নাটোরের সিংড়া উপজেলায় ঈদের ছুটিতে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে ফাতেমা আক্তার (১০) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের একটি পুকুরে এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ফাতেমা একই উপজেলার কৈগ্রামের ফেরদৌস আলীর মেয়ে। ঈদের ছুটিতে সে তার মায়ের সঙ্গে পাকুড়িয়া গ্রামে নানার বাড়ি বেড়াতে এসেছিল।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ দুপুরে ফাতেমা তার মা আমিনা বেগমের সঙ্গে নানাবাড়ির পাশের একটি পুকুরে গোসল করতে যায়। মায়ের অগোচরে সে পুকুরের পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তার লাশ ভেসে ওঠে। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পাকুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা রহিম উদ্দিন বলেন, পুকুরে একসঙ্গে অনেকেই গোসল করছিল। এর মধ্যে ফাতেমা কখন ডুবে গেছে মাসহ কেউই বুঝতে পারেনি। পুকুর থেকে ওঠার সময় তার মা মেয়েকে খুঁজে না পেলে ডুবে যাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়। দীর্ঘসময় পর তার মরদেহ ভেসে ওঠে।

সিংড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম শিশুটির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

অভিনেতা সমু চৌধুরীকে পরিবারের জিম্মায় দিতে চায় পুলিশ

দুপুর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনেতা সমু চৌধুরীর গামছা পরা অবস্থায় গাছের নিচে শুয়ে থাকার ছবি ভাইরাল হয়। ছবির সূত্র ধরে অসুস্থ অবস্থায় অভিনেতাকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার মশাখালী ইউনিয়নের একটি মাজার থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এখন সমু চৌধুরীকে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পরিবারের জিম্মায় তাঁকে তুলে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুনঅভিনেতা সমু চৌধুরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ, কী হয়েছিল তাঁর২ ঘণ্টা আগে

পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘উনি এখন কিছুটা সুস্থতা অনুভব করছেন। আমার টিম তাঁর সঙ্গে আছে। অভিনয়শিল্পী সংঘের নেতাদের সঙ্গেও আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ চলছে। ঢাকা থেকে কয়েকজন রওনা হয়েছেন।’
সর্বশেষ অবস্থা জানতে যোগাযোগ করা হয় ছোট পর্দার শিল্পীদের সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘের সঙ্গে। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অভিনেতা রাশেদ মামুন অপু প্রথম আলোকে বলেন, ‘উনি এখন কোথাও যেতে চাচ্ছেন না। তাঁর সঙ্গে পুলিশ ও স্থানীয় মানুষজন আছেন। ওনার পরিবারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে আমাদের টিম গফরগাঁওয়ের উদ্দেশে রওনা হবে। ঘটনাস্থলে গিয়ে বাকি বিষয় জানা যাবে।’

নাটকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন সমু চৌধুরী। ১৯৯৫ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘আদরের সন্তান’ ছবির মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক। এরপর ‘দোলন চাঁপা’, ‘শত জনমের প্রেম’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘দেশ দরদী’, ‘মরণ নিয়ে খেলা’, ‘প্রেমের নাম বেদনা’, ‘যাবি কই’, ‘সুন্দরী বধূ’সহ বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ