সোনারগাঁয়ে মসজিদের সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বি হওয়ায় হাত ভেঙে দিয়েছে প্রতিপক্ষ
Published: 17th, June 2025 GMT
মসজিদ কমিটির সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বি হওয়ায়, প্রতিপক্ষ তাজুর হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইকবাল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
এমন কি ভুক্তভোগী কোন রাজনীতির সাথে জড়িত না থাকলেও শুধুমাত্র হয়রানী করতে যুবলীগের নেতা বানিয়ে প্রচার করছে একই এলাকার তাইজউদ্দিনের ছেলে ইকবাল হোসেন। ঘটনাটি সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাবিলগঞ্জ গ্রামের।
ভুক্তভোগী তাজুল ইসলাম জানান, গত ১৫ জুন বিকাল সাড়ে ৬টার দিকে তাজুল ইসলাম কাবিলগঞ্জ গ্রামের জুয়েল ও রাকিব নামে দুই ভাইয়ের প্রবাসী জীবন ব্যবস্থার খোঁজ-খবর নিচ্ছিলেন প্রবাসীদের ভাই মাসুমের কাছ থেকে।
এ সময় একই গ্রামের মৃত তাইজুদ্দিনের ছেলে ইকবাল তার বাড়ির সামনে গিয়ে তাজুল-ইকবালের বাবা তাইজুদ্দিনকে গালাগালি করছে এমন মিথ্যা অপবাদ তুলে তাজুলকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। তাজুল ইকবালের সামনে গিয়ে তাজুলকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দের কারণ জানতে চাইলে দু’জনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি পরবর্তী হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ সময় ইকবাল তার হাতে থাকা এসএস পাইপ দিয়ে তাজুলের মাথায় জোরে আঁঘাত করলে তাজুল ইসলাম তাজু সে আঁঘাত হাঁত দিয়ে ফেরাতে গেলে তাজুর হাঁতটি ভেঙে যায়।
তাজুল ইসলাম তাজু জানায়, তাদের গ্রামের মসজিদের একটি জমি নিয়ে তাজুদের সাথে ইকবালদের দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। এছাড়া, সম্প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্তে তাদের গ্রামে একটি মসজিদ নির্মাণের দেখবাল করেছে তাজুল।
সেই মসজিদের হিসাব-নিকাশও কাজ শেষে পঞ্চায়েতের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে সে তাজুল সরে আসে। কিছুদিন আগে ইকবালের বাবা মারা যাওয়ায় মসজিদের সভাপতির পদটি খালি হয়। তাজু জানায়, ইকবালের ইচ্ছা তার বাবার স্থানটিতে ইকবাল বসবে। কিন্তু তার বয়স কম হওয়ায় এবং এলাকার বিতর্কিত থাকায় তার চেয়ে যোগ্য ব্যক্তিকে সভাপতি করতে বেশিরভাগ মানুষ ইকবালের বিরোধীতা করে।
এদিকে, তাজু ইকবালের বিরুদ্ধে মুসল্লীদের লেলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেন এবং মসজিদের জমি ইকবালরা দিয়েছে দাবি করেন।
তাজু জানায়, সমাজের সকলেই জানেন-মসজিদের জমি এককভাবে ইকবালের বাবা তাইজউদ্দিন দেননি। সে জমি তাইজুদ্দিন, তাজু-তার ভাই সাজু এবং তাদের চাচাতো ভাইরা দান করেছেন। এখনো মসজিদের জমিটি মসজিদের নামেও দেওয়া হয়নি।
এরমধ্যে ইকবালের বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে মসজিদ কমিটির সভাপতি হওয়ার জন্য ইকবাল উঠে পড়ে লেগেছে। তাজুলের প্রশ্ন, একটি মসজিদের সভাপতি হওয়ার জন্য মারামারি কেন করতে হবে? মারামারি করে সভাপতি হওয়ার পিছনে অবশ্যই কোন খারাপ উদ্দেশ্য আছে বলে তিনি দাবি করেন।
তাজুল আরও বলেন, আমি জীবনে কোন রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম না। আমি রাজনীতির সাথে জড়িত কোন প্রমাণ কেউ দেখাতে পারলে যেকোন বিচার মাথা পেতে নিব। অথচ, আমি যুবলীগের নেতা এমন মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে প্রতিপক্ষ।
তার দাবি, শুধুমাত্র তাকে হয়রানি করতেই যুবলীগের এমন মিথ্যা ট্যাগ লাগিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও মসজ দ ন র য়ণগঞ জ ইকব ল র ব ব ত জ ল ইসল ম মসজ দ র
এছাড়াও পড়ুন:
১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’
জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত ১১ দলের ১১টি নতুন প্রযোজনা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’। জাতীয় নাট্যশালায় গত ৩১ জুলাই শুরু হওয়া এই নাট্যোৎসব চলবে ৮ আগস্ট পর্যন্ত। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত এ উৎসবে নাট্যরূপে উঠে আসছে ইতিহাস, আন্দোলন ও সময়ের গল্প।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন গতকাল শুক্রবার জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় ‘শুভঙ্কর হাত ধরতে চেয়েছিল’। তীরন্দাজ রেপার্টরি প্রযোজিত নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় দীপক সুমন। গতকালই ছিল এ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মঞ্চস্থ নতুন এ নাটক নিয়ে আলোচনা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে উল্লেখযোগ্য দর্শকের উপস্থিতি ছিল। দর্শকদের অনেকেই বলছেন, এই নাটকে যেন এক নাগরিকের নির্জনতা, এক প্রেমিকের না-পাওয়া, এক বিপ্লবীর বিষণ্নতা আর এক সাধারণ মানুষের অসহায়তা একসূত্রে বাঁধা পড়েছে।