মাদক, ছিনতাইসহ অন্যান্য অপরাধ দমনে পরিচালিত এক অভিযানে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে পেশাদার মাদক কারবারি, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত অপরাধীরা রয়েছেন।

আজ সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান। এতে বলা হয়, রোববার দিনভর সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে এসব আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন জাফর (২২), আল আমিন (১৯), আবদুল্লাহ (২৩), বাচ্চু মিয়া (৪৮), আনোয়ার (৩৪), জাহিদ (২৪), কামাল (৩৮), মারুফ (২৮), সাজু (২৬), আলম (২৬), সুবেল (২৩), সামির (১৮), হাবিব (২৪), লিমন (১৮), শফিকুল (২১), সাব্বির (১৮), রবিউল (২৪), ছানোয়ার (৪০), আশিকুর (২২), ইমরান (৩৩), সোহাগ (২০), আকরাম (২২), সুমন (২৫), মুজাহিদ (১৮) ও ওয়ালিল্লাহ (২৩)। তাঁদের মধ্যে ১৪ জন বিভিন্ন মামলার আসামি, মাদক কারবারি ১ জন, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ৩ জন, দস্যুতার চেষ্টায় জড়িত অভিযোগে ৩ জন, চুরির অভিযোগে ১ জন, দ্রুত বিচার আইনে ‍১ জন এবং নারী ও শিশু–সংক্রান্ত অপরাধে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মোহাম্মদপুর থানা সূত্রে জানা যায়, রোববার মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের কাছ থেকে ২৮০টি ইয়াবা, ৫০ হাজার ৩৮০ টাকা, ৩টি মুঠোফোন, দ্রুত বিচার আইনে মামলায় ১টি ইজিবাইক, দস্যুতার মামলায় ১টি চাকু, ২টি স্টিলের ব্লেড ও ১টি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপরাধ দমনে মোহাম্মদপুর থানা–পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ম হ ম মদপ র অপর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। 

রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

আরো পড়ুন:

নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের

কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের

শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”

তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।” 

শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।

মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।

তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি।  ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।

ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। 

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ