হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
Published: 17th, August 2025 GMT
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শনিবার (১৬ আগস্ট) একদিন বন্ধের পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দরের সকল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক ছিল হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের পাসপোর্ট ধারী যাত্রী পারাপার।
রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি জানিয়েছেন হিলি বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী।
তিনি জানান, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে একদিন বন্ধের পর আজ রবিবার দুপুর ১টা থেকে হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। স্বাভাবিক হয়েছে বন্দর অভ্যন্তরীণ সকল কার্যক্রম। বন্দরে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে শুরু করেছে। তা আনলোড করে দেশি ট্রাক লোড হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেড়ে যেতে শুরু করেছে।
হিলি ইমিগ্রেশন ওসি আরিফুল ইসলাম বলেন, “হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এই চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকে না। ভারতের সাথে এই চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।”
ঢাকা/মোসলেম/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: জিএম কাদের
সব বিভেদ ভুলে দেশকে এগিয়ে নিতে জাতীয় স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে জিএম কাদের বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা জানান। এ উপলক্ষে দেশবাসীর শান্তি, সমৃদ্ধি, সম্প্রীতি ও সংহতি কামনা করেন তিনি।
শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দেওয়া বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, পৃথিবীর সব ধর্মই সাম্য, মানবতা, ভ্রাতৃত্ব আর ভালোবাসার কথা বলে। জন্মাষ্টমীর এই শুভ লগ্নে জাতীয় স্বার্থে সবার ঐক্য কামনা করছি। দেশকে এগিয়ে নিতে এবং গণমানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।”
তিনি বলেন, “সব বিভেদ ভুলে দেশকে এগিয়ে নেওয়াই গুরুত্বপূর্ণ।”
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে স্মরণ করে গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, “পল্লীবন্ধুর দেশ পরিচালনার সময়ে ১৯৮৯ সাল থেকেই ঢাকায় দৃষ্টিনন্দন ও জাকজমকপূর্ণ জন্মাষ্টমীর আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উৎসবমুখর জন্মাষ্টমীতে সরকারি ছুটির ঘোষণা করেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিনের উৎসব ও আরাধনা নির্বিঘ্ন করতে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব সহায়তার নির্দেশ দেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।”
“এছাড়া নগদ ২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে হিন্দু কল্যাণ ট্রাষ্ট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আমাদের প্রিয় নেতা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। পাশাপাশি পূজা-অর্চনা এবং সারা দেশে মন্দির নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য প্রতি বছর অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।”
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত সব আয়োজনের সফলতা কামনা করেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ