তিন সীমান্ত দিয়ে ৩২ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
Published: 10th, June 2025 GMT
তিন জেলার সীমান্ত দিয়ে আরও ৩২ জনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। সোমবার গভীর রাতে এবং মঙ্গলবার ভোরে তাদের ঠেলে দেওয়া হয়। বিজিবি তাদের সবাইকে আটক করে নাগরিকত্ব যাচাই-বাছাই করছে। এ নিয়ে গত ৪ মে থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সহস্রাধিক মানুষকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দিল বিএসএফ।
বিজিবি জানায়, সোমবার গভীর রাতে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার এনায়েতপুর সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেয় বিএসএফ। টহলরত বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে। তাদের মধ্যে দু’জন পুরুষ, দু’জন নারী ও ৯ শিশু। একই রাতে ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার চান্দুরিয়া সীমান্ত দিয়ে দু’জন পুরুষ, দু’জন নারী ও তিন শিশুকে ঠেলে পাঠানো হয়। তাদের নাগরিকত্বের তথ্য যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলছে। এর পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের সীমান্ত দিয়ে মঙ্গলবার ভোরে চার শিশুসহ ১২ জনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেওয়া হয়।
বিজিবি জানায়, আনন্দবাস সীমান্তে ভোরের দিকে টহলের সময় সন্দেহজনক কয়েকজনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে বিজিবি সদস্যরা। পরে আটক ১২ জনকে মুজিবনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মুজিবনগর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, তারা বাংলাদেশের নাগরিক। তাদের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়িয়া থানায়। বিভিন্ন সময় কাজের সন্ধানে তারা অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিল। তাদের আত্মীয়স্বজনকে খবর দেওয়া হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এসএফ প শইন ব এসএফ
এছাড়াও পড়ুন:
১২ হাজার তরুণ–তরণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পিকেএসএফ
পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে দেশের ১২ হাজার তরুণ-তরুণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষানির্ভর তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রিজ কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের (এসআইসিআইপি) আওতায়। এ প্রকল্পে সহায়তা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
আজ সোমবার রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে এসআইসিআইপি ও পিকেএসএফের প্রকল্পের উদ্বোধন ও প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণার্থী তরুণেরা ১২টি খাতের প্রশিক্ষণ পাবেন। প্রশিক্ষণ চলাকালে থাকা-খাওয়ার সব খরচ প্রকল্প থেকে বহন করা হবে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। বাকি ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন নিম্ন আয়ের ও প্রান্তিক অঞ্চলের তরুণেরা। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর অংশগ্রহণকারীদের আত্মকর্মসংস্থান বা মজুরিভিত্তিক চাকরির ক্ষেত্রেও সহায়তা করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, দেশে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে বিদেশে। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে পিকেএসএফ ও এর সহযোগী সংস্থাগুলো সেই চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবে।
পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, ‘প্রতিবছর ২০ লাখের বেশি তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছেন। এটি একই সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা। প্রকল্পের আওতায় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্বীকৃত কোর্স অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে প্রশিক্ষণ শেষে তাঁরা সহজেই কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে পারেন।’
অনুষ্ঠানে পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ১২ হাজার ছাড়াও আরও ৮ হাজার ৫০০ তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গের তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পাশাপাশি ২ হাজার এতিম ও দুস্থ তরুণকেও প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ সময় অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বক্তব্য দেন।