নারায়ণগঞ্জ মহানগর ইসলামী ছাত্র আন্দোলন এর ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
Published: 17th, June 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর ইসলামী ছাত্র আন্দোলন এর ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় নগর কার্যালয়ে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সভাপতি এইচ.এম. শাহীন আদনান এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আবুল হাশিম এর সঞ্চালনায় সাবেক ও বর্তমান দায়িত্বশীলদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর এর সভাপতি মুফতী মাসুম বিল্লাহ।
মুফতী মাসুম বিল্লাহ বলেন আগামী ২৮ জুন ঢাকায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বিচার, সংস্কার ও পি আর পদ্ধতিতে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে এক মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে,আমরা ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছি নারায়ণগঞ্জ থেকে পঞ্চাশ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে ঢাকায় উপস্থিত হব,তাই আপনার সকলে মাঠে ময়দানে দাওয়াতি কার্যক্রম চালিয়ে যান।
সভাপতি এইচ এম শাহীন আদনান বলেন,আজকে যারা উপস্থিত হয়ে এই ঈদ পুনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভা সাফল্যমন্ডিত করেছেন সকলকে মোবারকবাদ জানাই,আগামীতে ইসলাম দেশ ও মানবতার জন্য কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে আমাদের যে যে পরামর্শ দিয়েছেন তার মাধ্যমে আমাদের জনশক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ইনশাআল্লাহ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর এর সেক্রেটারি মুহা সুলতান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শামসুল আলম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মুহাম্মদ আলী।
আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর এর সহ-সভাপতি মুহা নোমান আহমেদ,সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী মুহা.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ উপস থ ত ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ অফিসে বর্বরোচিত বোমা হামলার রায় ১ আগষ্ট
নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ অফিসে বর্বরোচিত বোমা হামলার রায় আগামী ১ আগষ্ট। দীর্ঘ ২৪ বছর পরে অবশেষে আলোচিত এই মামলাটির বিচার কাজ শেষ হতে যাচ্ছে।
২০০১ সালের ১৬ জুন চাষাঢ়া আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনায় ২০ জন নেতাকর্মী নিহত হয়। সেদিন নিহত হয়েছিল শহর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল হাসান বাপ্পী, সরকারী তোলারাম কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের সাবেক জিএস আকতার হোসেন ও তার ভাই সঙ্গীত শিল্পী মোশাররফ হোসেন মশু, সঙ্গীত শিল্পী নজরুল ইসলাম বাচ্চু, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের তৎকালীন যুগ্ম সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ভাসানী, নারায়ণগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ বি এম নজরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সাইদুর রহমান সবুজ মোল্লা, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী পলি বেগম, ছাত্রলীগ কর্মী স্বপন দাসসহ ২০ জন।
নৃশংস এ বোমা হামলার ঘটনায় দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। এক যুগ পরে ২০১৩ সালে ৬জনকে অভিযুক্ত ও ৩১জনকে অব্যাহতি প্রদান করে চার্জশীটটি দাখিল করে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি।
অভিযুক্ত ৬জন হলেন সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা শাহাদাতউল্লাহ জুয়েল, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান (ইতোমধ্যে অপর এক মামলায় মৃত্যুদন্ড কার্যকর), জঙ্গী নেতা ওবায়দুল্লাহ রহমান, ভারতের দিল্লী কারাগারে আটক সহোদর আনিসুল মোরসালিন, মুহিবুল মুত্তাকিন ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এর ১২নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু।
দু’টি মামলায় ১৩৮ জনকে সাক্ষী করা হলেও গত ১২ বছরে সাক্ষ্যগ্রহণের কাজও চলেছে অনেক ঢিমেতালে। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকলেও চাঞ্চল্যকর এই মামলার বিচার করা নিয়ে সদিচ্ছার অভাব ছিল। সাক্ষ্যগ্রহণ অত্যন্ত ধীরগতিতে হওয়ায় নিহত ও আহতদের স্বজনরাও ছিলেন চরম হতাশ।
মামলাটির বিচার কার্যক্রম প্রসঙ্গে আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন জানান, বিগত সরকারের আমলে মামলাটির বিচার কাজে দীর্ঘসূত্রিতা ছিল।
আলোচিত এই মামলায় ১৯ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি দ্রুত নিস্পত্তির চেষ্টা করেছি। আশা করছি আগামী ১ আগস্ট মামলাটির রায় ঘোষণা করবেন আদালত।