নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে আসা দালাল ও এক রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকালে উপজেলা নির্বাচন অফিসে তাকে আটক করা হয়।

আটক রোহিঙ্গা কক্সবাজার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২২ নম্বর ক্যাম্পের ৩৯৫ রুমের আমির হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৩০)। আটক দালাল সোনাইমুড়ীর জয়াগ ইউনিয়নের বাওর কোট গ্রামের স্বর্ণকার বাড়ির বেলায়েত হোসেন (৪৩)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে বসবাসরত সোনাইমুড়ীর বাসিন্দা রাজু দালালের মাধ্যমে রোহিঙ্গা যুবক নুরুল আমিনের জয়াগ ইউনিয়নে জন্ম সনদ তৈরি করে। এরপর মঙ্গলবার (৩ জুন) কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গা যুবক নুরুল আমিন সোনাইমুড়ীতে আসে। এরপর বিকেল ৩টার দিকে জাতীয় পরিচয়পত্র করার জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিসে যায়। ওই সময় দালাল রাজুর চাচা বেলায়েত হোসেন রোহিঙ্গা যুবকের ভোটার হওয়ার সকল কাগজপত্র সংগ্রহ করে উপজেলা নির্বাচন অফিসে আসে। পরে সেখানে রোহিঙ্গা যুবককে ভোটার হওয়ার জন্য ছবি তোলার চেষ্টা করেন। নির্বাচন অফিসে তাদের  কথাবার্তায় গরমিল পাওয়ায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে রোহিঙ্গা যুবক জানান, দালালের মাধ্যমে তিনি ভোটার হতে এসেছেন। রাজু তাকে তার চাচা অপর দালাল বেলায়েতের হাতে তুলে দেন।  ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দেয় জন্ম সনদ করে দেয়া দালাল মো.

রাজু।

আরো পড়ুন:

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা

শিক্ষকদের সড়ক অবরোধ
৭ ঘণ্টা পর উখিয়া-টেকনাফ মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক

সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাচন অফিসের সহকারী মো. আলী হোসেন জানান, তাদের আচরণ, তথ্য ও কথায় গরমিল থাকায় সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে তাদের কাগজপত্রের বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করা হলে তারা ধরা পড়েন। আটক দুইজনকে সন্ধ্যায় থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম জানান,  লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 
 

ঢাকা/সুজন/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

কালিয়াকৈরে এক মাসে ২০ ডাকাত গ্রেপ্তার 

গাজীপুরে ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। প্রায়ই রাতে বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক ও মহাসড়কে ডাকাতের কবলে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এসকল ডাকাত সদস্যদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। 

গত এক মাসে কালিয়াকৈর থানা ও মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি অভিযান চালিয়ে ২০ জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। একইসঙ্গে ছয়টি পিকআপও জব্দ করেছে। 

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সুমন হোসেন ও সোহাগ নামে দুজন ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি। এসময় তাদের দখলে থাকা একটি পিকআপ জব্দ করা হয়। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের ডাকাতি মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

এরআগে, গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের তিন গ্রেপ্তার করা হয়। উপজেলার মৌচাক ফকিরবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকমাস ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতের উপদ্রব বেড়েছে। বিশেষ করে কালিয়াকৈর-মাওনা আঞ্চলিক সড়ক ও ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে তাদের উৎপাত বেশি। 

সড়কে পুলিশ টহল থাকলেও ডাকাত সদস্যরা বিভিন্ন ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থাকে এরপর সুযোগ বুঝে ডাকাতি করে। এছাড়াও মাওনা কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি করে তারা। পুলিশ এরপর থেকেই বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করে। 

মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) আব্দুস সেলিম বলেন, “ডাকাতের উপদ্রব বেড়েছে। তবে আমরা ডাকাতদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। গত ১ মাসে আমাদের পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ১৫ জন ডাকাত সদস্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পাঁচটি পিকআপ জব্দ করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।” 

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান বলেন, “রাতে আমাদের টহল পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। আমরা গত এক মাসে ২০ জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছি। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন তথ্য মিলেছে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

ঢাকা/রেজাউল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শেখ হাসিনার পরিবারের ১০ সদস্য ভোট দিতে পারবেন না: ইসি সচিব
  • ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার 
  • আমার স্বামীর উপরে কু-নজর পড়েছে: অঙ্কিতা
  • সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপলেন ট্রাম্প
  • ‘আমি থানার ওসি, আপনার মোবাইল হ্যাকড হয়েছে’
  • কালিয়াকৈরে এক মাসে ২০ ডাকাত গ্রেপ্তার 
  • পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনার ১০ সুবিধা
  • পাবনার স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভারতের নাগরিক, অভিযোগ শ্যালকের 
  • শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক
  • সঞ্চয়পত্র নাকি এফডিআর—কোথায় বিনিয়োগ করবেন