দুটি হত্যাসহ তিন মামলায় সাবেক মেয়র আইভীর জামিন নামঞ্জুর
Published: 2nd, June 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা দুটি হত্যাসহ তিন মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী এলাকায় গার্মেন্টসকর্মী মিনারুল ইসলাম (২৯) পেটে গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে শহরের খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর নিহত ব্যক্তির ভাই নাজমুল হক বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎসহ ১৩২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪০০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলার এজাহারে সেলিনা হায়াতের নাম ১২ নম্বরে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি।
এ ছাড়া গত ২০ জুলাই আন্দোলনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সামনে রিকশাচালক মো.
এ ছাড়া আন্দোলনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা হকার নাদিম হত্যা চেষ্টা মামলায় সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করেন নিহতের বাবা দুলাল হোসেন। ওই মামলায় আইভী এজাহারভুক্ত ৯ নম্বর আসামি।
আইভীর আইনজীবী আওলাদ হোসেন বলেন, ‘সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা দুটি হত্যাসহ তিন মামলায় আমরা আদালতে জামিন প্রার্থনা করি। আদালত জামিন নামঞ্জুর করেছেন। মামলা তিনটির এজাহারে আইভীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। তাঁর নেতৃত্ব ও পরিকল্পনায় হয়েছে, এমন কোনো অভিযোগ নেই। তিনটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলার এজাহারে ওভারঅ্যাক্টের কোনো অভিযোগ নেই। আদালত জামিন না দেওয়ায় আমার মক্কেল ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।’
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আসামি আইভীর নেতৃত্বে ও পরিকল্পনায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করা হয়েছে। আসামি জামিন পেলে বাদীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। তাই আমরা আইভীর জামিনের বিরোধিতা করেছি।’
৯ মে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগের চুনকা কুটিরের বাড়ি থেকে পুলিশ সেলিনা হায়াৎকে গ্রেপ্তার করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, বিস্ফোরকসহ মোট ৬টি মামলা রয়েছে। তাঁকে চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর থেকে আইভী কাশিমপুর কারাগারে বন্দী আছেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ থ ন য় ন র য়ণগঞ জ আইভ র
এছাড়াও পড়ুন:
এনসিপি’র নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয় কমিটি গঠন
নারায়ণগঞ্জে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক পার্টি’র (এনসিপি) জেলা সমন্বয় কমিটি গঠিত হয়েছে। সেই সাথে জেলার তিনটি উপজেলার সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে দলটি।
সোমবার (২ জুন) এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত এই তথ্য নিশ্চিত করেন। জেলা কমিটিতে আব্দুল্লাহ আল আমিনকে প্রধান সমন্বয়কারী ও আহমেদুর রহমান তনুকে যুগ্ম সমন্বয়কারী রেখে ৩১ সদস্যের কমিটি প্রণয়ন করা হয়।
কমিটির সদস্যরা হলেন, জোবায়ের হোসেন, তানজিমুল ইসলাম (তানজিম), জাবেদ আলম, আব্দুর রহমান গাফফারি, সোনিয়া আক্তার (লুবনা), আমিনুল ইসলাম, মোস্তফা খন্দকার, রিনা আক্তার, সোহেল খান সিদ্দিক, সাকিব চৌধুরী, তৌফিকুল ইসলাম, ফজলে রাব্বি, সাব্বির আহমেদ জাহিদ, রাইসুল ইসলাম, ফারদিন শেখ, ইমাদুদ্দিন, মতিউর রহমান, তরিকুল ইসলাম, সবুজ, হাবিবুর রহমান মোল্লা, রাফসান জনি বোখারী, জুনায়েদ হোসেন প্রিতম, মিজানুর রহমান, রাহুল চৌধুরী, রাজেন্দ্র কুমার দাস, ইউসুফ হোসাইন, শাকিল সাইফুল্লাহ, আবুল খায়ের, আশিকুর রহমান চৌধুরী অভি।
কমিটি গঠনের বিষয়ে জেলার প্রধান সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে এনসিপিকে গুছিয়ে তোলার লক্ষ্যে এই কমিটি প্রনয়ন করা হয়েছে। এনসিপি বেশ কয়েকমাস আগে গঠিত হলেও স্থানীয় পর্যায়ের সংগঠকরা নিজ পরিচয়ে কাজের জন্য মুখিয়ে ছিলেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে কমিটি প্রকাশিত হওয়ায় কাজের মান এবং গতি বৃদ্ধি পাবে। একই সাথে এনসিপিকে সাংগঠনিক ভাবে শৃঙ্খলায় রাখতেও এই কমিটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।’