গাজায় হামাসের হামলায় ৭ ইসরায়েলি সেনা নিহত
Published: 25th, June 2025 GMT
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসে হামাসের অভিযানে দখলদার ইসরায়েলের সাত সেনা নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরো কয়েকজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে অতর্কিত হামলা চালায় বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম প্যালেস্টাইন ক্রনিকল।
টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, খান ইউনিসের যে এলাকায় হামলা হয়েছে, সেখানে পরবর্তীতে ইসরায়েলি বাহিনী তীব্র হামলা শুরু করে। মূলত আহতদের উদ্ধারে হামলার তীব্রতা বাড়ান তারা।
আরো পড়ুন:
ফিলিস্তিন-ইরানে হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে ইসরাইলি পতাকায় অগ্নিসংযোগ
বিশ্লেষণ: ইসরায়েলিরা এখন বুঝতে পারছে ফিলিস্তিনি ও লেবানিজরা কী ভোগ করছে
প্যালেস্টাইন ক্রনিকল জানিয়েছে, হামাস যোদ্ধরা দুইভাগে এই অতর্কিত হামলা চালান। প্রথমে খান ইউনিসে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি সাজোয়া যানকে লক্ষ্য করে হামলা চালান তারা। এরপর হতাহতদের উদ্ধারে আসা সেনাদের আরেকটি দলকে লক্ষ্য করে দ্বিতীয় হামলা চালানো হয়।
টাইমস অব ইসরায়েলে জানিয়েছে, হামাসের হামলায় সাঁজোয়া যানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ভেতরে থাকা সেনারা আগুনে পুড়ে মারা যান। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় নিহত সাত সৈন্যের নাম প্রকাশ করেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর তথ্যানুসারে, মঙ্গলবার গাজায় ৭ জন সেনা নিহত হয়েছে এবং তাদের বয়স ১৯ থেকে ২১ বছর। তারা সবাই ইসরায়েলের ৬০৫তম কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নের সদস্য। আহত সেনাদের হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার করে তেল আবিবের তেল হাসোমের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত কয়েকদিন ধরে গাজার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে আবারও নতুন করে হামলা শুরু করেছে হামাস।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
চায়ের দোকান থেকে নিউইয়র্ক, পুরস্কার ঘোষণার দিনেই মৃত্যু
কোনো তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা তাঁর প্রথম ছবি দিয়ে ভারতীয় সিনেমার মানচিত্রে আলোড়ন তুললেন; ছবিটি পেল জাতীয় পুরস্কার। আর পুরস্কার ঘোষণার একই দিনে সেই তরুণ চিরতরে চলে গেলেন। এই অবিশ্বাস্য ঘটনাই ঘটেছিল অবতার কৃষ্ণ কৌলের জীবনে।
১৯৩৯ সালে কাশ্মীরের শ্রীনগরে জন্ম নেওয়া কৌলের শৈশবই ছিল বেদনার। বাবার হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে একদিন তিনি ঘর ছেড়ে পালালেন। রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দিন কাটত, চায়ের দোকানে কিংবা ছোট হোটেলে কাজ করতেন। অভুক্ত থেকেও বই আর শব্দের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব গড়ে উঠল। এই অপূর্ণ শৈশবই হয়তো পরে তাঁকে সিনেমার ভেতর মানুষ আর সমাজকে ভিন্ন চোখে দেখার শক্তি দিয়েছিল।
নিউইয়র্কে নতুন জীবন
পরবর্তী সময় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি পেয়ে পৌঁছে গেলেন নিউইয়র্কে। দিনের চাকরির ফাঁকে রাতগুলো কাটত সিনেমা ও সাহিত্য নিয়ে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস আর পরে ব্রিটিশ ইনফরমেশন সার্ভিসে কাজ করলেও তাঁর আসল পৃথিবী ছিল অন্যত্র। সহকর্মীরা প্রায়ই দেখতেন, হাতে উপন্যাস বা নোটবুক নিয়ে বসে আছেন কৌল। তাঁর চোখে তখন এক স্বপ্ন—চলচ্চিত্র নির্মাণ।