যাশ বিষয়টি আমাদের অচেনা। এটি মূলত ত্বকের একধরনের সমস্যা। সাধারণত কেউ গরম আবহাওয়ায় দীর্ঘসময় থাকলে এই র্যাশ দেখা যায়। বিদেশে ডিজনি ওয়ার্ল্ডের মতো থিম পার্কে গরম আবহাওয়ায় দীর্ঘ সময় থাকার পর অনেকের ত্বকে এ ধরনের র্যাশ দেখা দেয়। আর সেখান থেকেই এসেছে ডিজনি র্যাশ।
ডিজনি র্যাশ দেখতে কেমনএ ধরনের র্যাশ পায়ের নিচের দিকের অংশে, যেমন গোড়ালি বা তার কাছাকাছি জায়গায় হয়। দেখতে ছোট ছোট লাল দাগ বা ফুসকুড়ির মতো। এই র্যাশ চুলকায়ও। অনেক সময় জ্বালাপোড়া, ফোলা ভাব বা ব্যথা থাকে। গরমে রক্তনালির প্রদাহ বা ভাস্কুলাইটিস হয়ে এ রকম হয়ে যায়।
কারা বেশি আক্রান্ত হয়তীব্র গরমে বেশিক্ষণ থাকলে, বিশেষ করে যাঁরা গরম আবহাওয়ায় অভ্যস্ত নন, তাঁদের এটি হওয়ার আশঙ্কা বেশি। বয়স্কদের এই র্যাশ বেশি হয়। যাঁরা দীর্ঘক্ষণ হাঁটেন বা দাঁড়িয়ে থাকেন, তাঁদের এটি হতে দেখা যায়। যেমন যাঁরা অনেক ঘোরাঘুরি করেন, তাঁদেরও হতে পারে। যাঁরা আঁটসাঁট প্যান্ট বা মোজা পরেন, তাঁদেরও এটি বেশি হতে দেখা যায়।
আরও পড়ুনজ্বরের সঙ্গে র্যাশ মানেই কি ডেঙ্গু১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩চিকিৎসা ও প্রতিরোধপ্রথমত, গরম আবহাওয়ায় দীর্ঘ সময় থাকা যাবে না। এ রকম পরিবেশে গেলে ঠান্ডা পানিতে নিয়মিত পা ধুতে হবে বা বরফ থাকলে শরীরে ঘষে নিতে হবে। পোশাক পরতে হবে হালকা ও আরামদায়ক। ভ্রমণের মাঝখানে বিশ্রাম নেওয়া জরুরি। গরম আবহাওয়ায় পানি খেতে হবে বেশি।
র্যাশ হয়ে গেলে আক্রান্ত জায়গা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন। পা উঁচু করে রাখতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চুলকানির ওষুধ যেমন অ্যান্টিহিস্টামিন, স্টেরয়েড ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।
এ রকম র্যাশ সাধারণত এক সপ্তাহের বেশি থাকার কথা নয়। থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। র্যাশ যদি ছড়িয়ে পড়ে, সেটিও ভালো লক্ষণ নয়। এ ছাড়া অনেক সময় র্যাশে ইনফেকশন বা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। যদি জ্বর আসে, শরীর বেশ অসুস্থ হয়ে যায়, দুর্বল লাগে, তাহলে ইনফেকশন হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে দ্রুত।