Samakal:
2025-06-02@07:56:57 GMT

অ্যাপে যখন ঝামেলা

Published: 31st, May 2025 GMT

অ্যাপে যখন ঝামেলা

সারাবিশ্বে কোটি কোটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ভক্ত লাখো অ্যাপ ডাউনলোড করার জন্য গুগল প্লে স্টোরকে নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিশ্বাস করেন। বিশেষজ্ঞরা নানা ধরনের ঝামেলা এড়াতে গুগল নিয়ন্ত্রিত অ্যাপ স্টোর ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। প্রযুক্তি জায়ান্ট সংস্থাটি তার প্ল্যাটফর্মকে সব সময় সুরক্ষিত ও স্বচ্ছ রাখতে প্রচেষ্টা করে।
কিন্তু নিরাপত্তায় থেকেও অনেক সময় বিপজ্জনক ম্যালওয়্যার যুক্ত বা ভুয়া অ্যাপ প্লে স্টোরের সিকিউরিটি সিস্টেমকে পরোয়া না করে সেখানে অনুপ্রবেশ করে। আবার প্লে স্টোরে ম্যালওয়্যারের প্রবেশ মাঝেমধ্যেই বিভ্রান্ত করে।
সাইবার নিরাপত্তা গবেষকরা কিছুদিন আগে গুগল প্লে স্টোরের জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল নিয়ে বিশেষ শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। খুঁজে পেয়েছেন স্পাইওয়্যার-সংক্রমিত সংস্করণ। উল্লিখিত অ্যাপ দুটির মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ও তার গ্রাহকের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করা যাবে বলে সুস্পষ্ট লক্ষণ পাওয়া গেছে। বহুল আলোচিত টেলিগ্রাম অ্যাপকে বিশেষভাবে লক্ষ্য করা হয়েছে বলে জানানো হয়। গবেষকরা ভুয়া বা স্পাইওয়্যার অ্যাপের কার্যকলাপের নাম দিয়েছেন এভিল টেলিগ্রাম। বিপজ্জনক অ্যাপ হওয়ার পরও গুগল প্লে স্টোরে কীভাবে তালিকাভুক্ত হয়েছে, তা নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তারা বলছেন, ঝুঁকিপূর্ণ সব অ্যাপ বিশেষ শ্রেণির আদলে গুগল প্লে স্টোরের অংশ হয়েছিল, যেখানে ছিল চীনের নজরদারি। আসলে এসব অ্যাপ এতটাই মুগ্ধতা ছড়ায় যে তাদের অবিশ্বাস করার সুযোগ থাকে না। প্রকৃত সব অ্যাপ্লিকেশনের তুলনায় আরও বেশি ফিচার দেওয়ার প্রত্যাশা থাকে। সতর্কতা ভুলে নিত্যনতুন অ্যাপের ওপর নির্ভরশীল না হওয়ার পরামর্শ অমান্য যারা করেছেন, তারাই আসলে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে ভুক্তভোগী হয়েছেন। তাই টেলিগ্রাম অ্যাপ 
ব্যবহারে সব ধরনের সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ঋণের বোঝা সইতে না পেরে লালপুরে স্বামী-স্ত্রীর আত্মহত্যা

নাটোরের লালপুরে তামাক চাষ করতে গিয়ে বহু টাকা ঋণগ্রস্ত হয়েছিলেন এক দম্পতি। ঋণের বোঝা সইতে না পেরে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ, নিহতের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আজ সোমবার ভোরে লালপুরের আড়বাব ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই দম্পতি হলেন- রইজুল ইসলাম (৪০) ও ফাতেমা খাতুন (৩০)। রইজুল কচুয়া গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে।
  
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রইজুল ইসলাম এ বছর তামাক চাষ শুরু করেন। তামাক চাষ করতে গিয়ে অনেক টাকা ঋণগ্রস্ত হয় তিনি। প্রতিদিনের মতো রোববার রাতেও রইজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ফাতেমা ঘরে ঘুমাতে যান। সোমবার ভোরে রইজুল ইসলামকে তামাকের ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলতে দেখা যায়। পরে তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুনকে কয়েকবার ডাকার পর ঘরের দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় পরিবারের। জানালায় উঁকি দিয়ে ফাতেমা খাতুনকে বিছানায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে এলাকাবাসী থানায় খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

স্থানীয় আড়বাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান সমকালকে বলেন, কৃষক রইজুল ইসলাম খুবই দরিদ্র মানুষ। তার একটি সন্তান আছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো ঝামেলা হয়নি। কোম্পানির প্ররোচনায় এবার তারা তামাক চাষ করেছিলেন। অনেক টাকা ঋণ নিয়ে অন্যের জমি উচ্চ টাকায় লিজ নিয়েছিলেন। শিলাবৃষ্টিতে তামাকের ক্ষতি হয়েছে। তামাক বিক্রি করে তেমন লাভবান হতে পারেননি।

তিনি আরও বলেন, আমরা শুনেছি তিনি প্রায় সাত লক্ষাধিক টাকা ঋণগ্রস্ত ছিলেন। ঋণের এই টাকার সুদসহ তিনি কোনোভাবেই পরিশোধ করতে পারছিলেন না। এজন্যই ভোরে তিনি ও তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।

লালপুর থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক মোমিনুজ্জামান নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে সমকালকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। তবে অতিরিক্ত ঋণের বোঝা সইতে না পেরে স্বামী-স্ত্রী দুজনে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ