পিএসজির স্বপ্নপূরণ, কী বললেন এমবাপ্পে–নেইমার
Published: 1st, June 2025 GMT
একটি দল ট্রফি জিতলে কতজনই তো অভিনন্দন জানায়। প্রথমবারের মতো উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতায় পিএসজিকেও জানাচ্ছে। তবে ফরাসি ক্লাবটির ইউরোপজয়ের সাফল্যে কিলিয়ান এমবাপ্পে আর নেইমারের প্রতিক্রিয়া বিশেষ কিছু।
তাঁরা দুজন এমন মানুষ, একটা চ্যাম্পিয়নস লিগের জন্য বছরের পর বছর যাদের দিকে তাকিয়ে ছিল পিএসজি।
একজনকে কেনা হয়েছিল বিশ্ব রেকর্ড গড়া দামে, আরেকজনকে দলে ধরে রাখার জন্য ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত জড়িয়েছিলেন।
গতকাল মিউনিখের অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে পিএসজি। গত বছরই প্যারিসের ক্লাবটি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়া এমবাপ্পে পিএসজিকে অভিনন্দন জানিয়ে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, ‘অবশেষে বড় দিনটা এল। বিজয় এসেছে, আর তা পুরো ক্লাবের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। অভিনন্দন পিএসজি।’
রিয়ালে যাওয়ার আগে পিএসজিতে সাত মৌসুম কাটিয়েছেন এমবাপ্পে। জিতেছেন ৬টি লিগ আঁ, ৪টি ফ্রেঞ্চ কাপ এবং ২টি লিগ কাপ। তবে ২০২০ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল খেললেও জিততে পারেনি। ১৬ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার পর প্রথম মৌসুমে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছেন এমবাপ্পে ও তাঁর দল।
এমবাপ্পেরও আগে পিএসজি বড় বিনিয়োগ করেছিল নেইমারের ওপর। ২০১৭ সালে ২২ কোটি ইউরো দলবদল ফি দিয়ে বার্সেলোনা থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল তাঁকে। যা এখনো পর্যন্ত ক্লাব ফুটবলে বিশ্ব রেকর্ড হিসেবে অক্ষত। ২০২৩ সালে প্যারিস ছাড়ার আগে নেইমারও পিএসজিকে চ্যাম্পিয়নস লিগের স্বাদ এনে দিতে পারেননি। বর্তমানে সান্তোসে খেলা ৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড সাবেক ক্লাবের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পর ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘অভিনন্দন পিএসজি’। সঙ্গে পাঁচটি হাত তালির ইমোজিও।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ য ম প য়নস ল গ ন এমব প প প এসজ
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানের এল-ফাশের শহরে ‘চরম বিপদে’ বাসিন্দারা: ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস
সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছে দেশটির এল–ফাশের শহরের পতনের পর সেখানকার বাসিন্দারা ‘চরম বিপদের’ মধ্যে রয়েছেন। তাঁরা শহরটিতে আটকা পড়েছেন। গতকাল শনিবার ফ্রান্সভিত্তিক আন্তর্জাতিক দাতব্য চিকিৎসা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছে।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরএসএফের লড়াই চলছে। গত ২৬ অক্টোবর এল-ফাশের দখল করে নেয় আধা সামরিক বাহিনীটি। শহরটির পতনের পর থেকে সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট এবং অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুনসুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে২২ ঘণ্টা আগেএল–ফাশের শহর থেকে যাঁরা পালিয়ে কাছের তাউইলা শহরে আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁরা বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা চালানোর কথা বলেছেন। তাঁদের ভাষ্য, এল–ফাশেরে মা–বাবার সামনে সন্তানদের হত্যা করা হচ্ছে। মানুষজন শহরটি থেকে পালানোর সময় তাঁদের মারধর করা হচ্ছে। জাতিসংঘের হিসাবে, ২৬ অক্টোবর থেকে ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ শহরটি থেকে পালিয়েছেন।
শনিবার ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস জানিয়েছে, এল–ফাশেরের বিপুল মানুষ ‘চরম বিপদের’ মধ্যে রয়েছে। তাদের শহরটি ত্যাগ করতে দিচ্ছে না আরএসএফ ও তাদের সহযোগীরা। সংস্থাটির জরুরি বিভাগের প্রধান মাইকেল ওলিভিয়ার লাচেরিটে বলেন, এল–ফাশের থেকে যাঁরা নিখোঁজ হয়েছেন, তাঁরা কোথায়? সম্ভাব্য উত্তরটা হলো—তাঁদের হত্যা করা হয়েছে।
গত শুক্রবার জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আরএসএফের হামলায় এল–ফাশেরে কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে সুদানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দুই হাজার বেসামরিক মানুষকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব বলেছে, এল–ফাশেরে গণহত্যা অব্যাহত থাকার বিভিন্ন ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।
সুদান ‘মহাবিপর্যয়কর পরিস্থিতির’ মধ্যে রয়েছে বলে শনিবার উল্লেখ করেছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়েডফুল। বাহরাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বেসামরিক লোকজনকে সুরক্ষা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আরএসএফ। এরপরও এমন নৃশংসতার জন্য তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। একই সংবাদ সম্মেলনে সুদানের পরিস্থিতি ‘ভয়ংকর’ বলে উল্লেখ করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার।
আরও পড়ুনসুদানে আরএসএফের গণহত্যায় আরব আমিরাত ইন্ধন দিচ্ছে কেন৭ ঘণ্টা আগে