সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ১৭ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
Published: 12th, June 2025 GMT
সুনামগঞ্জের ছাতক সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ১৭ জনকে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পবিতার (১২ জুন) সকালে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ছনবাড়ী-নোয়াকোট সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়। পরে প্রবেশকারীদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি জানায়, আটক ১৭ জনকে ছাতকের নোয়াকোট বিওপি ক্যাম্পের হাবিলদার মো.
আরো পড়ুন:
ভারতে পাচারের ২৫ বছর পর দেশে ফিরলেন নারী
চামড়া পাচাররোধে হিলি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার
বিজিবির সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, “প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে আটককৃতরা অতীতে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। বিএসএফ রাতের আঁধারে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
একই সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ গত ২৮ মে আরো ১৬ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়। তারা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন নারী, পাঁচজন পুরুষ ও ছয় শিশু ছিল। তাদের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়।
ঢাকা/মনোয়ার/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ ব এসএফ
এছাড়াও পড়ুন:
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক, ২৬ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) দেশটিতে অবৈধভাবে বসবাসকারী ২৬ বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বেণীপুর সীমান্তের প্রধান খুঁটি ৬৪-এর শূন্যরেখায় বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
আজ রাত আটটার দিকে মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) উপ-অধিনায়ক ও অতিরিক্ত পরিচালক আবু হানিফ মো. সিহানুক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। হস্তান্তর করা বাংলাদেশিদের মধ্যে ১৩টি শিশু এবং বাকি ১৩ জনের মধ্যে ৭ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী। তাঁরা কুড়িগ্রাম ও জয়পুরহাট জেলার বাসিন্দা। তাঁরা বিভিন্ন সময়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে দেশটির হরিয়ানা অঞ্চলে ১৪ বছর ধরে বসবাস করে আসছিলেন।
বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিএসএফ ৩২ ব্যাটালিয়ন মহেশপুর ব্যাটালিয়নকে (৫৮ বিজিবি) গতকাল মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে জানায়, ভারতে অবৈধভাবে বসবাস করা ২৬ জন বাংলাদেশিকে হরিয়ানা পুলিশ বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করেছে। তাঁদের ফেরত নিতে নাম, ঠিকানা ও আত্মীয়স্বজনের মুঠোফোন নম্বরসহ বিজিবিকে অনুরোধ জানানো হয়। যাচাই করে ২৬ জনের পরিচয় নিশ্চিত হয় বিজিবি। আজ বেলা দেড়টায় বিজিবি-বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাঁদের গ্রহণ করা করা হয়। এরপর সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে সাধারণ ডায়েরির মাধ্যমে তাঁদের জীবননগর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তর করা বাংলাদেশিরা হলেন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী থানার বড়ইল গ্রামের মোহাম্মদ মকবুল হোসেন (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী আছিয়া বেগম (৪০), বড় মেয়ে মোছা. মরিয়ম (২৫) এবং ১৭, ১১, ৮ ও ৬ বছর বয়সী আরও চার মেয়ে; একই গ্রামের মোহাম্মদ আপেল মামুন (৪০) ও তাঁর ২ ও ১ বছর বয়সী দুই ছেলে; একই থানাধীন আটিয়াবাড়ি গ্রামের মোহাম্মদ আবুল কালাম (৪৫) ও তাঁর বড় ছেলে মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম (১৮) ও ৭ বছর বয়সী ছোট ছেলে; কবিরেরভিটা গ্রামের মোহাম্মদ রাজু মিয়া (৩৮) ও তাঁর স্ত্রী রিজিয়া বেগম (৩৭) এবং তাঁদের ১০, ৭ ও ৫ বছর বয়সী তিন মেয়ে এবং হাসান নূরের মেয়ে লিপি আক্তার (১৯) ও তাঁর ৩ বছর বয়সী মেয়ে; বালাটরি গ্রামের লাভলু হক (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী নুর নাহার বেগম (৪৪), বড় মেয়ে লাভলী খাতুন (২২) এবং ১১ বছর বয়সী ছোট মেয়ে ও ২ বছর বয়সী নাতি। এ ছাড়া জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল থানার দারসা গ্রামের মো. আবদুস সামাদ (২৫)।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অপস) কনক কুমার দাস বলেন, ওই ২৬ জন বাংলাদেশিকে বাড়িতে নিয়ে যেতে তাঁদের স্বজনদের কাছে খবর পাঠানো হয়েছে। স্বজনেরা না আসা পর্যন্ত তাঁদের জীবননগর থানায় রাখা হবে।