নড়াইলে ২ গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ২০
Published: 21st, September 2025 GMT
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের সরশুনা এবং কামারগ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
আরো পড়ুন:
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল: জোহায় অনশন, জুবেরীতে অবস্থান শিক্ষার্থীদের
সুনামগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ, নিহত ১
পুলিশ সূত্র জানায়, সরশুনা ও কামারগ্রামের লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শক্রতা ছিল। শনিবার সন্ধ্যার দিকে দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
পরে স্থানীয় ও স্বজনরা আহতদের নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উভয় পক্ষের আটজনকে আটক করা হয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঢাকা/শরিফুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে গাইবান্ধায় নেওয়া হলো খুবি শিক্ষার্থীর মরদেহ
রাঙামাটির সাজেকে যাওয়ার পথে চান্দের গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থী মোছা. রুবিনা আফসানা রিংকীর মরদেহ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধায় পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খাগড়াছড়ি সেনানিবাস থেকে মরদেহটি নিয়ে গাইবান্ধার উদ্দেশ্যে রওনা হয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি।
আরো পড়ুন:
দাবি মেনে নেওয়ায় অনশন ভাঙলেন জবি শিক্ষার্থীরা
যবিপ্রবিসাসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
এর আগে, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে দীঘিনালা-সাজেক সড়কের সিজকছড়া এলাকায় খুবি পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বহনকারী চান্দের গাড়ি পাহাড়ের খাদে পড়ে যায়। এতে মোছা. রুবিনা আফসানা রিংকী (২৩) নিহত হন। আহত হন শিক্ষকসহ আরো ১২ জন। শিক্ষার্থীদের সবাই চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত।
স্থানীয়রা ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত উদ্ধার কাজ চালিয়ে আহতদের খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে গুরুতর আহতদের বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আহতদের মধ্যে অন্তত ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
খুবি শিক্ষার্থী রুবিনার বাড়ি গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে। আজ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সেখানে পৌঁছায় মরদেহ বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি।
সেনাবাহিনীর সূত্রে জানা গেছে, বেসামরিক এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি মরদেহ নিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে গাইবান্ধার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী খাগড়াছড়ি রিজিয়ন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল থেকে মরদেহটি গ্রহণ করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মো. রাশেদুর রহমান ও শিক্ষার্থী রণজিৎ রায়। রুবিনার মরদেহ হস্তান্তরের সময় খাগড়াছড়ি রিজিয়ন ও সদর দপ্তর ২০৩ পদাতিক ব্রিগেডের জিটু-আই মেজর কাজী মোস্তফা আরেফিন ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুমানা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, বিকেলে আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সেফালিকা ত্রিপুরা, জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আহতদের চিকিৎসা সহায়তায় ১ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. সাবের হোসেন বলেন, “গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। আর নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে গাইবান্ধায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
ঢাকা/হাসিব/মেহেদী