ইমদাদুল হক মিলনের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’ সিনেমা। এটি পরিচালনা করেছেন আব্দুস সামাদ খোকন। তামান্না সুলতানা প্রযোজিত সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, গাজী আব্দুন নূর, সুব্রত বড়ুয়া, বাপ্পা শান্তনু, মাসুম বাশার, মিলি বাশার, সাদিয়া শিমুল প্রমুখ।

সর্বশেষ ব্যাংকক মুভি অ্যাওয়ার্ডসে শ্রেষ্ঠ প্রযোজক, শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং ‘আইকন অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’। তাছাড়া সুইজারল্যান্ডের আলপাইন ফ্রেমস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, সুইডেন ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস, আইডিয়াল ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, আর্টোডি এন্টারটেইনমেন্ট অ্যাওয়ার্ডস, এশিয়ান ট্যালেন্ট আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, ইন্দো-দুবাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, স্টকহোম সিটি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, রোশনি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব শ্রীনগর, আন্তর্জাতিক আইকনিক এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ডস-সহ মোট ২২টি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে সিনেমাটি।

‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’ সিনেমার প্রযোজক তামান্না সুলতানা

আরো পড়ুন:

খন্দকার’স ফ্যাশনে বুবলী-দীঘির সিনেমার প্রচারণা

দেখা গেল সিয়াম-দীঘির রোমান্স!

প্রাপ্তির অনুভূতি ব্যক্ত করে প্রযোজক তামান্না সুলতানা বলেন, “শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’ সিনেমার এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পুরো দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের জন্য অনুপ্রেরণামূলক। এটি প্রমাণ করে, মানসম্পন্ন গল্প, দক্ষ নির্মাণ ও নিখুঁত অভিনয় থাকলে বাংলা চলচ্চিত্রও বিশ্বজয় করতে পারে।”

প্রযোজক হিসেবে এই জার্নির গল্প জানিয়ে তামান্না সুলতানা বলেন, “সিনেমায় বিনিয়োগ আমার জন্য খুব ব্যয়বহুল একটি সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু আমার বাবা মোহাম্মদ সামসুল হক মল্লিক যদি শুরু থেকেই পাশে না থাকতেন, তাহলে এই কাজ সম্ভব হতো না। আমার বাবা-মা দুজনই আমাকে সবসময় সাহস ও উৎসাহ দিয়ে গেছেন।”

জনপ্রিয় গায়ক মনির খানের গাওয়া ‘ভবপারে লও আমারে বাইয়া’ গানটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোটি মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছে। এছাড়া বিশেষ একটি চরিত্রে অভিনয় ও গান গেয়েছেন কণ্ঠশিল্পী অনিমা রায়। সিনেমাটির সংগীত পরিচালনা করেছেন মিল্টন খন্দকার ও বিনোদ রায় দাস। চিত্রগ্রহণে ছিলেন আসাদুজ্জামান মজনু, সম্পাদনায় মনিরুল ইসলাম।

প্রযোজক তামান্না সুলতানা পিরোজপুরের সন্তান। ছোটবেলা থেকেই সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত। ২০১০ সাল থেকে অডিও-ভিডিও প্রযোজনায় কাজ শুরু করেন। পাশাপাশি ইডেন মহিলা কলেজ থেকে দর্শনে মাস্টার্সে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট, এরপর বাংলাদেশে এলএলবি ডিগ্রি নেন। কিছুদিন আগে ব্রিটিশ এলএলবি সম্পন্ন করেন তামান্না।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

সোনারগাঁয়ে অবৈধ মেলা বসাতে মরিয়া বিএনপি নেতারা  

সোনারগাঁয়ের বারদীতে হিন্দু সম্প্রাদায়ের আধ্যাত্মিক সাধক শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর ১৩৫তম তীরোধান উৎসবকে কেন্দ্র করে অবৈধ মেলা বসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় বিএনপির।

এঘটনায় গত বৃহস্পতিবার অবৈধ মেলা অপসারণ ও লোকনাথ ভক্ত ও জনসাধারণের চলাচল নির্বিঘ্নে করতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য এলাকাবাসী গণ স্বাক্ষর দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে স্বারকলিপি দিয়েছেন।

আগামী ৩রা জুন লোকনাথ ব্রহ্মচারীর তীরোধান উৎসব পালিত হবে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে লোকনাথ ভক্তরা বারদীতে আসতে শুরু করেছেন।  

রকলিপিতে এলাকাবাসী উল্লেখ করেন, হিন্দু সম্প্রাদায়ের আধ্যাত্মিক সাধক শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর তীরোধান উৎসবকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত। মাঠ দখল, সরকারী রাস্তাঘাট দখল নিয়ে রাজনৈতিক দলের কর্মীরা নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাটিসহ সামাজিক বিশৃঙ্খল সৃষ্টি করছেন।

যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংঙ্কায় সাধারণ মানুষ আতংঙ্কিত হয়ে পেড়েছেন। বিগত বছর গুলোতে তীরেধান উৎসবে বিশৃঙ্খলা পরিবেশ এড়াতে মেলা বন্ধ রাখা হয়েছে। 

বর্তমানে একটি দলের উশৃঙ্খল নেতাকর্মী বিভক্ত হয়ে মেলা নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিতে চেষ্টা করছে। এতে করে ওই এলাকার সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। মেলায় লোকনাথ ভক্ত ও দর্শনার্থীদের কথা বিবেচনা করে অবৈধভাবে দখল মাঠ উচ্ছেদ করে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

সূত্র জানায়, বারদী ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলমীর হোসেন, ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক আব্দুল আলী ও আব্দুল হালিম, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল করিম, বারদী ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার বারদী খেলার মাঠ ও আশপাশের জায়গা  দখল করে অবৈধভাবে মেলা বসানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

এলাকাবাসীর দাবি, তীরোধান উৎসবে মেলা বন্ধ করে হিন্দু ধর্মালম্বীদের পূর্জা, অর্চনাসহ তাদের ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচলনা নির্বিঘ্নে করতে হবে। 

বারদী ইউনিয়নের রিবর গ্রামের প্রদীপ চন্দ্র সরকার বলেন, লোকনাথ ব্রহ্মচারীর তীরেধান উৎসব নির্বিঘ্নে করতে হবে। মেলা হলে যানজট ও কোলাহল তৈরি হয়। ফলে পূর্জা, অর্চনা, রাজভোগ, বাল্যভোগসহ ধর্মীয় কাজে ব্যাঘাত ঘটে। তাই মেলা না বসলেই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ভালোভাবে ধর্মীয় কার্যক্রম শেষ করতে পারবেন।

বারদী ইউনিয়নের নাগপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম সুমন বলেন, প্রতিবছর লোকনাথ ব্রহ্মচারীর তীরোধান উৎসবে দেশ বিদেশ থেকে বারদীতে লাখো মানুষের সমগম ঘটে। বারদীতে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব রয়েছে। হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব পালন করার জন্য অবশ্যই মেলা বন্ধ রাখতে হবে। মেলা হলে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যায়। তাছাড়া ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতির আশংঙ্কা থাকে। 

বারদী ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, প্রশাসনের মৌখিক অনুমিতে মেলা বসছে। মেলার বিষয়ে কারো অভিযোগ নেই। প্রশাসন ম্যানেজ হয়েই মেলা বসানোর সুযোগ দিয়েছেন। 

সোনারগাঁ থানার ওসি মো. মফিজুর রহমান বলেন, আমাদের মৌখিকভাবে মেলা বসানোর জন্য অনুমতি দেওয়ার কোন সুযোগ নাই। আমরা আইনশৃঙ্খলার রক্ষায় সকল প্রকার ব্যবস্থা নিবো। 

সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা রহমানের ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। ক্ষুদে বার্তা দিয়ে সাড়া পাওয়া যায়নি।

নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন,লোকনাথ ভক্তদের চলাচল নির্বিঘ্নে করতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। তবে মেলা বসানোর কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি। 

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, সোনারগাঁয়ের বিষয়গুলো ইউএনও দেখবেন। তবে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসবে মেলার অনুমতি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। কেউ মেলা বসালে সেটা অবৈধ হবে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পর্দা নামল ২ দিনব্যাপী টরোন্টো বাংলা বইমেলার
  • সোনারগাঁয়ে অবৈধ মেলা বসাতে মরিয়া বিএনপি নেতারা  
  • যাত্রাপথে দুর্ভোগ না হোক
  • ফ্রান্সে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের উৎসবে সহিংসতা: নিহত ২, আটক ৫০০’র বেশি
  • নাইজেরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২১ অ্যাথলেট নিহত
  • পবিত্র ঈদুল আজহার দিন চারটি কর্তব্য
  • পরিবার ছাড়া দেখা নিষেধ, কী আছে ‘উৎসব’–এ
  • ‘সত্যিকারের ক্রিকেট আইকন’ বুলবুলকে আশরাফুলের খোলা চিঠি 
  • বিএনপির সম্মেলনকে ঘিরে কোটালীপাড়ায় উৎসবের আমেজ