শ্রীলঙ্কা সফর দিয়ে ২০২৫-২৭ চক্রে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ। এই সফরে বাংলাদেশ তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলবে। সেই প্রস্তুতি চলছে মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের হেড কোচ ফিল সিমন্স আগামীকাল বুধবার দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর পেস বোলিং কোচ শন টেইট গতকাল থেকে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। আজ যোগ দিয়েছেন মুশতাক আহমেদ। আপাতত টেস্ট দল নিয়েই চলছে প্রস্তুতি। সীমিত ওভারের দলের কাজ শুরু হবে কয়েকদিন পর।

২০১৭ সালের পর এবারই প্রথম তিন সংস্করণের পূর্ণাঙ্গ সফরে শ্রীলঙ্কায় যাবে বাংলাদেশ। গল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামী ১৭ জুন শুরু সিরিজের প্রথম টেস্ট। পরে কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু ২৫ তারিখ। ২০০৭ সালের পর ওই মাঠে আর টেস্ট খেলেনি বাংলাদেশ।

আরো পড়ুন:

বিসিবি নির্বাচনে সৈয়দ আশরাফুলের ‘আগ্রহ’

ধোনি-হেডেন-স্মিথ আইসিসি হল অব ফেমে

দুই টেস্টের জন্য বাংলাদেশ এরই মধ্যে ১৬ সদস্যের স্কোয়াড চূড়ান্ত করেছে। শান্তকে অধিনায়ক ও তার ডেপুটি করা হয়েছে মিরাজকে। সবশেষ টেস্ট স্কোয়াড থেকে তিনটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়, পেসার তানজিম হাসান সাকিব ও স্পিনার তানভীর ইসলামকে শ্রীলঙ্কা সফরে নেওয়া হয়নি। লিটন দাস, ইবাদত হোসেন চৌধুরী, নাহিদ রানা দলে ফিরেছেন। তাদের সঙ্গে আছেন হাসান মুরাদ।

বুধবার সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত অনুশীলন করেছেন ক্রিকেটাররা। হজ পালন শেষে তাইজুল এখনো দলের সঙ্গে যোগ দেননি। বাকি তিন স্পিনার মিরাজ, মুরাদ ও নাঈম স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদের সঙ্গে আলাদা করে কাজ করেছেন। ইনডোরের আউটডোর মাঠে তিন স্পিনারকে নিয়ে প্রথমে চেয়ারে বসে বোলিং বোঝাচ্ছিলেন মুশতাক। পরে উইকেটে গিয়ে হাত ঘুরিয়েছেন স্পিনাররা।

পেসাররা টেইটের সঙ্গে লম্বা সেশন কাটিয়েছেন। ইবাদতকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান কোচের আলাদা কাজ করতে দেখা গেছে। পায়ের চোটে প্রায় দুই বছর মাঠের বাইরে থাকার পর জাতীয় দলে ফিরেছেন ইবাদত। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ চলাকালীন পায়ের গোড়ালিতে চোট পেয়েছিলেন। এ কারণে বিশ্বকাপসহ এক বছরের বেশি সময় সব ধরনের খেলার বাইরে ছিলেন। চোট পাওয়ার ১৬ মাস পর গত বছর নভেম্বরে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) দিয়ে মাঠে ফেরেন দ্রুতগতির বোলার। এরপর বিপিএল, ঢাকা লিগ ও ‘এ’ দলের ম্যাচ খেলে পুরোনো ডেরায় ফিরলেন ডানহাতি পেসার। গতকাল ও আজ তাকে পুরোনো ছন্দে ফেরাতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের নতুন পেস বোলিং কোচ।

বিসিবির সহ-সভাপতি ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে এদিন অনুশীলনে দেখা গেছে। ব্যাটিং করে আসা অধিনায়ক শান্তর সঙ্গে নেটের পাশে আলাদা করে কথা বলতে দেখা গেছে তাকে। টুকটাক ব্যাটিংও বোঝাচ্ছিলেন, দূর থেকে বোঝা গেছে।

আগামী ১৩ জুন সকালের ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়বেন ক্রিকেটাররা। বুধবার ও বৃহস্পতিবারও বাংলাদেশ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুশীলন করবে।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম শত ক

এছাড়াও পড়ুন:

অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ

দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।

এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।

শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।

সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।

হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ