ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, পাহাড় ধসের শঙ্কা
Published: 2nd, June 2025 GMT
মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া, পাহাড় ধস ও জলাবদ্ধতা তৈরি হাওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছে।
আবহাওয়ার অধিদপ্তরের ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সোমবার (২ জুন) সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৮ মিলিমিটার) বর্ষণ হতে পারে।
অতি ভারী বর্ষণের কারণে সিলেট, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন ও কক্সবাজার জেলাসমূহের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে। সেইসঙ্গে ভারী বর্ষণের কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে।
এছাড়া, আবহাওয়ার সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আগামী মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আগামী বুধবার (০৪ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আগামী বৃহস্পতিবার (০৫ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আগামী পাঁচ দিনের শেষের দিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
ঢাকা/হাসান/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ধরন র ব ষ ট পরবর ত বর শ ল
এছাড়াও পড়ুন:
মাহিদুল-মজিদের সেঞ্চুরির দিনে মুমিনুলের ৮ রানের আক্ষেপ
প্রথম দিনের ব্যাটিং ধারাবাহিকতা ধরে রেখে জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও আব্দুল মজিদ। তাদের দুজনের সেঞ্চুরি পাওয়ার দিনে ৮ রানের আক্ষেপে পুড়েছেন মুমিনুল হক।
রোববার (০২ নভেম্বর) কক্সবাজারের মূল মাঠে চট্টগ্রাম বিভাগের ব্যাটসম্যান মুমিনুল নামের পাশে ৮৪ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন। কিন্তু ৮ রান যোগ করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ৯২ রানে তাকে বোল্ড করেন বরিশাল বিভাগের পেসার রুয়েল মিয়া। গতকাল প্রথম দিন ৪ উইকেটে ২৬০ রান তুলেছিল চট্টগ্রাম। আজ ৬ উইকেট হারিয়ে ৯৮ রান যোগ করতে পারে তারা। মুমিনুল ফেরার পর নাঈম হাসান ৩৫, হাসান মুরাদ ২৮ রান করেন। বরিশাল বিভাগের হয়ে বল হাতে অধিনায়ক তানভীর ইসলাম ৫৬ রানে ৪ উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন রুয়েল ও মঈন খান। জবাব দিতে নেমে ২ উইকেটে ১১৫ রান তুলে দিন শেষ করেছে বরিশাল। সালমান হোসেন ইমন ৪৭ ও জাহিদুজ্জামান খান ১৩ রানে অপরাজিত আছেন।
আরো পড়ুন:
স্বীকৃতির ১০ বছর পর জাতীয় ক্রিকেট লিগে ময়মনসিংহ
এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে কে কোন পুরস্কার পেলেন
পাশের একাডেমি মাঠেই রংপুরের বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়েছে ময়মনসিংহ। নাঈম ও মাহফিজুল প্রথম দিন সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। আজ মজিদ তুলে নেন সেঞ্চুরি। ৮ রানে দিন শুরু করে ১১৯ রানে অপরাজিত থাকেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ১৮৬ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় মজিদ সাজান ইনিংসটি। এছাড়া শুভাগত হোম ৬৫ ও আবু হায়দার রনি ৬০ রান করেন। ৩৪ বলে ২ চার ও ৫ ছক্কায় ঝড় তোলেন রনি। জবাব দিতে নেমে রংপুরের শুরুটা ভালো হয়নি। ২ উইকেট হারিয়ে তাদের রান ১৮। এখনও তারা ৫৩৭ রানে পিছিয়ে।
ঢাকায় মিপুর শের-ই-বাংলায় খুলনার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে লিড পেয়েছে রাজশাহী বিভাগ। খুলনার করা ১২১ রানের জবাবে রাজশাহী তোলে ২৬৮ রান। পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে ১ উইকেটে ৬৮ রান তুলেছে খুলনা। রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ৮৯ রান করেন শাকির হোসেন শুভ্র। ১৭২ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৯ রান করেন তিনি। এছাড়া ৪৭ রান করেন প্রীতম কুমার। দ্বিতীয় ইনিংসেও রান পাননি খুলনার ওপেনার সৌম্য সরকার। নাহিদ রানার বলে আউট হওয়ার আগে ১০ রান করেন তিনি। এনামুল ২৭ ও অমিত ১৫ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন।
সিলেটে সেঞ্চুরি করেছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। আগের দিনই ধৈর্য দেখিয়েছিলেন মাহিদুল। আজ ইনিংসটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দেন। ১২২ রান করেন তিনি। তার সেঞ্চুরির ওপর ভর করে সিলেটের বিপক্ষে ৩১০ রান করে ঢাকা বিভাগ। মাহিদুলকে সঙ্গ দিয়ে আটে নাসা সুমন খান ৭৪ রান করেন। সিলেটের হয়ে বল হাতে ৩টি করে উইকেট নেন ইবাদত হোসেন ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ। জবাব দিতে নেমে বিনা উইকেটে ৩৩ রান তুলে দিন শেষ করে স্বাগতিকেরা। সৈকত আলী ১৮ ও জাকির হাসান ১৫ রানে অপরাজিত আছেন।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল