থানায় ঢুকে পুলিশকে হুমকি জামায়াত নেতার, গ্রেপ্তারের পর জামিন
Published: 6th, August 2025 GMT
যশোরের কেশবপুর থানায় অনাধিকার প্রবেশ, সরকারি কাজে বাধা ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার জামায়াতে ইসলামীর নেতা অজিয়ার রহমানের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে যশোর শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকেলে তিনি জামিন পান। যশোর আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর রোকসানা খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অজিয়ার রহমান কেশবপুর উপজেলা পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি। তিনি ছাত্রশিবিরের যশোর জেলা পূর্ব শাখার সাবেক সভাপতি। ঘটনার পর তাকে জামায়াতের সব ধরনের কার্যক্রম থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মেয়ের বউভাতে যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল বাবার
গফরগাঁওয়ে বজ্রপাতে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
যশোর জেলা জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সম্পাদক মো.
এর আগে, গত রবিবার কেশবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মকলেসুর রহমান বাদী হয়ে থানায় অজিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় বুধবার সকালে গ্রেপ্তার করে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
কেশবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মকলেসুর রহমান বলেন, ‘‘অজিয়ার রহমানের চাচাতো ভাই শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে একজন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় তাকে (শহিদুল) কেন আসামি করা হয়েছে, তা নিয়ে ক্ষুব্ধ হন অজিয়ার। থানায় অনধিকার প্রবেশ, হুমকি ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।’’
এদিকে, থানায় ঢুকে পুলিশকে হুমকি দেওয়ার একটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, অজিয়ার রহমান ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে ধমকাচ্ছেন। আজিয়ার পুলিশ কর্মকর্তাকে বলেন, ‘‘আপনি আওয়ামী লীগের লোকের মতো আচরণ করছেন।” জবাবে কর্মকর্তা বলেন, “আমি কেন রাজনীতি করব?”
ঢাকা/রিটন/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক শবপ র র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
পোশাককর্মীর এক মোবাইল ফোন উদ্ধারে গিয়ে ১৪৮টি জব্দ
চট্টগ্রাম মহানগরীতে এক পোশাককর্মীর চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে গিয়ে ১৪৮টি মোবাইল ফোন জব্দ করেছে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (পশ্চিম জোন)। এ সময় দুটি ডিএসএলআর ক্যামেরাও জব্দ করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে মোবাইল চুরি ও বিক্রয় সিন্ডিকেটের তিন সদস্যকে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের দামপাড়ায় মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন সিএমপি ডিবি বন্দর জোনের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিক। চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানার পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন ও চৈতন্য গলি এলাকা থেকে এই বিপুল সংখ্যক মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ২৪ আগস্ট ভোরে চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানাধীন জাহাঙ্গীর কলোনির টিনশেড বাসা থেকে পোশাক শ্রমিক আকবর হোসেনের ভিভো ব্র্যান্ডের একটি মোবাইল ফোন কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যায়। অসহায় এই শ্রমিক প্রায় ২০ দিন পর তার মোবাইল ফোন উদ্ধারে গোয়েন্দা পুলিশ পশ্চিম জোনের শরণাপন্ন হন।
অভিযোগ পেয়ে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করতে ডিবি পশ্চিম জোনের এসআই মো. ইমাম হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিকের দিকনির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক ধীমান মজুমদারের তত্ত্বাবধানে এসআই মো. ইমাম হোসেনের নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরের কোতোয়ালী থানার পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় পোশাককর্মী আকবরের চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনসহ ৪৮টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় সোহেল মিয়া (৩৩) নামের মোবাইল চোর চক্রের এক সদস্যকে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোতোয়ালী থানাধীন স্টেশন রোড ও চৈতন্য গলি এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের দুই সদস্য আবদুল হাকিম (২৭) ও মো. ইয়াছিনকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি আইফোন ও দুটি ডিএসএলআর ক্যামেরা।
আটক ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ফোন চুরি, ছিনতাই ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জব্দ করা মোবাইল ফোনগুলো আইনি প্রক্রিয়ায় প্রকৃত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার আবু বক্কর সিদ্দিক।
ঢাকা/রেজাউল/রফিক