খুলনা সিটি কলেজ ছাত্রদলের সদ্য সাবেক আহ্বায়ক রাজু আহমেদ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জুনায়েদ হোসেন মুন্না এবং শরণখোলা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্যসচিব শামীম হোসেনসহ ৫ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। সোমবার রাতে নগরীর শিপইয়ার্ড সড়কের চানমারী বাজারের ৩টি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি রিভলবার, দুই রাউন্ড গুলি ও ২৭০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। 

আটক অন্য দু’জন হলেন- চানমারী মাস্টারপাড়া এলাকার মিরাজ ও নীরব ইসলাম জিয়া।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার মধ্য রাত থেকে নগরীর শিপইয়ার্ড এবং চানমারী এলাকায় যৌথ অভিযান শুরু করেন পুলিশ ও সেনা সদস্যরা। ভোর সাড়ে ৬টা পর্যন্ত অভিযান চলে। এ সময় চানমারী ইউনুস তালুকদারের বাড়ি থেকে রিভলবার, গুলি এবং ২৭০ ইয়াবাসহ ৫ জনকে আটক করা হয়। 

খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, বিশেষ অভিযানে বিদেশি পিস্তল, গুলিসহ ৫ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ঘটনায় পৃথক পৃথক মামলা হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল ন ত

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী ধর্ষণ: বাসচালকের সহযোগী গ্রেপ্তার

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি লিটন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। লিটন মামলার প্রধান আসামি বাসচালক সাব্বির মিয়ার সহযোগী (হেলপার)। 

সোমবার গভীর রাতে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুর এলাকা থেকে লিটনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৯। আসামি লিটন (২৬) সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রশিদপুর গ্রামের বাসিন্দা। 

র‍্যাব-৯-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) কে.এম শহিদুল ইসলাম জানান, সিলেট সদর কোম্পানি ও শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প যৌথ অভিযান চালিয়ে লিটনকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার বিকেলে তাকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে মামলার প্রধান আসামি সাব্বির মিয়াকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সাব্বির নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের ইনাতাবাদ বাংলাবাজার এলাকার বাসিন্দা।

গত রোববার রাতে নবীগঞ্জ-শেরপুর আঞ্চলিক সড়কে একটি চলন্ত বাসে চালক ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরদিন নবীগঞ্জ থানায় মামলা করে। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, ঢাকার একটি কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ওই ছাত্রী রোববার দুপুরে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে বাসে করে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। শায়েস্তাগঞ্জে নামার কথা থাকলেও বাসে ঘুমিয়ে পড়ায় সে মৌলভীবাজারের শেরপুর স্টপেজে নামে। সেখান থেকে রাত ১০টার দিকে ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি লোকাল বাসে উঠে বাড়ি ফেরার সময় আউশকান্দি এলাকায় অন্য যাত্রীরা নেমে যান। এ সময় একা পেয়ে বাসচালক সাব্বির ও হেলপার লিটন চলন্ত বাসে তাকে ধর্ষণ করে। তার চিৎকারে তিনতালাব এলাকায় স্থানীয়রা বাসটি আটক করে। এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় স্থানীয়রা চালককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। তবে লিটন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়। 

মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। তিনি জানান, ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য তাকে হবিগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ