কোন দেশের খেলোয়াড়দের জন্য সবচেয়ে বেশি খরচ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর
Published: 13th, June 2025 GMT
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয়, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও ধনী ফুটবল প্রতিযোগিতা। দলবদলের প্রতি মৌসুমেই খেলোয়াড় কেনায় কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ খরচ করে এই লিগের ক্লাবগুলো। প্রশ্ন হলো, কোন দেশের খেলোয়াড়দের দলবদল ফি হিসেবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেছে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো?
ট্রান্সফারমার্কেট উত্তর খুঁজে বের করেছে। ১৯৯২–৯৩ মৌসুমে যাত্রা শুরু করে প্রিমিয়ার লিগ। তার পর থেকে এ পর্যন্ত কোন দেশের খেলোয়াড়দের দলবদল ফি হিসেবে লিগের দলগুলো সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেছে, আসুন জেনে নিই—
প্রিমিয়ার লিগ যেহেতু ইংল্যান্ডের শীর্ষ ফুটবল প্রতিযোগিতা এবং ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়েরাই এ লিগে সবচেয়ে বেশি খেলায় (গত জানুয়ারি পর্যন্ত ১৭২৩ জন) উত্তর শুনে অবাক না–ও হতে পারেন। হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন। গত ৩৩ বছরে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের দলবদল ফিতে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করেছে। অঙ্কটাও বেশ বড়—৬৭১ কোটি ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় অঙ্কটা প্রায় ৯৫ হাজার ৬০ কোটি টাকা!
আরও পড়ুনসুপার ব্যালন ডি’অর ফিরলে জিততে পারেন কে, মেসি না রোনালদো১১ ঘণ্টা আগেইংল্যান্ডের পরই এ তালিকায় দ্বিতীয় তাদের প্রতিবেশী দেশ ফ্রান্স। ফরাসি খেলোয়াড়দের দলবদলে এখন পর্যন্ত ২৬৮ কোটি ইউরো (প্রায় ৩৭ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা) খরচ করেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো।
যে দেশের খেলোয়াড়দের দলবদলে সবচেয়ে বেশি খরচ (শীর্ষ ১০)তৃতীয় স্থানে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের দেশের খেলোয়াড়দের জন্য এ পর্যন্ত ২২৮ কোটি ইউরো (প্রায় ৩২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা) খরচ করেছে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো।
শীর্ষ পাঁচে আর্জেন্টিনার জায়গা হয়নি। চারে স্পেন ও পাঁচে নেদারল্যান্ডস। স্প্যানিশ খেলোয়াড়দের জন্য ২০২ কোটি ইউরো (প্রায় ২৮ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা) এবং ডাচ খেলোয়াড়দের জন্য ১৬১ কোটি ইউরো (প্রায় ২২ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা) খরচ করেছে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো।
আরও পড়ুনপোল্যান্ড কোচের পদত্যাগ, ‘যুদ্ধ’ জিতলেন লেভা১৫ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মারাত্মক সংকটে তিস্তা নদী
আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। আর প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প নিয়েও কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না।
রোববার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (পিআইবি) ‘সংকটে তিস্তা নদী: সমাধানের পথ কী?’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) যৌথভাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জমান। প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের সঙ্গে কোনো পানিবণ্টন চুক্তি না থাকায় এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে আর বর্ষাকালে নিয়ন্ত্রণহীন পানিনির্গমনের ফলে বাংলাদেশ অংশে বন্যা ও ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে।
মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা তিস্তা সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পৃক্ততা, আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং প্রকল্পে স্থানীয় জনগণের মতামত গ্রহণের ওপর জোর দেন। তাঁরা তিস্তা মহাপরিকল্পনা সম্পর্কে স্বচ্ছতা ও পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানান।
অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকারের কাছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কোনো তথ্য নেই। বিগত বছরগুলোতে উন্নয়নের নামে দেশের নদীগুলোকে সংকুচিত করা হয়েছে। আমরা আর সংকুচিত করার উন্নয়ন চাই না। নদীকে নদীর মতোই রাখতে হবে।’
আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। যেসব প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদি, সেসব প্রকল্প গ্রহণের আগে অবশ্যই জনগণের মতামত নিতে হবে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব সামর্থ্য অনুযায়ী প্রকল্প নেওয়া উচিত। নদীকে রক্ষা করতে হবে কিন্তু তাকে খালে পরিণত করে নয়। এই প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।
বাপার প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাপা কখনো উন্নয়নবিরোধী নয়। আমরাও চাই দেশের উন্নয়ন হোক। কিন্তু সেই উন্নয়ন হতে হবে দেশের প্রাণপ্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে ঠিক রেখে। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না। সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।’
বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পরিবেশবিদ, গবেষক ও তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা অংশ নেন।