এবার রেস্তোরাঁ ব্যবসায় নামল প্রাণ গ্রুপ, খাওয়ানো হবে ভাত-মাছ-মাংস
Published: 22nd, June 2025 GMT
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ গ্রুপ এবার রেস্তোরাঁ ব্যবসায় নামল। ‘ডেইলি দাওয়াত’ নামে একটি রেস্তোরাঁ চালু করেছে তারা। এতে ভাত, ভর্তা, মাছ ও মাংসের মতো বাংলা খাবার পাওয়া যাবে। ‘খাবারে উৎসবের স্বাদ’, এই স্লোগানে নতুন এই রেস্তোরাঁ চেইনের যাত্রা শুরু হয়েছে। উদ্যোগটি নিয়েছে প্রাণের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বঙ্গ বেকারস।
রাজধানীর গুলশানে আজ রোববার ডেইলি দাওয়াতের প্রথম আউটলেট বা রেস্তোরাঁর উদ্বোধন করা হয়। এটির উদ্বোধন করেন বঙ্গ বেকারসের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) অনিমেষ সাহা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডেইলি দাওয়াতের বিপণন প্রধান আনিসুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মোহাইমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রাণ গ্রুপের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেইলি দাওয়াতের প্রধান আকর্ষণ হবে হাঁসের মাংস, কালা ভুনা ও চুই ঝালের মাংস। এতে সকালে নাশতা এবং দুপুর ও রাতে দেশীয় ঐতিহ্যবাহী শতাধিক বাংলা খাবার পাওয়া যাবে। এ ছাড়া বিকেল ও সন্ধ্যায় বিভিন্ন ধরনের কাবাবও থাকবে।
এ বিষয়ে অনিমেষ সাহা বলেন, ‘মনোরম পরিবেশে জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন ধরনের বাংলা খাবার উপভোগ করা যায়, দেশে এমন রেস্তোরাঁর সংখ্যা কম। আমরা ভোক্তার চাহিদা অনুযায়ী সেই অভাব পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রাথমিকভাবে আমরা রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয়কেন্দ্র চালু করব। পরে ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম ও রাজশাহীসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রয়কেন্দ্র চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।’
ডেইলি দাওয়াতে পরিবেশিত খাবারের দাম কেমন হবে জানতে চাইলে অনিমেষ সাহা প্রথম আলোকে বলেন, খাবারের দাম সাধারণ মানুষের আয়ত্তে থাকবে। শুরুতে মাছ ও কাবাবের পদের সংখ্যা কম থাকলেও ধীরে ধীরে বাড়বে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
নিউমার্কেট থেকে ১১০০ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৯
রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকার কয়েকটি দোকান ও গুদামে শনিবার অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ১০০টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। এসব অস্ত্র বিক্রি ও সরবরাহের সঙ্গে জড়িত নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ আর্মি ক্যাম্পে শনিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক বিগ্রেডের ডেয়ারিং টাইগার্সের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজিম।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজিম বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি এই আইটেমগুলো (ধারালো অস্ত্র) কোনো একটা জায়গা থেকে সন্ত্রাসীদের কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে হচ্ছে এবং গোপনে বিক্রি করা হচ্ছে, এমনকি ভাড়াও দেওয়া হচ্ছে। কিছু কিছু সময় ফ্রি ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে, হোম ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ঢাকার কোনো একটি জায়গা থেকে এই আইটেমগুলো সন্ত্রাসীদের হাতে দেওয়া হয়।’
নাজিম বলেন,‘আমাদের কাছে গ্রেপ্তারকৃত সন্ত্রাসীরা স্বীকার করেছে, একটা স্থান থেকে তারা এই সামুরাইগুলো সাপ্লাই পাচ্ছে। এরপর আমরা আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করি। গত কয়েক দিন ধরে আমাদের গোয়েন্দারা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে খোঁজ নেয় এবং নিশ্চিত হয় যে, কোন কোন স্থানগুলোতে এই ধারালো অস্ত্রগুলো পাওয়া যাবে। এর ভিত্তিতে আমরা আজ (শনিবার) নিউমার্কেটে গিয়ে তিন থেকে চারটি দোকানে তল্লাশি চালিয়ে এই ধারালো অস্ত্রগুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হই।’
সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আজ আমরা এই কাজে জড়িত হিসেবে নয়জনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছি। মোট তিনটি দোকান থেকে মূল এই আইটেমগুলো পাওয়া যায়। আমরা গত কয়েক মাস ধরে লক্ষ্য করেছি, সন্ত্রাসীরা এই ধরনের দেশি অস্ত্রই বেশি ব্যবহার করে। গত তিন-চার মাস ধরে এগুলো বিশাল আকারে মজুত করা হয়েছে এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের হাতে দেখা যাচ্ছে।’