প্রেক্ষাগৃহে ২১ জুন মুক্তি পেয়েছে আমির খানের বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘সিতারে জামিন পার’। বক্স অফিসে শুরুটা ভালো না হলেও সপ্তাহান্তে ব্যবসার গতি বেশ বাড়িয়েছে সিনেমাটি। অর্থাৎ মাত্র চার দিনে ১০০ কোটি রুপির মাইলফলক স্পর্শ করেছে ‘সিতারে জামিন পার’।

ভারতের বক্স অফিস রিপোর্টভিত্তির অনলাইন স্যাকনিল্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাত্র চার দিনেই ১০০ কোটির মাইলফলক অতিক্রম করেছে ছবিটি।

রিপোর্ট অনুসারে, মুক্তির চার দিনের মধ্যে ভারতে ৬৬.

৬৫ কোটি রুপি ও বিদেশের বাজার থেকে অতিরিক্ত ৩০ কোটি রুপি নিয়ে চলচ্চিত্রটির বিশ্বব্যাপী মোট সংগ্রহ এখন দাঁড়িয়েছে ১১০ কোটি রুপিতে। তবে এটি এখনও সালমান খানের সাম্প্রতিক মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘সিকান্দার’-এর চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। সালমানের  সিনেমাটি চার দিয়ে বক্স অফিসে আয় করেছিল ১৭৭ কোটি রুপি।

‘সিতারে জামিন পার’ ছবিটি দর্শক, সমালোচক এবং চলচ্চিত্র জগতের অনেকের কাছে প্রশংসা অর্জন করেছে।

জাভেদ আখতার লিখেছেন, “দ্বিতীয় দিনে বক্স অফিসে ‘সিতারে জামিন পার' যে রেকর্ড করেছে তা জানতে পেরে খুব খুশি। কে বলে যে ভালো চলচ্চিত্রের দর্শকদের মধ্যে কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। আমির খান ও তার টিমকে অভিনন্দন।”

সিনেমাটি দেখে দক্ষিণী সুপারস্টার মহেশ বাবু লিখেছেন, “সিতারে জামিন পার’ ছবিটি এত সুন্দর, যা আপনাকে হাসাবে, কাঁদবে এবং হাততালি দিতে বাধ্য করবে। আমির খানের সমস্ত ক্লাসিক সিনেমার মতোই এটা। আপনি আপনার মুখে একটি বড় হাসি নিয়ে বেরোবেন এই ছবি দেখে।”

এর আগে ছবির প্রচারে গিয়ে আমির বলেছিলেন, ‘সিতারে জামিন পার’ কোনও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে না। এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে মাল্টিপ্লেক্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া।

আরএস প্রসন্নর পরিচালিত এ সিনেমায় আমির খান ছাড়াও অভিনয় করেছেন জেনেলিয়া দেশমুখ, আরুষ দত্ত, গোপী কৃষ্ণ ভার্মা, সম্বিত দেশাই, বেদান্ত শর্মা, আয়ুষ বনশালি, আশিস পেন্ডসে, ঋষি শাহানি, ঋষভ জৈন, নমন মিশ্র এবং সিমরান মঙ্গেশকরসহ দশজন নবাগত শিল্পী।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম র খ ন আম র খ ন

এছাড়াও পড়ুন:

কোচ গার্দিওলার ১০০০তম ম্যাচের আগে যা জানতে পারেন

রোববার লিভারপুলের বিপক্ষে মাঠে নামছে ম্যানচেস্টার সিটি। আর এই ম্যাচেই কোচ হিসেবে এক অনন্য মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবেন পেপ গার্দিওলা—এটাই হবে তাঁর কোচিং ক্যারিয়ারের হাজারতম ম্যাচ।

২০০৭ সালে বার্সেলোনা ‘বি’ দলের দায়িত্ব নিয়ে কোচিং শুরু করেছিলেন গার্দিওলা। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি পরিচালনা করেছেন ৯৯৯টি ম্যাচ। এর মধ্যে জয় এসেছে ৭১৫টিতে, হার মাত্র ১২৮টিতে।

বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ ও ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে কোচ হিসেবে গার্দিওলা জিতেছেন ১২টি লিগ শিরোপা ও ৩টি চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি। এ ছাড়া তাঁর গৌরবময় ক্যারিয়ারে আছে আরও ১৪টি ঘরোয়া কাপ শিরোপা।

আরও পড়ুনরেকর্ড গড়ার পর গার্দিওলা বললেন, ‘ফার্গুসন–ওয়েঙ্গারকে ডিনারের আমন্ত্রণ জানাব’০৬ অক্টোবর ২০২৫

বিবিসি স্পোর্ট তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিল, কত ম্যাচ জিতেছেন, জানেন কি না। গার্দিওলা হেসে বলেছিলেন, ‘অবশ্যই জানি, অনেক। সংখ্যাগুলো সত্যিই অবিশ্বাস্য। আমি সংখ্যাগুলো নিয়ে ভাবি না। কিন্তু যখন এমন মাইলফলক আসে এবং আমি করেছি তা লেখা হয়, শুধু প্রিমিয়ার লিগ নয়, চ্যাম্পিয়নস লিগেও—তখন বোঝা যায় বার্সেলোনা, বায়ার্ন আর এখানেও অসাধারণ কিছু অর্জন করেছি।’

গার্দিওলা আরও বলেন, ‘এমন স্তরে পৌঁছানো খুব কঠিন। যদি আবার শুরু করতাম, হয়তো কখনোই এত দূর যেতে পারতাম না। এটা অনেক বড় পথ। প্রায় ১০০০ ম্যাচের মধ্যে অল্প কিছু ম্যাচে হেরেছি। আশা করি, রোববারও আমরা জয়ের ধারাটা ধরে রাখতে পারব।’

গার্দিওলার এই মাইলফলককে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কিংবদন্তি স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। ক্যারিয়ারে দুই হাজারের বেশি ম্যাচ পরিচালনা করা ফার্গুসন বলেছেন, ‘পেপ! আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আপনাকে লিগ ম্যানেজারস অ্যাসোসিয়েশনের (এলএমএ) হল অব ফেমের ১০০০ ক্লাবে স্বাগত জানানোর সুযোগ পাচ্ছি।

খেলার প্রতি আপনার ভালোবাসা ও আবেগ সব সময় স্পষ্টভাবে দেখা যায়। আপনি যেভাবে বিশ্বের ফুটবলে অবিস্মরণীয় প্রভাব রেখে যাচ্ছেন, তা নিয়ে আপনার গর্বিত হওয়া উচিত। ১০০০টি ম্যাচে পৌঁছানো এবং ফুটবলে এমন দীর্ঘস্থায়িত্ব অর্জন করা এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কোচ গার্দিওলার ১০০০তম ম্যাচের আগে যা জানতে পারেন
  • মুশফিকুরের শততম টেস্ট নিয়ে আশরাফুলের উচ্ছ্বাস