ইউআরএল শর্টেনারের মাধ্যমে তৈরি লিংক নিয়ে গুগলের সিদ্ধান্ত বদল
Published: 4th, August 2025 GMT
ওয়েবসাইটের বড় বড় লিংকগুলো (ইউআরএল) ছোট বা সংক্ষিপ্ত করতে অনেকেই গুগলের goo. gl সেবাটি ব্যবহার করতেন। ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয়তা পেলেও সেবাটি ২০১৯ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়। অনলাইনে সচল থাকা goo. Gl লিংকগুলো দেখা গেলেও এ মাস থেকে সেগুলো স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গুগল। তবে নতুন এক সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, যেসব goo.
গুগল জানিয়েছে, লিংকগুলোতে অগণিত নথি, ভিডিও, পোস্টসহ নানা ধরনের কনটেন্টে যুক্ত রয়েছে। আর তাই যেসব লিংকে আগে থেকেই সতর্কবার্তা দেখানো হয়েছে, সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা হবে। তবে অন্যান্য সব লিংক আগের মতোই সচল থাকবে এবং স্বাভাবিকভাবে কাজ করবে।
গুগলের তথ্যমতে, ২০২৪ সালের শেষ দিকে যেসব লিংকে কোনো ধরনের প্রবেশ বা কার্যক্রম ছিল না, কেবল সেসব লিংকে ৯ মাস ধরে নিষ্ক্রিয় হওয়ার বার্তা দেখানো হচ্ছিল। এবার কেবল ওই লিংকগুলোর কার্যকারিতা বন্ধ করা হবে। বাকি সব গুগল ডট এল লিংক ঠিকঠাক কাজ করবে।
২০১৯ সালে সংক্ষিপ্ত লিংক তৈরির সুবিধা বন্ধ করে দেয় গুগল। এরপর ২০২৪ সালের জুলাই মাসে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ২৫ আগস্টের পর থেকে সব বিদ্যমান লিংকও বন্ধ করে দেওয়া হবে। সে সময় গুগল জানিয়েছিল, বছরের পর বছর লিংকগুলোর ব্যবহার কমেছে এবং সর্বশেষ এক মাসে ৯৯ শতাংশের বেশি লিংকে কোনো কার্যক্রম ছিল না। বিশ্লেষকদের মতে, নানা সরকারি-বেসরকারি নথি, সংবাদ প্রতিবেদন বা ভিডিওর বিবরণে যুক্ত থাকা পুরোনো সংক্ষিপ্ত লিংক হঠাৎ করে নিষ্ক্রিয় করে দিলে বিপত্তি ঘটার আশঙ্কা ছিল।
সূত্র: দ্য ভার্জ
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন ষ ক র য় কর ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪৮ কোটি ডলার
নতুন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের দেশে বৈধ পথে প্রায় ২৪৮ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩০ হাজার ২৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা)।
রবিবার (৩ আগস্ট ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জুলাইয়ের যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে তা আগের বছর একই সময়ের চেয়ে ২৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেশি। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯১ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
আরো পড়ুন:
পাচারকৃত সম্পদ ফেরাতে যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের যৌথ প্রচেষ্টা জোরদার
লুটের টাকা জনহিতকর কাজে ব্যবহার করা হবে: গভর্নর
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা জানান, অর্থপাচারে বর্তমান সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এ কারণে হুন্ডিসহ বিভিন্ন অবৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠানো কমে গেছে। ফলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স আহরণ বেড়েছে।
সদ্য সমাপ্ত ২০৪-২৫ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স ৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে ২১৯ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার, ডিসেম্বর মাসে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার, জানুয়ারি মাসে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার, ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ২৩ লাখ ডলার, মে মাসে ২৯৭ কোটি মার্কিন ডলার এবং জুন মাসে ২৮২ কোটি ১২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
ঢাকা/নাজমুল/বকুল