Samakal:
2025-09-17@23:33:52 GMT

বিশ্বমুদ্রায় মানব প্রতিকৃতি

Published: 13th, June 2025 GMT

বিশ্বমুদ্রায় মানব প্রতিকৃতি

মানব সভ্যতার এক অনন্য গৌরবময় আবিষ্কার হলো মুদ্রা। ইতিহাস বলছে, খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে লিডিয়া (বর্তমান তুরস্কের অংশ) অঞ্চলে প্রথম ধাতব মুদ্রার প্রচলন হয়। সময়ের ধারায় মুদ্রা শুধু আর্থিক বিনিময়ের মাধ্যম নয়, হয়ে ওঠে সংস্কৃতি, রাজনীতি এবং ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি। সেই প্রতিচ্ছবির মধ্যে মানব প্রতিকৃতি– বিশেষত ঐতিহাসিক পুরুষ ও নারীর মুখাবয়ব– এক অনন্য মাত্রা যোগ করেছে।
শত শত বছর ধরে নানা জাতি তাদের রাজা, রাষ্ট্রনায়ক, শাসক, বীর ও শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব, বিপ্লবী, বিজ্ঞানী কিংবা মানবতার পক্ষের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠা মানুষের প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তুলেছে ব্যাংক নোটে কিংবা কয়েনে।
ইডিথ কোয়ান (১৮৬১-১৯৩২), অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম নারী সংসদ সদস্য এবং নারী অধিকার আন্দোলনের পথিকৃত ইডিথ কোয়ান। তিনি নারীর শিক্ষার সুযোগ, স্বাস্থ্যসেবা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে নিরলস পরিশ্রম করেছেন। তাঁর কাজ অস্ট্রেলিয়ান সমাজের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনে। ১৯৯৫ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার ৫০ ডলার নোটে ইডিথ কোয়ানের প্রতিকৃতি রয়েছে। এটি ছিল নারীর জন্য একটি প্রেরণামূলক সম্মাননা।

এভা পেরন (১৯১৯-১৯৫২), আর্জেন্টিনা
এভা পেরন, যিনি ‘এভিতা’ নামে পরিচিত, ছিলেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হুয়ান পেরনের স্ত্রী এবং দেশের দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষের জন্য একজন মহীয়সী সংগ্রামী নেত্রী। তিনি নারীর ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখেন এবং দাতব্য কাজে নিজেকে উৎসর্গ করেন। জনগণের কাছে তিনি ছিলেন মমতাময়ী ‘মাদার অব দ্য নেশন’।
২০১২ সালে আর্জেন্টিনা ১০০ পেসোর একটি ব্যাংকনোট প্রকাশ করে, যেখানে প্রথমবারের মতো একটি নারীর প্রতিকৃতি দেখা যায়, আর তা ছিল এভা পেরনের।
ফ্রিদা কাহলো (১৯০৭-১৯৫৪), মেক্সিকো
বিশ্বখ্যাত চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো ছিলেন আত্মজৈবনিক শিল্পের মূর্ত প্রতীক। তাঁর জীবন ছিল দুঃখ-কষ্ট ও প্রতিবাদের এক চলমান ক্যানভাস, যা ফুটে উঠেছে তাঁর চিত্রকর্মে। তিনি নারীবাদ ও আত্মপরিচয়ের ভাষা খুঁজে পান রঙের ভেতর। মেক্সিকোর ৫০০ পেসো নোটে ২০১৮ সাল থেকে ফ্রিদা কাহলো এবং তাঁর স্বামী দিয়েগো রিভেরার প্রতিকৃতি যুক্ত হয়– এ যেন শিল্প ও প্রেমের যুগলবন্ধন।
গ্রেটা গার্বো (১৯০৫-১৯৯০), সুইডেন
গ্রেটা গার্বো ছিলেন সুইডেনের কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, যিনি হলিউডে এক রহস্যময় ও অভিজাত নারী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন। ১৯২৪ সালে মরিৎজ স্টিলারের নির্বাক চলচ্চিত্র দি অ্যাটনম্যান্ট অব গোস্তা বার্লিংয়ে অভিনয় করেন। এর পরপরই তিনি সুইডেনে বিখ্যাত চিত্রতারকায় পরিণত হন। ১৯২৫ সালে হলিউডে চলে যান। মৌন সৌন্দর্য ও সংযমী অভিনয়শৈলী তাঁকে এক অনন্য প্রতিভায় পরিণত করে। সুইডেনের ১০০ ক্রোনার নোটে গ্রেটা গার্বোর প্রতিকৃতি রয়েছে। এটি তাঁর আন্তর্জাতিক খ্যাতি ও সুইডিশ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক।
হিগুচি ইচিও (১৮৭২-১৮৯৬), জাপান
হিগুচি ইচিও ছিলেন আধুনিক জাপানিজ সাহিত্যের পথিকৃত এবং প্রথম খ্যাতিমান নারী ঔপন্যাসিক। স্বল্পায়ু জীবনে তিনি সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীর জীবন নিয়ে লিখেছেন অসাধারণ সব গল্প।
জাপানের ৫,০০০ ইয়েনের নোটে তাঁর প্রতিকৃতি স্থান পেয়েছে, যা জাপানিজ সাহিত্য ও নারীবাদী লেখনীর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।
ফ্র্যাঙ্ক মরটিমার ম্যাগলিন ওরেল (১৯২৪-১৯৬৭), বার্বাডোজ
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের ইতিহাসে কিংবদন্তি অধিনায়ক ফ্র্যাঙ্ক মরটিমার ম্যাগলিন ওরেল ছিলেন প্রথম পূর্ণ সময়ের কৃষ্ণাঙ্গ অধিনায়ক। তাঁর নেতৃত্বে দলের মধ্যে গড়ে উঠেছিল পেশাদারিত্ব, সম্মান এবং ক্রীড়ানৈতিকতা। বার্বাডোজের ৫ ডলারের নোটে ওরেলের প্রতিকৃতি স্থান পেয়েছে, যা তাঁকে ক্রীড়াবিদ হিসেবে জাতীয় আইকনে পরিণত করে।
মাক ডিজদার (১৯১৭-১৯৭১), বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা
বসনিয়ার একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি, যিনি ইসলামি দর্শন, ইতিহাস ও নিজস্ব সংস্কৃতি নিয়ে রচনা করেছেন গভীর দর্শনমূলক কবিতা। ১০ কনভার্টিবল মার্ক নোটে রয়েছে তাঁর ছবি, যা বসনিয়ার সাহিত্যিক ঐতিহ্যের স্মারক।
পায়সেই হিলেনদারস্কি (১৭২২-১৭৭৩), বুলগেরিয়া
বুলগেরিয়ান ন্যাশনাল রেনেসাঁর পথিকৃৎ, একজন ধর্মযাজক ও ইতিহাসবিদ। তাঁর লেখা ‘স্লাভো-বুলগেরিয়ান হিস্টোরি’ বুলগেরিয়ান জাতিসত্তার জাগরণের সূচনা করে। ২ লেভা নোটে তাঁর প্রতিকৃতি রয়েছে, যা এক নবজাগরণের চিন্তাবিদের প্রতি শ্রদ্ধা।
জন এ ম্যাকডোনাল্ড (১৮১৫-১৮৯১), কানাডা
কানাডার প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও কনফেডারেশনের প্রধান স্থপতি। তাঁর প্রশাসনিক দক্ষতা ও পরিকল্পনায় কানাডা রাষ্ট্রের ভিত্তি মজবুত হয়। কানাডার ১০ ডলারের পুরোনো সংস্করণে রয়েছে তাঁর প্রতিকৃতি।
ইগনাসিও কারেরা পিন্টো (১৮৪৮-১৮৮২), চিলি
চিলির যুদ্ধনায়ক, যিনি ‘ব্যাটল অব লা কনসেপশিয়ান’-এ ৭৭ জন সৈন্য নিয়ে প্রায় ৪০০০ সৈন্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেন এবং শহীদ হন। এক হাজার পেসোর নোটে রয়েছে তাঁর প্রতিকৃতি, যা আত্মত্যাগের গৌরবময় প্রতীক। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে

বান্দরবানের থানচি উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসার জায়গা ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক, নার্স ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকটে এই হাসপাতাল কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে পুরো হাসপাতাল চালাচ্ছেন মাত্র একজন চিকিৎসক। গত পাঁচবছরে চিকিৎসাধীন ও রেফার্ড করা ২৪ জন রোগী মারা গেছেন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ১৯৯৫ সালে ৩১ শয্যার থানচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যাত্রা শুরু করে। পরে এটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র দুইজন। তাদের মধ্যে একজন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন। এ কারণে রোগীদের সেবা দিতে পারছেন না। ১৮ জন নার্স পদে রয়েছেন মাত্র চারজন। চারজন মিডওয়াইফ থাকার কথা, নেই একজনও।

আরো পড়ুন:

ফরিদপুরে পাগলা ঘোড়ার কামড়ে আহত ২০

বক্তব্য দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়লেন কাদের সিদ্দিকী

প্রাথমিক থেকে শুরু করে জরুরি চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালে ছুটে যান পাহাড়ি ও বাঙালিরা। তাদের অভিযোগ, হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা যোগ হয়নি। প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক না থাকায় গর্ভবতী নারী, শিশু ও বৃদ্ধ রোগীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন। 

দুর্গম এলাকার রোগীরা অনেক সময় নদীপথ কিংবা পাহাড়ি রাস্তা পাড়ি দিয়ে হাসপাতালে এলেও কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা সেবা পান না। বরং তাদের বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। অনেক সময় বান্দরবানে যাওয়ার পথে রোগীরা মারা যান। এ কারণে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক, নার্স ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন তারা।

হাসপাতালের পরিসংখ্যানবীদ পঙ্কজ বড়ুয়া জানান, ২০২০ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এখানে ভর্তি হয়েছেন ৫ হাজার ১৯৮ জন রোগী। এর মধ্যে ৪৫৬ জনকে রেফার্ড করা হয় বান্দরবান সদর হাসপাতালে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৭ জন রোগী। 

থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক মংক্যসিং মারমা বলেন, “২০১৯ সালে চাকরিতে যোগদান করার পর থেকে অন্তত সাতজন রেফার্ড করা রোগী মাঝপথে আমার গাড়িতেই মারা গেছেন।”

 

শৈসাই মং মারমা তিন বছর আগে বিনা চিকিৎসায় তার মাকে মারা যেতে দেখেছেন। তিনি জানান, তার মা শৈমেপ্রু মারমা (৩৪) অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর হঠাৎ তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। রেমাক্রী বাজার থেকে নদীপথে থানচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান মাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ভাড়া গাড়িতে জেলা হাসপাতালে যাওয়ার সময় চিম্বুক বারো মাইল এলাকায় তার মা মারা যান।

লেংরু ম্রো নামে চার সন্তানের মা হারিয়েছেন স্বামীকে। তিনি জানান, তার স্বামী রেং য়ুং ম্রো (৪৫) কিডনি জটিলতা নিয়ে থানচি হাসপাতালে যান। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে তাকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। থানচি থেকে বান্দরবান যাওয়ার মাঝপথে মারা যান তার স্বামী।

স্থানীয় বাসিন্দা মংমে মারমা বলেন, ‍“হাসপাতালে চিকিৎসক, ওষুধ ও যন্ত্রপাতির সংকট দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বদলি হলেও অনেকেই থানচিতে যোগ দেন না, ডিপুটেশনে থেকে যান সদর হাসপাতালে। ফলে এ অঞ্চলের পাহাড়ি ও বাঙালি প্রায় ৩০ হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।”

রিয়েং ম্রো নামে অপর বাসিন্দা বলেন, “পাহাড়ে বসবাসকারীদের অধিকাংশ গরিব। জেলা সদর হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়া ব্যয়বহুল ও কষ্টকর। রেমাক্রি, বড় মোদক, তিন্দু থেকে থানচি সদরে রোগী আনতেই অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। এরপর আবার বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেফার্ড করলে সাধারণ মানুষ কীভাবে চিকিৎসা করাবে?” 

থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, “বর্তমানে হাসপাতালে আমিসহ দুইজন চিকিৎসক রয়েছেন। একজন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন। তিন রোগীদের সেবা দিতে পারছেন না। ফলে পুরো হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্ব আমাকে একাই সামলাতে হচ্ছে।”

তিনি আরো বলেন, “জনবল ও সরঞ্জাম সংকটের কারণে গুরুতর রোগীদের রেফার্ড করা ছাড়া উপায় থাকে না। দীর্ঘ পথের কারণে অনেকেই জীবিত অবস্থায় সদর হাসপাতালে পৌঁছাতে পারেন না।”

বান্দরবান জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শাহীন হোসাইন চৌধুরী বলেন, “শুধু বান্দরবান নয়, পুরো তিন পার্বত্য জেলাতেই চিকিৎসক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। নতুন করে ৪৮তম বিসিএসের ডাক্তার পদায়ন না হওয়া পর্যন্ত এই সংকট পুরোপুরি সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও বিভাগীয় প্রধানকে বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের আট-দশজন চিকিৎসককে বান্দরবানে বদলি করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”

ঢাকা/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় ২৬ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টির শিকার: জাতিসংঘ
  • গ্রাহকের কাছে পেয়ারা খেতে চায় জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা
  • গল্পটা এই ক্লাসরুম থেকেই শুরু: ইরফান সাজ্জাদ
  • রাশিয়ায় এক বাঙালি বিপ্লবীর খোঁজে
  • আপনার এত সাহস হয় কী করে, সাংবাদিককে নায়িকা
  • দুবাইয়ে বিকৃত যৌন ব্যবসা চক্রের প্রধানকে চিহ্নিত করল বিবিসির এক অনুসন্ধান
  • মহানবী (সা.)–এর ইন্তেকালের পরে শাসন নিয়ে যা ঘটেছে
  • কুবিতে নতুন ১৮ বিভাগ ও ৪ ইনস্টিটিউট চালুর সুপারিশ
  • সংগীতশিল্পী দীপ মারা গেছেন
  • ৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে