৪ দিনে কত আয় করলো আমিরের ‘সিতারে জামিন পার’
Published: 24th, June 2025 GMT
প্রেক্ষাগৃহে ২১ জুন মুক্তি পেয়েছে আমির খানের বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘সিতারে জামিন পার’। বক্স অফিসে শুরুটা ভালো না হলেও সপ্তাহান্তে ব্যবসার গতি বেশ বাড়িয়েছে সিনেমাটি। অর্থাৎ মাত্র চার দিনে ১০০ কোটি রুপির মাইলফলক স্পর্শ করেছে ‘সিতারে জামিন পার’।
ভারতের বক্স অফিস রিপোর্টভিত্তির অনলাইন স্যাকনিল্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাত্র চার দিনেই ১০০ কোটির মাইলফলক অতিক্রম করেছে ছবিটি।
রিপোর্ট অনুসারে, মুক্তির চার দিনের মধ্যে ভারতে ৬৬.
‘সিতারে জামিন পার’ ছবিটি দর্শক, সমালোচক এবং চলচ্চিত্র জগতের অনেকের কাছে প্রশংসা অর্জন করেছে।
জাভেদ আখতার লিখেছেন, “দ্বিতীয় দিনে বক্স অফিসে ‘সিতারে জামিন পার' যে রেকর্ড করেছে তা জানতে পেরে খুব খুশি। কে বলে যে ভালো চলচ্চিত্রের দর্শকদের মধ্যে কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। আমির খান ও তার টিমকে অভিনন্দন।”
সিনেমাটি দেখে দক্ষিণী সুপারস্টার মহেশ বাবু লিখেছেন, “সিতারে জামিন পার’ ছবিটি এত সুন্দর, যা আপনাকে হাসাবে, কাঁদবে এবং হাততালি দিতে বাধ্য করবে। আমির খানের সমস্ত ক্লাসিক সিনেমার মতোই এটা। আপনি আপনার মুখে একটি বড় হাসি নিয়ে বেরোবেন এই ছবি দেখে।”
এর আগে ছবির প্রচারে গিয়ে আমির বলেছিলেন, ‘সিতারে জামিন পার’ কোনও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে না। এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে মাল্টিপ্লেক্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া।
আরএস প্রসন্নর পরিচালিত এ সিনেমায় আমির খান ছাড়াও অভিনয় করেছেন জেনেলিয়া দেশমুখ, আরুষ দত্ত, গোপী কৃষ্ণ ভার্মা, সম্বিত দেশাই, বেদান্ত শর্মা, আয়ুষ বনশালি, আশিস পেন্ডসে, ঋষি শাহানি, ঋষভ জৈন, নমন মিশ্র এবং সিমরান মঙ্গেশকরসহ দশজন নবাগত শিল্পী।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ক্লাউড চালু করল রবির সহযোগী প্রতিষ্ঠান এক্সেনটেক
দেশে প্রথমবারের মতো স্থানীয়ভাবে হোস্ট করা ‘এক্সেনটেক ক্লাউড’ নামের ক্লাউড মাধ্যম চালু করেছে রবি আজিয়াটা পিএলসির সহযোগী প্রতিষ্ঠান এক্সেনটেক পিএলসি। টিয়ার–৪ অবকাঠামোভিত্তিক হওয়ায় ক্লাউড মাধ্যমটি বৈশ্বিক মানের নির্ভরযোগ্যতা, নিরাপত্তা ও সম্প্রসারণের মানদণ্ড পূরণ করতে সক্ষম। আজ মঙ্গলবার ঢাকায় এক্সেনটেক পিএলসির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ক্লাউড মাধ্যমটি চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সম্পূর্ণ দেশীয়ভাবে পরিচালিত এক্সেনটেক ক্লাউড মাধ্যমটির যশোরে টিয়ার–৪ মানের তথ্যভান্ডার ও নারায়ণগঞ্জের ভুলতায় অতিরিক্ত হোস্টিংয়ের সুবিধা রয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে পরিচালিত হওয়ায় এক্সেনটেক ক্লাউডে থাকা তথ্যের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা সম্ভব। এটি বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতির জন্য বড় অগ্রগতি এবং স্থানীয় প্রযুক্তি সক্ষমতার মাইলফলক।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘আইসিটি খাত অনেক দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। শুধু তথ্য নিয়ন্ত্রণের জন্য নয়, দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা উন্মোচনের জন্য আমাদের উচিত স্থানীয় ক্লাউড মাধ্যমকে অগ্রাধিকার দেওয়া। এক্সেনটেক ক্লাউড সময়োপযোগী একটি উদ্যোগ, যা একদিকে বৈশ্বিক ব্যবসাকে আকৃষ্ট করবে এবং অন্যদিকে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের উৎকর্ষতা বাড়াবে। এটি আমাদের স্থানীয় প্রযুক্তি ইকোসিস্টেমের জন্য একটি নতুন মাইলফলক।’
এক্সেনটেক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. আদিল হোসেন নোবেল বলেন, ‘দেশে আমরা প্রথম স্থানীয়ভাবে হোস্ট করা টিয়ার–৪ ক্লাউড সেবা চালু করেছি। দীর্ঘদিন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিদেশে হোস্ট করা ক্লাউড মাধ্যমের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। এর ফলে তথ্যের নিরাপত্তা, গতি ও খরচ নিয়ে নানা উদ্বেগ তৈরি হতো। এই চ্যালেঞ্জগুলো সমাধানের লক্ষ্যে এক্সেনটেক ক্লাউড চালু করা হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে রবি আজিয়াটা পিএলসির কোম্পানি–সচিব সাহেদ আলম ও সিসিও এ কে এম নাজমুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।