আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম ‘হার্ট অ্যাটাক’ করেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। হিরো আলমের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে এবং তার ঘনিষ্ঠজনেরা এমন দাবি করছেন। তবে বগুড়ার দুটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হিরো আলমের হার্টে তারা কোনো সমস্যা পায়নি।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) হিরো আলমের সহকর্মী সেলিম রাইজিংবিডির সঙ্গে আলাপকালে জানান, হিরো আলম বর্তমানে বগুড়া টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং তিনি আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থ আছেন।

এর আগে, বুধবার বিকেল ৪টা ২৭ মিনিটে হিরো আলমের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে লেখা হয়, হার্ট অ্যাটাক করেছে হিরো আলম। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে আইডিতে হাসপাতালের বেডে শোয়া অবস্থায় তিনটি ছবিসহ স্ট্যাটাস দেওয়া হয়, ‘অতিরিক্ত টেনশনে হার্ট অ্যাটাক করে দোতলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে নিচে পড়ে যান হিরো আলম। পরে তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে টিএমএস এস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।’ পোস্টে হিরো আলমের জন্য সবার কাছে দোয়া চাওয়া হয়।

আরো পড়ুন:

হি‌রো আল‌মের বিরু‌দ্ধে মামলা কর‌বেন বগুড়ার আইনজীবী

ঘুমের ওষুধ সেবন করে গুরুতর অসুস্থ হিরো আলম

সেলিম বলেন, ‘‘হিরে আলমের হার্টে আগে থেকেই সমস্যা ছিল। বুধবার বিকেলে হার্ট অ্যাটাক করে সিঁড়ি দিয়ে পড়ে গেলে তাকে প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে টিএমএসএস মেডিকেল নিয়ে আসা হয়। রাত ৩টা পর্যন্ত আমি হাসপাতালে ছিলাম। তখন পর্যন্ত হিরো আলম কথা বলতে পারছিলেন না। কিছুক্ষণ আগে তার মেয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। এখন সে কিছুটা ভালো আছে। কথা বলতে পারছে এবং তার নাকে যে নল লাগানো ছিলে সেটা খুলে নেওয়া হয়েছে।’’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা.

আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘‘হিরো আলম বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। পরে তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। কিন্তু, প্রাথমিকভাবে তার হার্টে কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি। তার সমস্যা আরো ইভ্যালিউড করার জন্য মেডিসিন বিভাগে পাঠানো হয়। কিন্তু, এর মাঝেই তিনি হাসপাতাল থেকে চলে যান।’’

বগুড়া টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসক শাহ আলম বলেন, ‘‘হিরো আলম যে ওয়ার্ডে আছেন সেই ওয়ার্ডের অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্টার  ডা. রিয়াজুল বারী জানিয়েছেন, হিরো আলমের ইসিজি ও ইকো করা হয়েছে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ যারা আছেন তারাও দেখেছেন। তার হার্টে কোনো সমস্যা নেই। তবে, তিনি মানসিকভাবে আপসেট। বর্তমানে তিনি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মামুন আলম মুজাহিদের অধীনে আছেন।’’

এর আগে, গত মঙ্গলবার বিকেলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন হিরো আলম। সেখানে তিনি লিখেন, ‘‘রিয়া মনি মিথ্যা কথা বলেছে। তালাক আর পরকীয়া মেনে নিতে পারিনি। হিরো আলম ওষুধ খেয়ে মরবে না, আজ সত্যি সত্যি মারা যাব। রিয়া মনির ভালোবাসা মিথ্যা ছিল, তাই মেনে নিতে পারিনি। রিয়া মনিকে কত ভালোবাসি, আজ নিজেকে শেষ করে বুঝিয়ে দেব, আমি রিয়েল ছিলাম। কাল (বুধবার) বিকেল ৫টায় নিজ বাসভবনে আমার জানাজা।’’

গত জুলাই মাসেও হিরো আলম ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। বগুড়ার ধুনটে তার বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে বগুড়ার  শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে রিয়া মনি ছুটে আসেন হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হিরো আলমকে ঢাকায় নিয়ে যান তিনি।

সম্প্রতি কনটেন্ট ক্রিয়েটর ম্যাক্স অভির সঙ্গে রিয়া মনির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন হিরো আলম। এরপর রিয়া মনি হিরো আলমকে তালাক দেওয়ার ঘোষণা দেন।

ঢাকা/এনাম/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ র আলম ফ সব ক সমস য আলম র

এছাড়াও পড়ুন:

বিচারকের ছেলে হত্যা মামলার আসামি লিমন পাঁচ দিনের রিমান্ডে

রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আবদুর রহমানের বাসায় ঢুকে তাঁর ছেলেকে হত্যা ও স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার লিমন মিয়ার (৩৪) পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এর বিচারক মামুনুর রশিদ এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গাজিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আসামির সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুল ইসলাম। শুনানি শেষে আদালত লিমনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আরও পড়ুনরাজশাহীতে বিচারকের ছেলের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে: ময়নাতদন্ত শেষে চিকিৎসক১৪ নভেম্বর ২০২৫

গাজিউর রহমান বলেন, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লিমন মিয়াকে হাসপাতাল ত্যাগের অনুমতি দেয়। এরপর তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে বেলা ২টার দিকে তাঁকে আদালতে তোলা হয়। রিমান্ড মঞ্জুরের পর আদালত থেকে তাঁকে রাজপাড়া থানায় নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাঁকে ওই ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

পুলিশ বলছে, গত বৃহস্পতিবার রাজশাহী শহরের তেরখাদিয়া ডাবতলা এলাকায় ওই বিচারকের বাসায় যান গাইবান্ধার ফুলছড়ির বাসিন্দা লিমন মিয়া। এরপর তিনি বিচারকের ছেলে তাওসিফ রহমানকে (১৫) ছুরিকাঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যা করেন। লিমনের ছুরিকাঘাতে ওই বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসিও (৪৪) আহত হন। এসব ঘটনার সময় ধ্বস্তাধ্বস্তির এক পর্যায়ে লিমনও আহত হন। পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার লিমন মিয়াকে একমাত্র আসামি করে রাজপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহমান। আসামি এই হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনরাজশাহীতে বাসায় ঢুকে বিচারকের স্কুলপড়ুয়া ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, স্ত্রী আহত১৩ নভেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাস ধুয়েমুছে চালকের সহকারী ওয়াশরুমে গিয়েছিলেন, ফিরে দেখেন আগুন জ্বলছে
  • ‘বাসটির সঙ্গে একটি ট্রাকের ধাক্কা লাগে, এরপর আর কিছু মনে নেই’
  • রেলের ৭ লাখ টাকার যন্ত্র ২৭ হাজারে বানালেন তিনি
  • রাতে এক ঘণ্টার ব্যবধানে সাভার-ধামরাইয়ে দুই বাসে আগুন
  • ফতুল্লার অটোরিকশা চালক ইউসুফ খুন 
  • জনস্বাস্থ্য নিয়ে গবেষণাই তাঁর নেশা 
  • ইডেনে স্পিন বিষ, ১৫ উইকেটের দিনে উড়ছে ভারত
  • রিয়া মনির মামলায় জামিন পেলেন হিরো আলম
  • বিচারকের ছেলে হত্যা মামলার আসামি লিমন পাঁচ দিনের রিমান্ডে
  • হিরো আলম গ্রেপ্তার