স্মার্ট শিক্ষার প্রসারে হুয়াওয়ে ও ব্র্যাকনেটের কর্মশালা
Published: 2nd, June 2025 GMT
বাংলাদেশে ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থার প্রসারে ‘ক্যাম্পাস নেক্সটজেন: দ্য ফিউচার অব ডিজিটাল এডুকেশন’ শীর্ষক একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে হুয়াওয়ে ও ব্র্যাকনেট। ঢাকার গুলশানে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ডিজিটাল রূপান্তরকে এগিয়ে নিতে প্রযুক্তি ও পণ্যের সর্বাধুনিক উদ্ভাবন, বিভিন্ন সফল উদ্যোগ ও হুয়াওয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে দেশের ৩০টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। সোমবার হুয়াওয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বক্তারা ইন্টারনেট ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা, নেটওয়ার্কের অতিরিক্ত স্তরজনিত সমস্যা, অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্সের (ওঅ্যান্ডএম) বিড়ম্বনা ও সাইবার নিরাপত্তার ঝুঁকির মতো বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আরও সংযুক্ত, শক্তিশালী ও স্মার্ট ক্যাম্পাস গঠনের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
হুয়াওয়ে উন্নত মানের ১০ জিবিপিএস স্মার্ট ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক সল্যুশনের পাশাপাশি ফাইবার টু দ্য অফিস (এফটিটিও) ও ডেটা সেন্টার স্টোরেজ (ডিসিএস) প্রযুক্তি উপস্থাপন করে। শিক্ষা খাতে হুয়াওয়ের সহযোগী ব্র্যাকনেট অনুষ্ঠানে নিজেদের অবকাঠামোগত সক্ষমতাও তুলে ধরে। বাংলাদেশের ডিজিটাল শিক্ষা খাতে ভূমিকা রাখতে হুয়াওয়ের পাশে একটি আস্থাজনক সহযোগী হয়ে থাকার জন্য ব্র্যাকনেটকে সম্মাননা দেয় হুয়াওয়ে। ব্র্যাকনেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ পি এফ আহমেদ ও মহাব্যবস্থাপক ও পরিচালন প্রধান মুকাররম হুসাইন এই সম্মাননা গ্রহণ করেন।
হুয়াওয়ের সাউথ এশিয়া এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হেড অব পার্টনার ডেভেলপমেন্ট ইউইং কার্ল বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থা একটি দেশের ডিজিটাল রূপান্তরে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। হুয়াওয়ে স্মার্ট ক্যাম্পাস প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল শিক্ষার উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
সৈয়দ পি এফ আহমেদ বলেন, ‘অনেক বছর থেকেই ব্র্যাকনেটের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বর্তমান সময়ে স্মার্ট ক্যাম্পাস তৈরির মাধ্যমে মাধ্যমে সেই উদ্দেশ্য বাস্তবে রূপ নিচ্ছে।’
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইলসহ (বুটেক্স) বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় হুয়াওয়ের স্মার্ট ক্যাম্পাস প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানগুলো সংযোগ, ডেটার সুরক্ষা ও আইসিটি ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তির উপযোগিতার কথা উল্লেখ করেছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ক ষ ব যবস থ ইউন ভ র স ট অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
এই বাজেট ব্যবসা সম্প্রসারণে আস্থা বাড়াবে না: ফরেন চেম্বার
আগামী অর্থবছরের জন্য ঘোষিত প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যবসা সম্প্রসারণে আস্থা বৃদ্ধি করবে না বলে মন্তব্য করেছেন ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) সভাপতি জাভেদ আখতার। তিনি বলেন, বাজেটে করজাল বৃদ্ধির নির্দেশনা নেই। সরকারে পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটা প্রবৃদ্ধির বাজেট না। এই পরিবেশে কে বিনিয়োগ করতে আসবে বলে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আজ বুধবার ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) গুলশানের কার্যালয়ে বাজেট পর্যালোচনায় এসব কথা বলেন জাভেদ আখতার। এ সময় সংগঠনের সাবেক সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় ও রূপালী হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
জাভেদ আখতার বলেন, ‘গত তিন বাজেটে আমাদের ওপর করের চাপ বাড়ছে। এবারও কর ব্যয় বাড়বে। বেশি কর দিতে হবে। এবার বেভারেজ, সিগারেট ও শিশুখাদ্যের দাম বাড়বে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির সঙ্গে ব্যবধান বাড়াতে কর বাড়ানো হয়েছে আড়াই শতাংশ।
বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে জাভেদ আখতার বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে আমাদের চেয়ে পাকিস্তানের বিদেশি বিনিয়োগ বেশি। দীর্ঘদিন ধরেই এখানে বিদেশি বিনিয়োগ কম। যদিও বিষয়টি বাজেটের ওপর নির্ভর করে না, নির্ভর করে বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ, নীতির ধারাবাহিকতা ও ব্যবসার সহজীকরণের ওপর। এ ছাড়া কাগজপত্র অনুমোদনের সহজীকরণের বিষয় আছে।
ছোট ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমে শিল্পকে ঝাঁকুনি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রূপালী হক চৌধুরী। অথচ যেসব প্রতিষ্ঠান কর না দিয়ে চলছে, তাদের করজালে আনা এনবিআরের প্রধান কাজ হওয়া উচিত ছিল।
নাসের এজাজ বিজয় বলেন, রাজস্ব প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ শতাংশ। এটা করতে গেলে প্রায় ৩৯ শতাংশ রাজস্ব আহরণ বাড়াতে হবে। কিন্তু সেটা কীভাবে হবে, তা বলা হয়নি। করহার বাড়ালে বেশি কর আদায় হয় না, বরং করহার কমলে রাজস্ব আদায় বাড়ে বলে মন্তব্য করেন তিনি।