এনআরবি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন
Published: 7th, August 2025 GMT
এনআরবি ব্যাংক তাদের ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করেছে। সম্প্রতি রাজধানীতে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়। এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তারেক রিয়াজ খানসহ পরিচালকেরা। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনআরবি ব্যাংক।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ বলেন, ‘গ্রাহক, শেয়ারধারী ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাসহ সব কর্মকর্তা দীর্ঘ সময় ব্যাংকের পাশে থাকার জন্য তাঁদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা প্রদানের জন্য এনআরবি ব্যাংক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আগামী তিন বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ ডিজিটাল ব্যাংকিং ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করব।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এনআরবি ব্যাংকের নিরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম মিজানুর রহমান; ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান শেখ মো.
এনআরবি ব্যাংক বাংলাদেশের চতুর্থ প্রজন্মের একটি ব্যাংক। ২০১৩ সালের ৪ আগস্ট ব্যাংকটি কার্যক্রম শুরু করে। গত বছরের শেষে এই ব্যাংকের মোট আমানত ছিল ৭ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে যা ছিল ৬ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা। গত বছরে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১১ পয়সা, যা ২০২৩ সালে ছিল ১ টাকা ৩৪ পয়সা।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের ১ শতাংশ ধনকুবেরের সম্পত্তি ৬২ শতাংশ বেড়েছে
ভারতের সবচেয়ে ধনী মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তির সম্পত্তি গত প্রায় আড়াই দশকে দেড় গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী ‘জি২০’র সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এমনটাই দেখা গিয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০০-২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সবচেয়ে ধনী ১ শতাংশ ব্যক্তির সম্পত্তি ৬২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। খবর আনন্দবাজার অনলাইন।
স্বতন্ত্র অর্থনীতিবিদদের নিয়ে তৈরি জি২০ গোষ্ঠীর ‘এক্সট্রাঅর্ডিনারি কমিটি অব ইনডিপেনডেন্ট এক্সপার্টস অন গ্লোবাল ইনইকুয়ালিটি’ এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্টিগ্লিট্জ়। এ ছাড়া কমিটিতে রয়েছেন জয়তী ঘোষ, উইনি ব্যানয়িমা, ইমরান ভালোদিয়াসহ অন্যেরা। তাদের প্রতিবেদনে বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতির কথাও উল্লেখ রয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, গত আড়াই দশকে (২০০০-২০২৪) বিশ্বে যত নতুন সম্পত্তি তৈরি হয়েছে, তার ৪১ শতাংশই রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ১ শতাংশের কব্জায়।
কমিটির নেতৃত্বে থাকা স্টিগ্লিট্জ় এই বিশ্বব্যাপী বৈষম্য নিয়ে সতর্ক করে করে দিয়েছেন। তার মতে, এই বৈষম্য ‘জরুরি’ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে, যা গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং জলবায়ুগত দিক থেকে উদ্বেগজনক।
জি২০ গোষ্ঠীর ওই প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০০-২০২৩ সালের মধ্যে ভারতে সবচেয়ে ধনী ১ শতাংশের সম্পত্তি ৬২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই একই সময়ে চীনেও সবচেয়ে ধনী ১ শতাংশের সম্পত্তি প্রায় ৫৪ শতাংশ বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “সম্পত্তির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্য কখনো কাম্য নয়। এটি ঠেকানো যায় এবং রাজনৈতিক ভাবে এটিকে বদলানো যেতে পারে।”
এতে জানানো হয়েছে, ২০২০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র দূরীকরণ মন্থর হয়ে গেছে। কিছু কিছু এলাকায় প্রায় থেমে গিয়েছে দারিদ্র দূরীকরণ। কোথাও কোথাও দারিদ্র বৃদ্ধি পেতেও শুরু করেছে। যে দেশগুলোতে আর্থিক বৈষম্য বেশি, সেখানে গণতন্ত্রের অবক্ষয়ের আশঙ্কাও তুলনামূলকভাবে বেশি।
ঢাকা/শাহেদ