জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদ্‌যাপন উপলক্ষে আগামী ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৩৬ দিনব্যাপী (মাঝে বিরতি দিয়ে) অনুষ্ঠান করবে সরকার। এই অনুষ্ঠানগুলো পালনের লক্ষ্যে ৩৬ সদস্যের একটি জাতীয় কমিটি গঠন করেছে সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এ কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম এই কমিটির সহসভাপতি এবং সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী কর্মসূচি সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাগণ, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ও সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিব, সেনাবাহিনীর প্রধান, নৌবাহিনীর প্রধান, বিমানবাহিনীর প্রধানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবেরা।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে পুরো জুলাই মাস ধরে আন্দোলন হয়। ছাত্র-জনতার এই অভ্যুত্থানকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান বা জুলাই বিপ্লব বলা হয়। এই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদ্‌যাপন উপলক্ষে ৩৬ দিনের অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা জানাল সরকার। এ জন্য কোন দিন কী অনুষ্ঠান হবে, তা-ও জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুনগণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠান হবে২৪ জুন ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন উপদ ষ ট সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

গান-আলোচনায় ‘আমি চাইলাম যারে’ গানের গীতিকারকে স্মরণ

‘আমি চাইলাম যারে, ভবে পাইলাম না তারে’ কিংবা ‘বন্ধুয়া বিহনে গো, বাঁচি না পরানে গো’ তুমুল জনপ্রিয় গান দুটির কথা জানেন না—এমন মানুষ খুব কম পাওয়া যাবে। এমন জনপ্রিয় অসংখ্য গানের গীতিকার কফিলউদ্দিন সরকারের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সিলেটে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে।

নগরের জিন্দাবাজার এলাকার নজরুল একাডেমিতে বেলা তিনটায় বাউল কফিলউদ্দিন সরকার স্মৃতি কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে বাউল ও মালজোড়া গানের প্রখ্যাত শিল্পী কফিলউদ্দিন সরকারের রচিত গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে ‘ভবসিন্ধু আমায় করো পার’ শীর্ষক অনুষ্ঠান শুরু হয়।

সন্ধ্যা ছয়টায় শুরু হয় আলোচনা সভা। বাউল বিরহী কালা মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় অতিথির বক্তব্য দেন কবি ও গবেষক মোস্তাক আহমাদ, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের প্রধান পরিচালক শামসুল বাসিত শেরো ও বিশিষ্ট নাট্যকার মু. আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্য দেন সুমনকুমার দাশ।

আলোচনা পর্বের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন বাউলশিল্পী শাহীনূর আলম সরকার ও কফিলউদ্দিনের ছেলে মো. মনির উদ্দিন সরকার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এ কে এম কামরুজ্জামান। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন বাউল বিরহী লাল মিয়া, আলাউদ্দিন হোসেন শাহ, আশিক আল মাইজভান্ডারি ও সূর্যলাল দাস।

বক্তারা বলেন, বাংলা বাউলগানের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন শিল্পী ও গীতিকার ছিলেন কফিলউদ্দিন সরকার। মালজোড়াগানের বিকাশ ও বিস্তারে তাঁর ভূমিকা সর্বজনবিদিত। অথচ তাঁর মতো সংগীতকারের জীবন ও কর্ম নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হয়নি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাঁর রচনাবলি প্রকাশে সরকারি কিংবা বেসরকারি কোনো উদ্যোগও নেই।

সিলেটে বাউল কফিলউদ্দিন সরকারের ১৪তম প্রয়ান দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন বাউলপূত্র মো. মনির উদ্দিন সরকার। গতকাল সন্ধ্যায় নগরের জিন্দাবাজার এলাকার নজরুল একাডেমিতে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফরিদপুরে হামলা ও চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তারের পর যুবদল নেতাকে বহিষ্কার
  • ১২ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা না রাখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা
  • চাকসু নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব নাকোচ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের
  • গান-আলোচনায় ‘আমি চাইলাম যারে’ গানের গীতিকারকে স্মরণ
  • কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ১৩ নেতা–কর্মী গ্রেপ্তার
  • জাকসু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলল ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেল
  • গাউসুল আজম মার্কেটে ব্যালট পাওয়ার বিষয়টি কেন পরিষ্কার করা হচ্ছে না, প্রশ্ন আবিদ-উমামা-কাদেরের
  • আংশিক স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে হবে ভোট: চাকসু নির্বাচন কমিশন
  • হল সংসদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতছেন ২১ নারী
  • চট্টগ্রাম নগরে নেতৃত্বশূন্য যুবদল, হতাশ তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা