ফাইনাল বৃষ্টিতে ভেসে গেলে চ্যাম্পিয়ন হবে যে দল
Published: 3rd, June 2025 GMT
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আজ পর্দা নামতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ আইপিএলের ২০২৫ আসরের। চূড়ান্ত লড়াইয়ে মুখোমুখি হচ্ছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব কিংস। ফাইনালটি অনুষ্ঠিত হবে গুজরাটের আহমেদাবাদে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে, বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়।
মূলত ফাইনালের ভেন্যু নির্ধারিত ছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স। তবে বর্ষার আশঙ্কায় শেষ মুহূর্তে ম্যাচটি সরিয়ে আনা হয় আহমেদাবাদে। কিন্তু সেখানে এসেও মিলছে না স্বস্তি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, ম্যাচের দিন ৩ জুন দুপুরে বৃষ্টির সম্ভাবনা ৫০ শতাংশের বেশি। তবে সন্ধ্যার দিকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতির ইঙ্গিত রয়েছে।
আইপিএল কর্তৃপক্ষ অবশ্য ম্যাচ মাঠে গড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। প্রয়োজনে নির্ধারিত সময়ের বাইরে অতিরিক্ত ১২০ মিনিট অপেক্ষা করা হবে। এরপরও খেলা সম্ভব না হলে রাখা আছে ৪ জুনের রিজার্ভ ডে। আশার কথা, রিজার্ভ ডে’র আবহাওয়া তুলনামূলকভাবে ভালো থাকবে বলে ধারণা করছে আবহাওয়াবিদেরা।
তবে প্রকৃতি অনিশ্চিত। যদি ফাইনাল দিনে কিংবা রিজার্ভ ডে’তেও ম্যাচ মাঠে গড়াতে না পারে, সে ক্ষেত্রে চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণ করা হবে পয়েন্ট তালিকার ভিত্তিতে। লিগ পর্বে এগিয়ে থাকায় সেই ক্ষেত্রে শিরোপা উঠবে পাঞ্জাব কিংসের হাতে।
আইপিএলের ইতিহাসে আজকের দুই ফাইনালিস্টের কারোরই এখনো শিরোপা জয়ের স্বাদ মেলেনি। পাঞ্জাব ২০১৪ সালে একবার ফাইনালে উঠেছিল, তবে সেবার হারতে হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে। আর বেঙ্গালুরু তিনবার ফাইনালে খেলেও প্রতিবারই হতাশ হতে হয়েছে।
চলতি মৌসুমে অবশ্য দারুণ ফর্মে রয়েছে দুই দলই। লিগ পর্বে ১৪ ম্যাচে ৯টি করে জয় পায় তারা। শীর্ষ দুই দল হিসেবেই কোয়ালিফায়ারে ওঠে পাঞ্জাব ও বেঙ্গালুরু। কোয়ালিফায়ার-১ ম্যাচে বেঙ্গালুরুর কাছে বড় ব্যবধানে হারলেও, কোয়ালিফায়ার-২ এ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটে পাঞ্জাব কিংস।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
সরাসরি পদ্ধতিতে এলএনজি আমদানিতে নীতিগত অনুমোদন
সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এলএনজি আমদানি, উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’ মেরামত এবং বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশনের (বিজেএমসি) খালি জায়গা বিক্রিতে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
বুধবার (৪ জুন) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় প্রস্তাবগুলোতে অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, জিটুজি ভিত্তিতে ওকিউ ট্রেডিং লিমিটেড ইউএই থেকে স্বল্প মেয়াদে ২০২৫ ও ২০২৬ সালে জাপান কোরিয়া মার্কেটিং ফরমুলা ভিত্তিতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এলএনজি ক্রয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
আরো পড়ুন:
মূল্যস্ফীতি কমলে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সুদহার কমানো হবে: গভর্নর
অপ্রদর্শিত আয় ব্যবহারের সুযোগ থাকছে: এনবিআর চেয়ারম্যান
সভায় ,বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’-এর ডকিং ও ডকিং সংশ্লিষ্ট মেরামত কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক ২০১৩ সালে উদ্ধরকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’ সংগ্রহ করা হয়। জাহাজটি প্রতি চার বছর অন্তর মেরামত করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও সংগ্রহের প্রায় ১২ বছর অতিক্রান্ত হলেও তা মেরামত করা হয়নি।
মেরামতের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলেও কোনো রেসপনসিভ দরদাতা পাওয়া যায়নি। জাহাজটি জরুরিভিত্তিতে ডকিং করে সংশ্লিষ্ট মেরামত কাজ পিপিআর ২০০৮ এর ৭৬ (২) অনুযায়ী সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত ‘চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেড’ এর মাধ্যমে বাস্তবায়নের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। বর্ণিত কাজের প্রাক্কলিত ব্যয় ৬ কোটি ১৩ লাখ ৭ হাজার ২৮ টাকা।
সভায় বিজেএমসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন ময়মনসিংহ জুট মিলস লিমিটেড এর ১৬.৮৯ একর জমি বিক্রয়ের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ‘ময়মনসিংহ জুট মিলস লিমিটেড’ ১৯৬৮ সালে স্থাপিত হয়। ১৯৯৩ সলে মিলটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
সরকারি সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে মিলটি টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করে মিলের ৬২.৫০ একর জমির মধ্যে ৪৫.৬১ একর জমিসহ ক্রেতার নিকট মিলটি হস্তান্তর করা হয়। বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন অবশিষ্ট ১৬.৮৯ একর জমি ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানার চর ঈশ্বরদিয়া মৌজায় অবস্থিত। উক্ত জমিটির কোনো সীমানা প্রাচীর না থাকায় তত্ত্বাবধান করা ও দখলে রাখা কষ্টসাধ্য এবং জমিটি খালি পড়ে থাকায় বেদখল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে বিজেএমসি’র পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক জমিটি বিক্রির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় জমি বিক্রয়ের অনুমোদনের প্রস্তাব করা হলে মিলটির অব্যবহৃত জমি বিক্রয় না করে সরকারের উন্নয়নমূলক/জনহিতকর কাজে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়।
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির উপর্যুক্ত সিদ্ধান্ত থাকা সত্ত্বেও উক্ত জমি মিল হতে দূরবর্তী হওয়ায় এবং জমিটি বিজেএমসি’র ব্যবহারে উপযোগিতা না থাকায় রাষ্ট্র মালিকানাধীন ময়মনসিংহ জুট মিলস লি. এর ১৬.৮৯ একর জমি বিক্রয়ের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।
সভায়, ঢাকা জেলার ডেমরা থানার কায়েতপাড়া মৌজায় অবস্থিত বিজেএমসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন লতিফ বাওয়ানী জুট মিলস লিমিটেডের ৬.৪৮৫ একর জমি বিক্রয়ের প্রস্তাবেও নীতিগত অনুমোদন দেয় কমিটি।
ঢাকা/হাসনাত/মাসুদ