বর্তমানে বাংলাদেশ এমন একটি সময় অতিক্রম করছে, যখন একতা ও সম্প্রীতিকে ভিত্তি করে দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নেওয়ার এক অনন্য সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই মুহূর্তে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। ফলে দেশগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তাদের কাঁধেই অনেকাংশে বর্তায়। শুধু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়া বিএনপির একমাত্র উচিত হতে পারে না; বরং নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নেতৃত্ব প্রদান করা এখন সময়ের দাবি এবং দলের প্রতি জাতির প্রত্যাশা। এই সময় যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো না যায়, যদি কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সাধিত না হয়, তবে বিএনপি কোনোভাবেই এই দায়ভার এড়িয়ে যেতে পারে না।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক ঘোষণামতে, ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। বড় দল হিসেবে বিএনপির এই নির্বাচনে জয়লাভের সম্ভাবনা স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেশি। বিএনপি যদি এই নির্বাচনে বিজয়ী হয়, তবে দলটির জন্য জনগণের প্রত্যাশা ও গণ–অভ্যুত্থানের লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যে এখন থেকেই চারটি সুপরিকল্পিত রোডম্যাপ প্রণয়ন করা অত্যন্ত জরুরি।

রোডম্যাপ কেন ও কীভাবে

বিএনপি যদি আগামী দিনে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে, তবে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে দলটিকে সুপরিকল্পিতভাবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে, যেসব কাঠামোগত দুর্বলতা ও শাসনব্যবস্থার বিকৃতি আওয়ামী লীগকে একটি কর্তৃত্ববাদী বা ফ্যাসিবাদী সরকারে পরিণত করেছিল, সেই সব বিষয় চিহ্নিত করে তা সংস্কার করাই হবে বিএনপির প্রধান দায়িত্ব।

জুলাই অভ্যুত্থান বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, মূলত চারটি প্রধান দাবিকে কেন্দ্র করে জনগণের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল এবং এই দাবিগুলোই ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার পতনের ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির এখন উচিত হবে এই চার মূল দাবিভিত্তিক চারটি পৃথক রোডম্যাপ ঘোষণা করা। এই রোডম্যাপগুলো হবে:

১.

অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের রোডম্যাপ;

২. দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে রোডম্যাপ;

৩. ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে রোডম্যাপ এবং

৪. গুম, খুন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে রোডম্যাপ।

শুধু রোডম্যাপ প্রণয়ন করলেই চলবে না, বরং তা বাস্তবায়নের জন্য একটি সময়ভিত্তিক পূর্বপরিকল্পনাও থাকা প্রয়োজন। এই বাস্তবায়ন পরিকল্পনাটি তিনটি ধাপে সম্পন্ন করা যেতে পারে। প্রথম ধাপে, সরকার গঠনের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে জরুরি কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে; যেমন অন্তর্বর্তী সরকারের সময় যেসব সংস্কার–উদ্যোগ সংসদ বিদ্যমান না থাকার কারণে বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না, তা দ্রুত কার্যকর করা।

দ্বিতীয় ধাপে, ছয় মাসের মধ্যে চারটি রোডম্যাপ ও সার্বিক সংস্কার বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে এবং আরও কী কী প্রয়োজন, তা পর্যালোচনা করে একটি মধ্যবর্তী প্রতিবেদন জনগণের সামনে পেশ করা।

তৃতীয় এবং সর্বশেষ ধাপে এক বছরের মধ্যে চারটি রোডম্যাপের পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করে একটি নতুন বাংলাদেশের ভিত্তি রচনা করতে হবে।

অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের রোডম্যাপ

বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নির্বাচন মানেই যেকোনোভাবে জয়লাভ করার প্রবণতা। এই সংস্কৃতির অংশ হিসেবে দেখা যায়, ভোট কেনাবেচা, কেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদান, এমনকি ফলাফল ঘোষণার সময় ফলাফল পাল্টে দেওয়ার মতো ঘটনাও যেন স্বাভাবিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। এটি শুধু গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলেই ঘটেছে, এমন নয়। আসলে এই অসুস্থ নির্বাচনী সংস্কৃতির সূচনা স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়েই শেখ মুজিবুর রহমানের আমলেই শুরু হয়, যা পরবর্তী প্রতিটি সরকারের আমলে বহাল থাকে।

অতএব নির্বাচনব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা শুধু আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা দূর করার বিষয় নয়; বরং এটি পুরো রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে নতুনভাবে গঠনের একটি ঐতিহাসিক সুযোগ।

চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানের পরও যদি পুরোনো ভঙ্গুর নির্বাচনী ব্যবস্থা বহাল থাকে, তবে তা হবে খুবই দুঃখজনক। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির দায়িত্ব হবে একটি সুস্পষ্ট, সময়ভিত্তিক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সংস্কারের রোডম্যাপ প্রণয়ন করা। যদিও দলটি জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আয়োজনের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছে, তবু তাদের স্মরণ রাখতে হবে যে ২০০৬ সালে দলটি যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করেছিল, তা বিরোধী পক্ষের কাছে একপেশে ও পক্ষপাতদুষ্ট হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল; যা কিনা ‘ওয়ান ইলেভেন’ ঘটার অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

 যেহেতু বিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্বাচিত সরকারের অধীনেই আয়োজন করতে চায়, সে ক্ষেত্রে কোন প্রক্রিয়ায় তারা স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করবে, তা সবার কাছে পরিষ্কার থাকা প্রয়োজন, যাতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনও সব পক্ষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠতে পারে। সার্বিকভাবে, এই নির্বাচনবিষয়ক রোডম্যাপ হবে জাতির প্রতি বিএনপির একটি প্রতিশ্রুতি এবং একই সঙ্গে আগামী দিনের ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন নিশ্চিত করার একটি কর্মপরিকল্পনা।

দুর্নীতি এবং চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে রোডম্যাপ

গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে দেশে যে দুর্নীতির সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, তা জাতির শরীরে এক গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। প্রশাসন থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান কিংবা স্থানীয় রাজনীতি—সবখানেই দুর্নীতির বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়েছিল। বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করে, আওয়ামী সরকার কতটা দুর্নীতিপ্রবণ ছিল।

৫ আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানের পর মানুষ অর্থনৈতিক মুক্তি ও শুদ্ধি অভিযানের যে স্বপ্ন দেখেছিল, বিএনপি তা পূরণে এখনো কার্যকর পরিকল্পনা হাজির করতে পারেনি; বরং দেখা যাচ্ছে, যেসব জায়গায় আগে আওয়ামী লীগ চাঁদাবাজি ও মাস্তানি চালাত, সেসব স্থান এখন বিএনপির কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। আওয়ামী লীগের যেসব ‘পকেট লিডার’ ক্ষমতার অপব্যবহার করতেন, সেসব জায়গায় এখন বিএনপির সমর্থকদের তৎপরতা বাড়ছে, যা জনমনে গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে এবং বিএনপির ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

এমন বাস্তবতায় বিএনপির উচিত দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট ও বাস্তবমুখী রোডম্যাপ জনগণের সামনে উপস্থাপন করা। তাদের জানাতে হবে, সরকার গঠনের পর কোন কোন খাতে তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুদ্ধি অভিযান চালাবে, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কী ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে, প্রশাসন ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে পুনর্গঠন করা হবে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জবাবদিহি কীভাবে নিশ্চিত করা হবে।

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে রোডম্যাপ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা এক সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেছিলেন, ‘আমরা ভারতকে এত কিছু দিয়েছি যে ভারত তা আজীবন মনে রাখবে।’ তাঁর এই বক্তব্য শুধু রাজনৈতিক সৌজন্যের সীমা অতিক্রম করেনি, বরং এটি বাংলাদেশের স্বার্থ বিসর্জনের এক স্বীকারোক্তি।

বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার ও ভারতের সম্পর্ক ছিল যেন প্রাচীন আমলের রাজা-বাদশাহদের করদরাজ্য ব্যবস্থার মতো, যেখানে ছোট রাজ্যগুলো বড় রাজ্যের অনুকম্পা লাভের আশায় নিজেদের সম্পদ ও সম্মান বিসর্জন দিত। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের প্রতীকী চিত্রটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে ফেলানী হত্যাকাণ্ডে, যেখানে বিএসএফ সদস্যরা এক নিষ্পাপ কিশোরীকে গুলি করে হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখেছিল। এ ছাড়া ফারাক্কা ও তিস্তা বাঁধের দিকে লক্ষ করলে দেখা যায়, এগুলো বাংলাদেশে পানিসংকট ও লবণাক্ততা বৃদ্ধি এবং কৃষিকাজের ক্ষেত্রে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করেছে।

২০২৪ সালের জুলাই গণ–আন্দোলনে এই ক্ষোভগুলোরই বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবে জনগণের মনে এখনো প্রশ্ন আছে যে ভবিষ্যতে যারা ক্ষমতায় আসবে, তারা ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক বজায় রাখবে? তারা কি পুরোনো তোষণনীতি বজায় রাখবে, নাকি আত্মমর্যাদার ভিত্তিতে নতুন সম্পর্ক গড়ে তুলবে?

এই প্রসঙ্গে বিএনপির জন্য একটি সুস্পষ্ট, বাস্তবমুখী ও কৌশলগত রোডম্যাপ ঘোষণা করা জরুরি। এই রোডম্যাপে থাকতে হবে ১. সীমান্তে হত্যা ও পুশ ইন বন্ধে কূটনৈতিক কৌশল; ২. অভিন্ন নদীগুলোর পানিবণ্টন চুক্তি বাস্তবায়নের রূপরেখা; ৩. ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যের ভারসাম্য আনার পরিকল্পনা এবং ৪. কোনোভাবেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বার্থকে বন্ধক না রাখার সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি।

গুম, খুন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে রোডম্যাপ

আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিরোধী দলের লাখ লাখ নেতা–কর্মী হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন এবং কয়েক হাজার মানুষ গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন। এমনকি নৌকা মার্কায় ভোট না দেওয়ার কারণে নারীরা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকারও হয়েছেন। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির পরিবর্তন আনতে বিএনপির একটি সুস্পষ্ট ও কার্যকর পরিকল্পনা থাকা অত্যন্ত জরুরি। যদি বিএনপি সরকার গঠন করে, তবে তাদের রোডম্যাপে অবশ্যই স্পষ্ট করতে হবে যে তারা কীভাবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে সুরক্ষা প্রদান করবে এবং নিজেদের দলীয় নেতা–কর্মীদের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করবে।

এ ছাড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্মরণ রাখা দরকার যে আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটেছে র‍্যাবের হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে। যদিও বিএনপির সময় র‍্যাব ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সূচনা হয়েছিল সন্ত্রাস দমন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে, হাসিনার শাসনামলে তা বিরোধী দল দমনের অস্ত্রে পরিণত হয়। এই বাস্তবতা মাথায় রেখে বিএনপির রোডম্যাপে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা উচিত যে তারা র‍্যাবের কার্যক্রম কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

রোডম্যাপের ফলে বিএনপির কী সুবিধা হবে

বিএনপির চারটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা রাজনৈতিক অঙ্গনে তাদের বেশ কিছু সুবিধা প্রদান করবে। প্রথমত, বিএনপিকে আওয়ামী লীগের মতো জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হওয়া এবং ফ্যাসিবাদী পথে পা না দেওয়ার ক্ষেত্রে এগুলো রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে।

দ্বিতীয়ত, রোডম্যাপের মাধ্যমে বিএনপি জনগণকে একটি পরিষ্কার বার্তা দিতে পারবে যে তারা আগামী দিনে কী ধরনের বাংলাদেশ গড়তে চায় এবং জনগণ তাদের কাছে কী ধরনের পরিবর্তন প্রত্যাশা করতে পারে। এতে জনগণ জানতে পারবে যে বিএনপি ক্ষমতায় এসে কেবল রাজনৈতিক পরিবর্তন আনবে না, বরং একটি নতুন পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

তৃতীয়ত, রোডম্যাপের বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিএনপির কর্মীরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পাবেন, তাঁদের চিন্তাভাবনা ও কাজকর্মে কী ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে, যাতে জনগণ তাঁদের প্রতি আরও বেশি আস্থাশীল হতে পারে। একই সঙ্গে এই রোডম্যাপ জনগণকে একটি মানদণ্ড দেবে, যার ভিত্তিতে তারা বিএনপির কার্যক্রম মূল্যায়ন করতে পারবে। ফলে দলটি জনগণের কাছে আরও বেশি জবাবদিহির আওতায় আসবে, যা গণতান্ত্রিক শাসন নিশ্চিত করার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হবে।

সর্বোপরি, আগামী সংসদ নির্বাচনে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, জনগণের স্বপ্ন ও প্রত্যাশা পূরণে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। এই প্রস্তুতি কেবল নির্বাচনী প্রচার বা দপ্তরভিত্তিক কার্যক্রম নয়, বরং জাতীয় পর্যায় থেকে স্থানীয় স্তর পর্যন্ত একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা, নীতিগত প্রতিশ্রুতি এবং বাস্তবায়নযোগ্য রোডম্যাপের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জনের প্রক্রিয়া। আমাদের স্মরণে রাখতে হবে, যত দ্রুত বাংলাদেশ গণতন্ত্র, ন্যায় এবং টেকসই উন্নয়নের পথে এগোবে, তত দ্রুত স্বাধীন, মর্যাদাপূর্ণ ও সমৃদ্ধ দেশের স্বপ্ন পূরণ হবে।

এস কে তৌফিক হক অধ্যাপক ও পরিচালক, সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এসআইপিজি), নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়

সৈয়দা লাসনা কবীর অধ্যাপক, লোক প্রশাসন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

মোহাম্মাদ ঈসা ইবন বেলাল গবেষণা সহযোগী, সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এসআইপিজি), নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।

 মতামত লেখকদের নিজস্ব

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র গঠন হত য ক ণ ড ন শ চ ত কর র জন ত ক স ব এনপ র ক ব যবস থ র ক ষমত য় সরক র র জনগণ র পরবর ত র পর ক ন র পর গঠন র ধরন র র একট আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

মহাসমাবেশে পঞ্চাশ হাজার লোক নিয়ে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ :  মুফতি মাসুম বিল্লাহ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেছেন, আগামী ২৮ তারিখে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশে পঞ্চাশ হাজার লোক নিয়ে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ। 

প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রসংস্কার, গণহত্যার বিচার, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে এবং দেশ ও ইসলামবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিতব্য মহাসমাবেশে জাতির উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ রাখবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)।

তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে ইসলাম, দেশ ও জনগণের পক্ষে একটি ভোট বাক্স দেয়ার ব্যাপারে সকল কেন্দ্রীয়ভাবে প্রচেষ্টা চলছে। দেশের মানুষের সেন্টিমেন্ট-এর প্রতি সম্মান করেই নির্বাচনে মাঠে থাকবে ইসলামী দলগুলো। সর্বমহলে কথা উঠেছে যে, এবার আমরা নতুন কাউকে চাই। বিগত দিনের মত  আর ধোঁকাবাজদের চায় না এদেশের জনগণ।

আজ ১৬ জুন সোমবার বিকাল ৫টায় নগর কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর-এর উদ্যোগে মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে ঈদু পুনর্মিলনী ও যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদের সঞ্চালনায় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, নগর সহ-সভাপতি মুহা. নুর হোসেন, হাসান ইমাম মুন্সি, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আলহাজ্ব শেখ হাসান আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাও. শামসুল আলম, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক বিলাল খান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মোহাম্মদ মেহেদী হাসান সহ সহযোগী সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দ।

মুফতি মাসুম বিল্লাহ আগামী ২৮ জুনের মহাসমাবেশে সকল নেতাকর্মী ও তৌহিদী জনতাদেরকে নিয়ে অংশগ্রহণ করার জন্য উদাত্ত আহবান জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লন্ডনের বৈঠক পছন্দ না হওয়ায় আলোচনায় আসেনি একটি দল: মির্জা ফখরুল
  • ‘সাম্রাজ্যবাদী দালাল’? ইরানের শাহপুত্রকে পাকিস্তানিরা কীভাবে দেখে
  • স্থানীয় স্বশাসন জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য অপরিহার্য
  • নাগরিকেরা কেন সেবাবঞ্চিত থাকবেন
  • ইরানে হামলা কি মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্পের পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেবে
  • মহাসমাবেশে পঞ্চাশ হাজার লোক নিয়ে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ :  মুফতি মাসুম বিল্লাহ
  • নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলেন মুফতি আমির হামজা
  • বিসিএস ক্যাডার এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মধ্যে তুলনা কেন?
  • বিসিএস ক্যাডার ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মধ্যে তুলনা কেন?
  • লন্ডন বৈঠকে কারও দায়মুক্তির প্রসঙ্গ ছিল না: সালাউদ্দিন আহমেদ