গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূতির অনুষ্ঠান পালনে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয় কমিটি গঠন
Published: 25th, June 2025 GMT
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে আগামী ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৩৬ দিনব্যাপী (মাঝে বিরতি দিয়ে) অনুষ্ঠান করবে সরকার। এই অনুষ্ঠানগুলো পালনের লক্ষ্যে ৩৬ সদস্যের একটি জাতীয় কমিটি গঠন করেছে সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এ কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম এই কমিটির সহসভাপতি এবং সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী কর্মসূচি সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাগণ, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ও সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিব, সেনাবাহিনীর প্রধান, নৌবাহিনীর প্রধান, বিমানবাহিনীর প্রধানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবেরা।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে পুরো জুলাই মাস ধরে আন্দোলন হয়। ছাত্র-জনতার এই অভ্যুত্থানকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান বা জুলাই বিপ্লব বলা হয়। এই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে ৩৬ দিনের অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা জানাল সরকার। এ জন্য কোন দিন কী অনুষ্ঠান হবে, তা-ও জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনগণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠান হবে২৪ জুন ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন উপদ ষ ট সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
৭ নভেম্বর জাতীয় জীবনে অবিস্মরণীয় দিন: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তাদের সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি। ৭ নভেম্বর জাতীয় জীবনে এক ঐতিহাসিক অবিস্মরণীয় দিন। ৭ নভেম্বরের সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থানে সেদিন পূরণ হয়েছিল রাজনৈতিক শূন্যতা।”
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরো পড়ুন:
উপদেষ্টারা পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছেন: ফখরুল
‘পদ্মা বাঁচাও’ গণসামবেশে ১৫ নভেম্বর, যোগ দেবেন ফখরুল
তিনি বলেন, “সেনাবাহিনী ও সর্বস্তরের জনগণের সার্বিক সমর্থনের মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমান ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে চলে আসেন। এই বিপ্লবের মূল চরিত্র ছিল জিয়াউর রহমানের প্রতি সেনাবাহিনী ও জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে ও একজন নিষ্কলুষ সাহসী সৈনিক হিসেবে জিয়ার প্রতি সামরিক বাহিনী ও জনগণের ব্যাপক সমর্থন ছিল। জনগণের সমর্থনের কারণে জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বরের বিপ্লবে মহানায়কে পরিণত হন। সিপাহী-জনতার এই বিপ্লবের সম্মিলিত প্রয়াসে জনগণ নতুন প্রত্যয়ে জেগে ওঠে। ৭ নভেম্বর বিপ্লবের সফলতার সিঁড়ি বেয়েই আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক মুক্তির পথ পেয়েছি।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “এই বিপ্লবের মধ্য দিয়েই আইনের শাসন, বাক, ব্যক্তি ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং সামাজিক শান্তি ফিরে এসেছিল। দেশ, জনগণ, স্বাধীকারসহ জাতীয় স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী সুগভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল, এই বিপ্লবে বন্দীদশা থেকে মুক্ত হন জিয়াউর রহমান।”
তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমানকে সমর্থন করে সামরিক বাহিনী আর তাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষও যোগ দেয়। জাতি পেয়েছিল এক যোগ্য নেতৃত্ব জিয়াউর রহমানকে, যিনি ‘৭১-এ জাতির চরম ক্রান্তিলগ্নে মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার দিক-নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সফল রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী রাজনীতির উন্মেষ ঘটিয়ে জাতিকে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির মহাসড়কে উঠিয়েছিলেন। আর সেজন্যই আমাদের জাতীয় জীবনে ৭ নভেম্বরের বিপ্লবের গুরুত্ব অপরিসীম।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ